সংসদ ভবন
জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সংসদীয় কমিটির ৩২তম সভা অনুষ্ঠিত
সংসদ ভবনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩২তম সভা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কপ-২৭ সম্মেলন থেকে প্রত্যাশা ও বাস্তবতাসহ বেশ কিছু বিষয় যেমন- সেন্ট মার্টিন দ্বীপে গড়ে ওঠা হোটেল, মোটেল, রিসোর্টের মালিকদের তালিকা এবং বন অধিদপ্তরে নিয়োগ, পদোন্নতি, অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ, ব্লু ইকোনমি ও পোভার্টি এনভায়রনমেন্ট নেক্সাসসহ সিস্টেম অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যাকাউন্টিং (এসইইএ) বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
কমিটি সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অবৈধভাবে হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট গড়ে তোলার মালিকদের নাম উপস্থাপন এবং ব্যক্তিগতভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণ নারীদের মাতৃত্বকালীন ভাতা বৃদ্ধির সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
এ ছাড়া কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ম্যানগ্রোভ বন নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শেখ রাসেল ইকোপার্ক বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের জন্য খুলনার জেলা প্রশাসককে চিঠি পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়।
কমিটি মন্ত্রণালয়কে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন পরবর্তী জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলনে, কপ-২৮ এর জন্য বাংলাদেশ থেকে একজন কো-চেয়ারম্যান নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে ও এ বিষয়ে প্রচার প্রচারণা চালাতে বলেছে।
এসইইএ প্রকল্পের সার্বিক সহযোগিতার জন্য তথ্য ও উপাত্ত প্রদানে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে সহায়তা করার জন্য একটি সুপারিশও করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি বন্ধের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
দেবোত্তর সম্পত্তি সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সুপারিশ আত্মঘাতী: ঐক্য পরিষদ
১ বছর আগে
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশের অর্থ পরিশোধে টান পড়তে পারে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে দেশের অর্থ প্রদানের ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙার এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির দুর্বল প্রবৃদ্ধি, সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন, জ্বালানি, গ্যাসও খাদ্য সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি, ভোক্তা পণ্য, শিল্পের কাঁচামাল ও আন্তর্জাতিক মালবাহী খরচ বৃদ্ধি, রপ্তানি বন্ধ, রেমিট্যান্স কম আহরণসহ নানা কারণে বাংলাদেশের অর্থপ্রদানে ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সংসদ নেত্রী হাসিনা আরও বলেন, গত চৌদ্দ বছরে ঋণ ও বাজেট ঘাটতি উভয়কে টেকসই ও সহনশীল করে তার সরকার উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
পড়ুন: জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, করোনা মহামারিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা সমস্যার মধ্যেও বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশ ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।
ঋণ ও জিডিপি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে, যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের শেষে ঋণ ও জিডিপির হার ৩৪ শতাংশ রাখা যা আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের স্বীকৃত ঋণের সীমার অনেক নিচে।
তিনি এসময় বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলায় তার সরকারের পদক্ষেপগুলোকে তুলে ধরেন।
জাতীয় পার্টির ঢাকার আরেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসাইন এর প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাহিদার আলোকে যে পরিমাণ
বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা আছে সে হিসাবে দেশে কোন বিদ্যুৎ সংকট নেই।
পড়ুন: আ.লীগ নেতা নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
তিনি অবশ্য বলেন, জ্বালানি সাশ্রয়ে মিতব্যয়িতা, পরিকল্পিত লোডশেডিং –এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে চলমান সসম্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে, বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকার ১০০০-২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লোডশেডিং দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপগুলোর মধ্যে সহনশীল মাত্রায় লোডশেডিং দিচ্ছে।’
তিনি অবশ্য আশা করছেন যে অল্প কিছুদিন পরই বর্তমান বিদ্যুতের লোডশেডিং বন্ধ করা যাবে।
পরিস্থিতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়া শুরু হলে ও বিদ্যুৎ ব্যয়ে মিতব্যয়ীতা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে উন্নতির আশা করা যায়।
নাটোরের ক্ষমতাসীন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম শহিদুল ইসলাম বকুলের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন বর্তমানে দেশে ৭ দশমিক শূণ্য এক মেট্রিক টন পরিশোধিত ও অপরিশোধিত তেল আছে যা দিয়ে ৩০-৩৫ দিন চলবে।
তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে দেশে নিরবিচ্ছিন্ন তেল সরবরাহ নিশ্চিত করতে আরও দুটি তেলের ট্যাংকার দেশে পৌঁছাবে।
তিনি বলেন, আগামী ছয়মাসের জন্য (জুলাই-ডিসেম্বর)দেশের চাহিদার আলোকে সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোকে আমদানি আদেশ দেয়া আছে ।
সংসদীয় বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫২১জন নারীসহ দেশের ৬ হাজার ৮৩৬ জন শান্তিরক্ষী বিশ্বের জাতিসংঘের অধীনে ৮টি মিশনে নিয়োজিত রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিশনে দায়িত্ব পালনকালে মোট ১৬১ জন নিহত ও ২৫৮ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো সংকট বাংলাদেশে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
পদ্মা সেতু: দক্ষিণাঞ্চলমুখী নৌপথে যাত্রী কমায় ৩০টি লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সোমবার সংসদে বলেছেন, পদ্মা সেতুর চালু হওয়ার কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলমুখী প্রায় সব নৌপথে যাত্রী সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা নদী বন্দর থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮৫ থেকে ৯০টি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলে (সেতু খোলার আগে) চলাচল করত। কিন্তু এখন ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬০-৬৫টি লঞ্চ চলাচল করছে।’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বপ্নের সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীরা দ্রুত সড়কপথে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হচ্ছে।
‘তবে, নৌপথে যাত্রী চলাচলে বেশি সময় লাগে বলে কয়েকটি ছাড়া প্রায় সব নৌপথে যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে’, তিনি আরও যোগ করেন।
খালিদ মাহমুদ জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি রুটে ৮৭টি লঞ্চ ও ১৫৫টি স্পিড বোট চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তবে আগামী ছয় মাসের মধ্যে নৌপথে যাত্রী কিছুটা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রী ও কার্গো পরিবহনের জন্য নতুন নদী রুট তৈরির সম্ভাব্যতা সমীক্ষা অব্যাহত রয়েছে, তিনি যোগ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এমনকি ঢাকা-মোরেলগঞ্জ-ঢাকা অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটে বিআইডব্লিউটিসি'র খ্যাতিমান স্টিমার 'দ্য রকেট'-এর যাত্রীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। এখন সহজভাবে সড়কপথে যাত্রা করতে পারেন, সময় ও অর্থ উভয়ই বাঁচিয়ে।
একইভাবে, মাওয়া ও মাঝিরকান্দির মধ্যে চলাচলকারী ফেরি সার্ভিসও ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়ার কারণে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি রুটে নৌযান চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এসবই বিআইডব্লিউটিসি’র রাজস্বের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ এখনও মুক্ত হতে পারেনি: খালিদ মাহমুদ
২ বছর আগে
ডেপুটি স্পিকার হলেন শামসুল হক টুকু
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার জাতীয় সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন।
সংসদীয় আসন পাবনা-১ এর ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-এ আলাম চৌধুরী ডেপুটি স্পিকার হিসেবে শামসুল হক টুকুর নাম প্রস্তাব করেন। এরপর তার প্রস্তাবকে সমর্থন করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম।
স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে পরিচালিত অধিবেশনে প্রস্তাবটি পাস করার জন্য উত্থাপন করা হলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
রবিবার নব নির্বাচিত ডেপুটি স্পিকার সন্ধ্যা সাতটায় জাতীয় সংসদের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে শপথ নিয়েছেন।
গত ২২ জুলাই ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বির মৃত্যুতে পদ শূন্য হওয়া নতুন ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হলো।
টুকু ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো পাবনা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। একই বছরের জুলাইতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দশম ও একাদশ সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ বৈধ
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
চিরনিদ্রায় শায়িত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি
২ বছর আগে
সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ বৈধ
সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত বৈধ বলে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ এ রায় দিয়েছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
এর আগে ২০০২ সালে সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হলে ২০০৩ সালে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস।
রিট আবেদনে বলা হয়, লুই আই কানের মূল নকশা লঙ্ঘন করে সংসদ ভবন এলাকায় এসব আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ২১ জুন হাইকোর্ট ওই রিট আবেদনের ওপর রায়ে বলেন, সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ কার্যক্রম অবৈধ। সেই সঙ্গে রায়ে সংসদ ভবন এলাকাকে জাতীয় ঐতিহ্য ঘোষণার নির্দেশ দেন।
তবে হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করলে তা মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল করেন। অবশ্য হাইকোর্টের রায় স্থগিত থাকা অবস্থায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ শেষ হয়। ২০১৫ সালে আপিলের শুনানিকালে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষকে লুই আইকানের মূল নকশা দাখিল করতে বলেন। পরে মূল নকশা বিদেশ থেকে এনে তা দাখিল কর হয়।
অবশেষে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল আজ মঞ্জুর করে রায় দেন আপিল বিভাগ। রায়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত আজ হাইকোর্টের রায় (স্যাটাসাইড) বাতিল করেন।
পড়ুন: অর্থ পাচার নিয়ে সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য বিব্রতকর: হাইকোর্ট
সুইস ব্যাংকের কাছে তথ্য না চাওয়ার কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
২ বছর আগে
এসি, বাতি বন্ধ রেখে সংসদীয় কমিটির বৈঠক
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), এমনকি বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার না করেই বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি বৈঠক করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মঙ্গলবার সংসদ ভবনের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে সভা পরিচালনার জন্য বাইরে থেকে দিনের আলো যথেষ্ট ছিল বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারপার্সন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ওয়াসেকা আয়শা খান।
ওয়াসেকা দাবি করেছেন যে সভায় আইন প্রণেতারা এবং অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সংসদ সচিবালয় সূত্র বলেছে, কোনও লোডশেডিং না থাকা সত্ত্বেও গরমের মধ্যে এসি ও বাতি ছাড়া কোন কমিটির এটিই প্রথম বৈঠক।
তিনি বলেন, সভা পরিচালনার জন্য বাইরের দিনের আলোই যথেষ্ট ছিল।
কমিটি বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে বিভিন্ন সরকারি ভবনে এনার্জি অডিট করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়: মঙ্গলবার থেকে দেশে দৈনিক এক ঘণ্টা লোডশেডিং
সভায় প্রধান বৈদ্যুতিক পরিদর্শন (সিইআই) দপ্তরের কার্যক্রম এবং দেশের সার্বিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ ওয়াসেকা বলেন, প্রাথমিকভাবে সংসদীয় কমিটি একটি সরকারি ভবনে এনার্জি অডিট করতে বলেছে যেখানে এসি ব্যবহারের কারণে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ হয়।
‘টেকসই এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় বিদ্যুৎ বিভাগকে অডিট পরিচালনা করতে বলা হয়েছে’, তিনি বলেন।
অডিট রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে বলেও ওয়াসেকা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সংসদীয় কমিটি চায় বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও পরিবেশ রক্ষার জন্য সব সরকারি ভবনগুলোকে জ্বালানি সাশ্রয়ী কাঠামোতে পরিণত করা হোক।
বৈঠকে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের বিপরীতে গৃহীত বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ সংক্রান্ত প্রতিবেদন কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়।
কমিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধের জন্য প্রবিধান প্রণয়নের সুপারিশ করেছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা
গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান নসরুল হামিদের
২ বছর আগে
বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কায় সংসদ ভবনে সেনাবাহিনীর ব্যারিকেড
শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের দখলের বিরুদ্ধে দেশটির সংসদ ভবন সুরক্ষিত করতে বৃহস্পতিবার সামরিক বাহিনী অগ্রসর হয়েছে।
চরম অর্থনৈতিক মন্দার জেরে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে ও তার স্ত্রী বুধবার বিমান বাহিনীর একটি জেটে মালদ্বীপে পালিয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বানানোর পদক্ষেপ জনসাধারণের বিক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তুলে।
গতকাল প্রবেশদ্বারে হামলা চেষ্টা এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর আরও প্রতিবাদ হতে পারে এমন আশঙ্কায় সবুজ সামরিক ইউনিফর্ম ও সাদাপোশাকে সেনা সদস্যরা সাঁজোয়া যানে করে সংসদ ভবনে পৌঁছায়।
কিছু বিক্ষোভকারী সহিংসতা বৃদ্ধির ভয়ে সংসদে হামলা না করার অনুরোধ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় দেশব্যাপী কারফিউ জারি করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট
শ্রীলঙ্কায় নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
২ বছর আগে
সংসদ ভবন এলাকায় অস্ত্র বহন ও সমাবেশ নিষিদ্ধ
একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনকে সামনে রেখে শনিবার মধ্যরাত থেকে সংসদ ভবন এলাকায় সব ধরনের অস্ত্র, বিস্ফোরক, অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থ বহন এবং সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
রবিবার শুরু হচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশন।
শনিবার ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংসদ অধিবেশন নির্বিঘ্নে চলা নিশ্চিত করতে ডিএমপি এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশন শুরু রবিবার
বিধিনিষেধের আওতায় থাকা সড়ক ও এলাকাগুলো হলো- ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং থেকে পুরাতন বিমানবন্দর হয়ে বাংলামোটর ক্রসিং, বাংলামোটর লিংক রোড থেকে হোটেল সোনারগাঁ রোড হয়ে সার্ক ফোয়ারা, পান্থপথের পূর্ব প্রান্ত থেকে ফার্মগেট হয়ে গ্রিন রোড সংযোগ সড়ক, শ্যামলী ক্রসিং থেকে ধানমন্ডি-১৮ (পুরাতন-২৭) রোডের মোড় পর্যন্ত, রোকেয়া সরণি লিংক রোড থেকে পুরাতন ৯ম ডিভিশন ক্রসিং থেকে বিজয় সরণি পর্যটন ক্রসিং পর্যন্ত, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত, জাতীয় সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং সীমানার মধ্যে অবস্থিত সব রাস্তা ও গলিপথ।
জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: সংসদে সাধারণ আলোচনার জন্য ১৪৭ বিধিতে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
২৪ নভেম্বর সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি
২ বছর আগে
এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বুধবার সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ ডিএমপির
উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার কেন্দ্রে যেতে বুধবার হাতে সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার বাংলাদেশ সফরে আসা অতিথিদের নিরাপদ যাতায়াতে শহরের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে ডিএমপি।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের নিমন্ত্রণে ভারতের রাষ্ট্রপতি তাঁর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তাই এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অনুরোধ করব তারা যেন হাতে সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হন। কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে পৌঁছাতে সমস্যায় পড়লে সহায়তার জন্য তিনি যেন ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। তাদের নিজ নিজ কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু
তিনি বলেন, বিজয় দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনশতবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীতে চার স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সব ভেনু এসবি, এসএসএফ, র্যাব ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড তল্লাশি করবে। সংসদ ও এর সংলগ্ন এলাকার উঁচু ভবনে সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
এছাড়া জরুরি সেবার জন্য বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট এবং বিশেষ অস্ত্র ও কৌশল (সোয়াট) দলকে প্রস্তুত রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
এ বছর বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে।
তিনদিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠান ১৫ ডিসেম্বর শুরু হবে। করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
প্যারেড স্কোয়ার গ্রাউন্ডে সাত দেশের অতিথিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
কোনো নিরাপত্তা হুমকি আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই। তবে বৈশ্বিক ও দেশীয় পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
সম্ভাব্য জঙ্গী তৎপরতা নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘জঙ্গীরা সব সময় তৎপর থাকে এবং তারা কোনো সুযোগ হারাতে চায় না। তাই এসব বিবেচনায় নিয়ে আমরা আমাদের পরিকল্পনা করেছি।’
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা নির্বিঘ্ন রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান দীপু মনির
ওমিক্রন: ক্লাস নেয়ার দিন বাড়ানো যাবে না, চলবে এইচএসসি পরীক্ষা
৩ বছর আগে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বলেছেন, শিগগিরই সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করার ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘আমরা করোনাভাইরাসকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। টিকা নিয়ে আর কোনো সমস্যা নেই… আমি ইতোমধ্যে (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে) নির্দেশ দিয়েছি। শিগগিরই স্কুল-কলেজ পুনরায় চালু করতে।’
আরও পড়ুন: মাসে এক কোটির বেশি টিকার ব্যবস্থা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাংসদ হাসিবুর রহমান স্বপনের (সিরাজগঞ্জ-৬) মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সংসদে রাখা শোক প্রস্তাবের আলোচনায় যোগদানকালে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষকদের ইতোমধ্যে টিকা দেয়া হয়েছে এবং এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মীদের টিকা দেয়ার পদক্ষেপ চলছে।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কিছু নির্দেশিকা আছে, তাই আমরা নির্দেশিকা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: টাইগারদের জয়ে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
তাই হাসিনা বলেন, সরকার কিছু ফাইজার টিকা সংগ্রহ করছে এবং মডার্নার টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে। ‘অন্যান্য টিকাও আসছে। আমরা ইতোমধ্যে ছয়টি ব্রান্ডের টিকার জন্য অর্থ প্রদান করেছি’, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে এ কথা বলেন।
৩ বছর আগে