নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সোমবার সংসদে বলেছেন, পদ্মা সেতুর চালু হওয়ার কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলমুখী প্রায় সব নৌপথে যাত্রী সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা নদী বন্দর থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮৫ থেকে ৯০টি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলে (সেতু খোলার আগে) চলাচল করত। কিন্তু এখন ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬০-৬৫টি লঞ্চ চলাচল করছে।’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বপ্নের সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীরা দ্রুত সড়কপথে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হচ্ছে।
‘তবে, নৌপথে যাত্রী চলাচলে বেশি সময় লাগে বলে কয়েকটি ছাড়া প্রায় সব নৌপথে যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে’, তিনি আরও যোগ করেন।
খালিদ মাহমুদ জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি রুটে ৮৭টি লঞ্চ ও ১৫৫টি স্পিড বোট চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তবে আগামী ছয় মাসের মধ্যে নৌপথে যাত্রী কিছুটা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রী ও কার্গো পরিবহনের জন্য নতুন নদী রুট তৈরির সম্ভাব্যতা সমীক্ষা অব্যাহত রয়েছে, তিনি যোগ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এমনকি ঢাকা-মোরেলগঞ্জ-ঢাকা অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটে বিআইডব্লিউটিসি'র খ্যাতিমান স্টিমার 'দ্য রকেট'-এর যাত্রীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। এখন সহজভাবে সড়কপথে যাত্রা করতে পারেন, সময় ও অর্থ উভয়ই বাঁচিয়ে।
একইভাবে, মাওয়া ও মাঝিরকান্দির মধ্যে চলাচলকারী ফেরি সার্ভিসও ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়ার কারণে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি রুটে নৌযান চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এসবই বিআইডব্লিউটিসি’র রাজস্বের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ এখনও মুক্ত হতে পারেনি: খালিদ মাহমুদ