তিনি বলেন, ‘এটি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের পাশাপাশি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির কৌশল ও কূটনীতি সম্পর্কে মানসম্পন্ন গবেষণার জন্য একটি শ্রেষ্ঠ কেন্দ্র হবে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতিসংঘে দেয়া প্রথম ঐতিহাসিক বাংলা বক্তৃতার স্মরণে এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমির নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ড. মোমেন এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো, বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির প্রিন্সিপাল সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খুন্দকার, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭৪ সালের এ দিনে (২৫ সেপ্টেম্বর) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দেন।
ড. মোমেন বলেন, দূরদর্শী নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভিশন-২০২১, ভিশন-২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০-এ কয়েকটি রোডম্যাপ রেখেছেন।
‘আমাদের সম্পদ দিয়ে তার ভিশনগুলো অর্জনে আমরা দুটি প্যাকেজ তৈরি করেছি যার একটি অর্থনৈতিক কূটনীতি এবং অন্যটি পাবলিক কূটনীতি,’ বলেন মন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কূটনীতিতে পাঁচটি উপাদান রয়েছে।
সরকার বর্তমানে অর্থনৈতিক ও পাবলিক কূটনীতি অনুসরণ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিনিয়োগ আকৃষ্ট, বাণিজ্য বৃদ্ধি, প্রযুক্তি আহরণ, বিদেশে বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিদেশে বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করা।
গত ১১ বছরে বাংলাদেশ চমৎকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ‘মূলত গত বছর আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ যা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) হিসাব অনুযায়ী এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।’
ফরেন সার্ভিস একাডেমির সুগন্ধা ভবনটি জাতির পিতার সমৃদ্ধ স্মৃতি বহন করছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি এবং তৎকালীন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটিই বঙ্গবন্ধুর প্রথম কার্যালয়।
এ অফিস থেকে তিনি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার আলম বলেন, আজ একটি অদম্য জাতির উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত।
তিনি বলেন, ‘আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে দেশ আজ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো মেগা-প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী একজন সত্যিকারের রাজনীতিবিদের সাহস দেখিয়েছেন।
‘মেট্রো রেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, পায়রা ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরগুলোর মতো মেগা প্রকল্প তার মেধাবী নেতৃত্বের প্রতি আমাদের বিশ্বাসকে উৎসাহিত করে,’ বলেন তিনি।