প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘নুসরাতের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে এবং তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
নুসরাতের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত, ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে অগ্নিদগ্ধ আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি (১৮) পাঁচ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে মারা গেছেন।
গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান নুসরাত। এ সময় তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করেছে- এক ছাত্রীর এমন সংবাদে ভবনের চার তলায় যান তিনি। সেখানে বোরকা পরা ৪-৫ জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে আনা শ্লীলতাহানির মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। এতে অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরবর্তীতে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠান। তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়।
এর আগে নুসরাতের মা বাদী হয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ তাকে ২৭ মার্চ গ্রেপ্তার করে। তিনি এখন সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অধ্যক্ষের মুক্তি দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।