তত্ত্বাবধায়ক সরকার
বিএনপিকে তো সংলাপে ডাকা হয়নি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের সাম্প্রতিক বক্তব্যে মনে হচ্ছে, আমরা যেন তাদেরকে সংলাপের জন্য ডেকেছি।
তিনি বলেন, তাদেরকে তো সংলাপের জন্য ডাকা হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে কোনো সংলাপ করার সুযোগ নাই, কোনো সংলাপ হবেই না।
আরও পড়ুন: আমরা চাই বিএনপি পূর্ণশক্তিতে নির্বাচনে অংশ নিক: তথ্যমন্ত্রী
শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এসময় সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে এবং সেই নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এই বাস্তবতা বিএনপিকে মেনে নিতেই হবে।
তিনি বলেন, তাদের যে তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকারের দাবি, সেটি দেশে যেমন সমর্থন পায়নি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তারা যাদের হাতে-পায়ে ধরে, নিয়মিত দেন-দরবার করেও তারা কোনো সমর্থন পায়নি।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ প্রতিনিধির ৮ থেকে ২৩ জুলাই বাংলাদেশ সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, এতে এটিই প্রমাণিত হয় যে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করে। সেই স্বাধীন নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন করার লক্ষ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এবং সে আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ইইউ প্রতিনিধি দল আসছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো ও প্রস্তুতিমূলক নানা বিষয় তারা পর্যবেক্ষণ করবে, একইসঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথেও বৈঠক করবে তারা।
আরও পড়ুন: মার্কিন কর্মকর্তাদের আগমন দু’দেশের ঘনিষ্ঠতর সম্পর্কের বার্তাবাহী: তথ্যমন্ত্রী
তত্ত্বাধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না: তথ্যমন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, নির্বাচন হবে সংবিধান মোতাবেক। বিএনপি যদি এই দাবি মেনে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয় তবে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু উচ্চ আদালত বাতিল করেছে, তাই এটা নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।
বুধবার (৫ জুলাই) সকালে নগরীর আগারগাঁও-এ বাংলাদেশ বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ ভবনে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে আলোচনা করেন যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী নাইজেল হাডলস্টন।
সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী নাইজেল হাডলস্টন বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। বৈঠকে বাণিজ্য ও ব্যবসা নিয়েই ৯০ শতাংশ কথা হয়েছে। তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে রাজনীতি নিয়ে কথা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালের নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাইতে বললেন সালমান এফ রহমান
তিনি আরও বলেন, ‘ইউকে একটা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। আমরাও নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) শক্তিশালী করেছি। সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচনে কমিটেড। আমাদের ইসি স্বাধীন। অনেক সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিরপেক্ষ হচ্ছে এটা তার প্রমাণ। সংবিধান মেনেই নির্বাচন হবে এই দাবি তারা মেনে নিয়ে সংলাপে আসলে আমরা সংলাপে রাজি।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন চায়, ডায়ালগ চায়। আমরা গঠনমূলক সংলাপে প্রস্তুত; নির্বাচন হবে সংবিধান মোতাবেক। কেয়ারটেকার গভর্মেন্ট নিয়ে আলোচনা হবে না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো উপায় নেই, এটা বিরোধী দলের বোঝা দরকার।’
রাশিয়া, ইউক্রেনের জন্য রোহিঙ্গা ইস্যু আড়ালে গেলেও তা মরে যায়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বদরবারে এটার দিকে জনমত অব্যাহত রাখা ও মিয়ানমারের ওপর চাপ দেওয়ার প্রচেষ্টা থাকার বিষয়ে কথা হয়েছে। তারা রোহিঙ্গাদের জন্য ১১ মিলিয়ন পাউন্ড দেবে।
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ হবে জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, যুক্তরাজ্য থেকে এয়ারবাস কিনতে চাওয়া নিয়ে কথা হয়েছে। জিএসপির পর ডিসিটিএস স্কিম বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা দেখাবে। শুল্ক সুবিধা ঘিরে এর থেকে বড় শিল্পের পাশাপাশি সুবিধা পাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাও।
যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী নাইজেল হাডলস্টন সাংবাদিকদের বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উভয় দেশের অর্থনীতি বিকাশের লক্ষ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক তৈরিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের একটি দৃঢ় ও স্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে। গত এক বছরে দেশটির সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকায় এটি আমার প্রথম সফর। শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক তৈরিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য যুক্তরাজ্যের দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের বাধাগুলো দূর করে পারস্পরিক সমৃদ্ধি বাড়াতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি উন্মুখ।’
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর আহ্বান সালমান এফ রহমানের
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড’ নয়, ‘লাইফ’ ইস্যু: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড’ নয়, এখন ‘লাইফ’ ইস্যু।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এই সরকার চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। যে কারণে আমরা বার বার করে বলছি যে, এই সরকারের এখন থাকার আর কোনো কারণ নেই। তারপরও তার নেতা-মন্ত্রীরা বলেন যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাকি এখন ডেড ইস্যু।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড ইস্যু’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এরকম বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির কাছে সংলাপ নিয়ে আমুর বক্তব্যের কোনো গুরুত্ব নেই: ফখরুল
তিনি বলেন, ডেড ইস্যু হবে কেনো? এটাই তো এখন সবচেয়ে লাইফ ইস্যু। কারণ আমরা মনে করি যে, এই সরকারের এই মুহুর্তে পদত্যাগ করা উচিত।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও বিএনপির সাবেক এমপি এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এতো চুরি করেছে, এতো দুর্নীতি করেছে এবং একটা সমস্যারও সমাধান করতে পারেনি সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কারণ নেই।
সেই কারণে আমরা বলেছি যে, একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা একটা নিরপেক্ষ সরকার এবং নির্দলীয় সরকারকে দায়িত্ব দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে পরিকল্পিতভাবে।
কারণ তারা জানে যে, তারা এতো চুরি-চামারি করেছে যে, সাধারণভাবে যদি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হয় তাহলে কোনো দিনই তারা ক্ষমতায় ফিরে আসা দূরে থাকুক, পার্লামেন্টে ১০ ভাগেরও বেশি ভোট পাবে না। সেই সরকার আজকে ক্ষমতায় বসে আছে।
তিনি বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ দুইটা ইলেকশন দেখেছে। ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালে। আবার ওই জায়গায় ফেরত যাওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না।
এছাড়া গত ১৮ সালে শেখ হাসিনা আমাদেরকে ডেকেছিলেন সংলাপের জন্য। আমরা গিয়েছিলাম এ জন্য যে, আমরা মনে করেছিলাম আলোচনার মাধ্যমে যদি একটা অবস্থা তৈরি হয় সেই অবস্থায় আমরা যদি একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারি তাহলে হয়তবা জনগণের সেই ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারব।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের নামে নতুন খেলা শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
‘ওদেরকে বিশ্বাস করা যায় না’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীল বলেন, আইনমন্ত্রী পার্লামেন্টে কালকে বলেছেন যে, যখন নির্বাচন চলবে, নির্বাচন কমিশনের সেই ক্ষমতা থাকবে যে, তখন আর কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বা কাউকে আটক করা যাবে না। এই কথা কে বিশ্বাস করবে?
তিনি বলেন, আমরা কোনো কথা শুনতে চাই না। আগে পদত্যাগ করুন, তারপরে সংসদ বিলুপ্ত করে নির্বাচনকালীন একটা নির্দলীয় সরকার গঠন করবার জন্য সেই ব্যবস্থা নিন।
‘দেশের অর্থনীতি আন্ডারগ্রাইন্ডে’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এতো বেশি উন্নয়নের কথা বলেছে কিছুদিন আগে পর্যন্ত যে, খৈ ফুটে মুখের মধ্যে, সব দিকে নাকি তারা উন্নয়নে একেবারে সমুদ্র বইয়ে দিয়েছে।
আমরা তখনও বলেছি, গণতন্ত্র বিহীন উন্নয়ন কখনো উন্নয়ন হতে পারে না। এটা টেকসই নয়। এটা ভেঙে যাবে।
আজকে দেখুন আমাদের কথার প্রতিধ্বনি করছে আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলোতে। সরকার বলছে, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আর আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো বলছে যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন ঝুঁকিতে।
বাংলাদেশের সাফল্য গল্প টক হয়ে গেছে সাওয়ার। কথাটা আমার নয়, কথাটা ভারতের টেলিগ্রাফের অনলাইন ভাসর্নে পরাণ বালাকৃষ্ণা বলে একজন প্রতিবেদকের প্রতিবেদনে এসব এসেছে।
আরও এসেছে যে, বাংলাদেশের সরকার ইতোপূর্বে যে সমস্ত দাবি করেছে সেই দাবিগুলো যে কতটা ঠুনকো ছিল, ক্রাইসিসে যখন বাংলাদেশ পড়েছে তখন সেটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিবেদনে বলছে, বাংলাদেশের পুরো ব্যবস্থটাই এখন আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গেছে। এমনকি রপ্তানি থেকেও ডলার ফেরত আসছে না। রপ্তানির রশিদ সংখ্যা, রপ্তানি শিফমেন্টের সংখ্যা মেলানো খুব কঠিন।
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন জোর দিচ্ছে কমপক্ষে ৩০ লাখ ডলারের ওপর যেকোনো এলসিতে তারা ক্লিয়ারেন্স দেবে যা বাণিজ্যের জন্য আরও একটি বোঝা হবে।
অর্থাৎ ইকোনমি অলরেডি আন্ডারগ্রাউন্ডে। এই আন্ডারগ্রাউন্ডে কেনো? এই যে ভয়াবহ নজিরবিহীন দুর্নীতি, এই দুর্নীতি করে তো সব কাজগুলো করা হয়েছে।
শেষ মুহুর্তে আবার পরিচিত ব্যক্তি- আমি নাম বলতে চাই না যাকে আপনারা সবসময় দেখেন, যিনি সব ব্যবসাগুলো করায়াত্ত করছেন। তিনি আবার সেই এয়ারবাস নিয়ে এসেছেন যে, আবার যদি একটা বড় ফান্ড তৈরি করা যায়। আর সেই ফান্ডে একদিকে নির্বাচনেও কাজ হবে আবার তাদেরও পকেট ভর্তি হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে সমস্ত কিছুর লক্ষ্য একটাই নিজেদের পকেট ভর্তি করা এবং সেই টাকা বিদেশে পাচার করা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন: ফখরুল
বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই: তোফায়েল আহমেদ
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এই বাংলাদেশে আর কোনোদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও আমরা নির্বাচন করেছি।
তিনি বলেন, সেই নির্বাচনেও যথেষ্ট কারচুপি হয়েছে। এখন বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: আর কখনও নির্দলীয় সরকার হবে না: তোফায়েল আহমেদ
মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ব্যাংকের হাট স্কুল মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগের আয়োজনে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব ও দুস্থদের মাঝে পোশাক বিতরণকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ আশা করেন বিএনপি এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কারণ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করলে তারা রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাবে। রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র হলো নির্বাচন।
তিনি বলেন, ‘সকল দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অন্যতম উন্নয়নশীল দেশ। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক বিশ্বে যথেষ্ট মর্যাদা অর্জন করেছি। আজকে গ্রামগুলো শহর হয়েছে। আজ গ্রাম আর গ্রাম নেই। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। আপনারা শান্তিতে আছেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে: তোফায়েল আহমেদ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম: তোফায়েল আহমেদ
খালেদা জিয়া ও তারেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার: শিল্পমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে মামলা করেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেই মামলায় তাদের সাজা হয়েছে। এছাড়া মামলা তো আওয়ামী লীগ সরকার করেনি, আওয়ামী লীগ যদি মামলা দিতো, তাহলে তারা বলতে পারতো এটা প্রতিহিংসামূলক।
সোমবার দুপুরে ঝালকাঠির ইছানীল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক-শিক্ষার্থী সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে অবদান রাখছে প্রবাসীরা: শিল্পমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার প্রতি এ অঞ্চলের মানুষের কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ। পদ্মাসেতু ও পায়রা বন্দর করেছে শেখ হাসিনা। পায়রা তাপ বিদ্যুতকেন্দ্র করা হয়েছে। এর সুবিধা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ পাবে।
তাই সারা জীবন এ অঞ্চলের মানুষ শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ। আগামী নির্বাচনে এর প্রতিদান স্বরূপ নৌকায় ভোট দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে।
ইছানীল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কামাল শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, পৌর মেয়র মো. লিয়াকত আলী তালুকদার ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান।
আরও পড়ুন বিএসটিআইয়ের বৈশ্বিক মানকে শক্তিশালী করতে সরকার কাজ করছে: শিল্পমন্ত্রী
দেশের কোন চিনিকলই স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি: শিল্পমন্ত্রী:
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অন্য কোনোভাবে নির্বাচন হতে দেবো না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের দাবি মেনে নিতে হবে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে।
শুক্রবার বিকালে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রয়াত বিএনপি নেতা আ স ম হান্নান শাহের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,‘আমাদের আন্দোলন শুরু হয়েছে, বর্তমান সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত চলবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। সেজন্যই আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইছি এবং এবার অন্য কোনোভাবে নির্বাচন হতে দেব না।’
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে লাঠি-বন্দুক নিয়ে হামলা আ.লীগের পরাজয়ের ইঙ্গিত: ফখরুল
ফখরুল আরও বলেন, দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণরূপে নির্বাহী বিভাগ অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই সরকারের আমলে জুয়াড়ি,ডাকাত ও খুনিরা সহজে জামিন পেলেও আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় সাজা ভোগ করছেন। আ.লীগের আশঙ্কা,খালেদা জিয়া জামিনে বের হলে জনগণ রাজপথে নেমে সরকারের পতন ঘটাবে। এ কারণে তারা আমাদের নেত্রীকে জনগণের কাছ থেকে দূরে রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন’।
বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরর কড়া সমালোচনা করে এই বিএনপি নেতা বলেন ‘কাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, সে ভয় পাচ্ছে কেন? তিনি ভয় পান, কারণ তিনি মনে করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তার দল ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আমাদের দাবিও পরিষ্কার, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না’।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে আলোচনা সঞ্চালনা করেন কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে শাওন হত্যার জবাব দেয়া হবে: ফখরুল
ইসি’র ইভিএম কেনার প্রকল্প জাতির সঙ্গে উপহাস: ফখরুল
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলী খান মারা গেছেন
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ আকবর আলী খান রাজধানী ঢাকায় মারা গেছেন।
অসুস্থতাজনিত কারণে বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
ড. আকবর আলী খান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ১৯৪৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। এরপর তিনি কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেন।
তিনি ১৯৬৭ সালে পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিসে যোগদানের মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীদের স্বীকৃতি দেয়া উচিৎ: আকবর আলী খান
করোনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টা কাজেমীর মৃত্যু
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হায়দার আলী আর নেই
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য বিএনপি দায়ী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য বিএনপিকে দায়ী করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। তারা জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু এখন আর সে সুযোগ নেই। পেছনের দরজা দিয়েও ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সিলেট নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ক্যাথ ল্যাব উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সিলেট থেকে পণ্য পরিবহনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে: ড. মোমেন
নির্বাচন কমিশনের জন্য সার্চ কমিটিতে বিএনপির পক্ষ থেকে কোন নাম প্রস্তাব না করা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রকে সম্মান করি। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রক্ত দিয়েছে। গণতন্ত্রকে পাকাপোক্ত করার জন্য লড়াই করেছে। আমরা গণতান্ত্রিক নিয়মে বিশ্বাস করি। বিএনপির জন্ম গণতন্ত্রের মাধ্যমে হয়নি। তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। এরপর তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে দুমড়ে মুচড়ে ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপিকে নির্বাচন করতে হলে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই আসতে হবে। জনগণের কাছে যেতে হবে। পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই।
দুপুরে নগরীর পাঠানটুলায় বেসরকারি হাসপাতাল ‘মাউন্ট এডোরা’য় হৃদরোগীদের উন্নত চিকিৎসা দেয়ার লক্ষ্যে স্থাপিত ‘ক্যাথ ল্যাব’ উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবা খাতে সিলেটের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। ভৌগলিক কারণে ভারতের সেভেন সিস্টারখ্যাত সাতটি রাজ্যে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সেবা প্রদানের অনেক সুযোগ রয়েছে। এখন সিলেটসহ সারাদেশ থেকে অনেক মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। কিন্তু সিলেটে স্বাস্থ্যসেবা খাতের মান উন্নত করা গেলে ভারতের সেভেন সিস্টার থেকে রোগীরা এ অঞ্চলে সেবা নিতে আসবেন।
আরও পড়ুন: দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা হাতে গোনা: মন্ত্রী মোমেন
করোনাকালীন মাউন্ট এডোরা হাসপাতাল কোভিড রোগীদের সেবা নিশ্চিত করায় প্রতিষ্ঠানটির প্রশংসা করেন মন্ত্রী। সিলেটের মানুষকে যাতে দেশের অন্য স্থানে বা দেশের বাইওে যেতে না হয় সেরকম মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন। মন্ত্রী ক্যাথল্যাব উদ্বোধনের পাশাপাশি হাসপাতালের মডিউলার অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শন করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন মিউজিয়ামে, মীমাংসার সুযোগ নেই: সেতুমন্ত্রী
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি এখন মিউজিয়ামে। মীমাংসিত বিষয়ে নতুন করে বিতর্কের সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র কিছুটা হলেও বিকাশ হয়েছে। এটা একটা ধীরগতির প্রক্রিয়া। রাতারাতি এর বিকাশ হওয়ার সুযোগ নেই। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।’
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ নয়: ওবায়দুল কাদের
রবিবার দুপুরে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পুনর্বাসন সাইটসমূহে বরাদ্দকৃত প্লটের লিজ দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তাই কোন বিশৃঙ্খলা না করে সকলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের আদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ২০১১ সালেই বিদায় নিয়েছে। এটা মীমাংসিত বিষয়। উচ্চ আদালতই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে যাদুঘরে পাঠিয়েছে।’
আরও পড়ুন: সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশন গঠনে কাজ হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চান। কিন্তু, আপনাদের নেত্রী এক সময় বলেছিলেন, পাগল আর শিশু ছাড়া নিরপেক্ষ কেউ নেই।’
পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার সোনালী ফসল পদ্মা সেতু। সেতু নির্মাণের আগে ছিল পদ্মার ভাঙনের তাণ্ডব। বঙ্গবন্ধু কন্যা ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘আমি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে প্রমাণ করবো বাঙালি চুরি করে না, বাঙালি বীরের জাতি।’
আরও পড়ুন: রোজিনা ইস্যুতে সাংবাদিকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের
সেতু বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এস এম জাহিদ হোসেন, পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না:হানিফ
বাংলাদেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যকর হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
তিনি বলেন, ‘ নির্বাচনে অংশ নেয়া বা না নেয়া প্রতিটি রাজনৈতিক নেতা বা দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। তাই কোন রাজনৈতিক দল যদি অংশ নিতে না চান তাতেও তাদের অধিকার রয়েছে। তবে এই বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কখনো হবে না।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা সরকারের কোনো বিকল্প নেই: হানিফ
শনিবার দুপুরে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চাঁদপুর জেলা শাখা আয়োজিত তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় হানিফ এসব কথা বলেন।
আওয়াম লীগ নেতা বলেন, ‘মির্জা ফখরুল একটি কথা বলেছেন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না। এ কথাটি ২০০১-২০০৬ সালে একাধিকবার জনসভায় বেগম খালেদা জিয়াও বলেছিলেন আওয়ামী ৩০টির বেশি আসন পাবে না। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ৩০টিরও কম আসন পেয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসার চেয়ে নেতা-কর্মীরা রাজনীতি নিয়ে বেশি ব্যস্ত: হানিফ
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলও জানেন আগামী নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হওয়ার কোন সুযোগ নেই। নির্বাচনে তারা জনগণ থেকে আবার ধিকৃত হবেন। কারণ তারা দেশের ও জনগণের জন্যে এমন কোন কাজ করে নাই, যে কারণে জনগণ তাদের জন্যে আস্থাশীল হবেন। তাদের কুকর্ম, অতীতের কর্মকাণ্ড, দুর্নীতি ও পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ হত্যার কারণে তারা মানুষের থেকে এতটাই দূরে সরে গেছে যে তারা শুধু আগামী নির্বাচন কেন তাদের জীবদ্দশায় কখনো নির্বাচনে জয়লাভ করবে কিনা আমার মনে হয় মানুষ তা ভাবছে না।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা সকল রাজনৈতিক দল নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে উৎসবমুখরভাবে ভোট প্রদান করবেন এবং তারা তাদের পছন্দের দলকে নির্বাচিত করবে, এটাই তাদের প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব বর্হিবিশ্বে প্রশংসিত: হানিফ
আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ড. মহিউদ্দন খান আলমগীর এমপি, সাবেকমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি বক্তব্য দেন।