তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় আর কোনো বাধা রইল না।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা দুটি রিটের শুনানি শেষে এই রায় দিয়েছেন আদালত।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রায় ঘোষণা করেন।
গত ৪ ডিসেম্বর সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা দুটি রিটের শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেছিলেন আদালত।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠন এই আবেদনের সঙ্গে জড়িত। তাদের বেশিরভাগই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের পক্ষে ছিল।
২০১১ সালের ৩০ জুন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিধান বাতিল করে দিয়েছিলেন।
সংশোধনীতে বেআইনিভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এটিকে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
সংশোধনীতে সংসদ নির্বাচনের সময়সীমাও পরিবর্তন করা হয়েছিল। যাতে বলা হয়েছে যে সংসদীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু: পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে রায় আজ
এর আগে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা ছিল।
পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংবিধানে ছোট ও বড় মিলে মোট ৫৫টি পরিবর্তন আনা হয়েছিল।
মঙ্গলবারের রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলে পঞ্চদশ সংশোধনী অবৈধ। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। সংবিধানের সৌন্দর্য হচ্ছে জনগণের ক্ষমতায়ন।
এই রায়ের মধ্যদিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছিল তার সবগুলোই বাতিল হয়ে গেল।