জাপান ও বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় ইস্যু ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে এক মতবিনিময় করেছে।
সোমবার বিকালে মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু এটি আমাদের প্রথম বৈঠক, তাই আমরা মতবিনিময় করেছি।’
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ডিক্যাব সদস্যদের সংবর্ধনা
২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বঙ্গভবনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তার প্রমাণপত্র পেশ করেন।
তিনি তার প্রমাণপত্র জমা দেয়ার পরে বলেছিলেন, ‘আমি ২০২২ সালে রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমার দায়িত্ব শুরু করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। কেননা এ বছর জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।’
বাংলাদেশে আসার আগে তিনি জেনেছেন যে, অনেক জাপানি বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে ৫০ বছর ধরে এদেশের উন্নয়নে জড়িত এবং কঠোর পরিশ্রম করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট উদ্যোগের (বিআইজি-বি) অধীনে অর্থনৈতিক অবকাঠামোর উন্নতিতে অবদান রাখার জন্য অনেক মেগা প্রকল্প চলছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের একটি প্রধান ও বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে জাপানের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তাই বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দেশটি ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে উন্নীত হবে।
কিমিনোরি বলেন, ‘এই দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে আমি অনুভব করছি যে জাপানি ব্যবসায়িক মহলের পক্ষ থেকে এই দেশে ব্যবসা করতে আগ্রহীদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রত্যাশা রয়েছে। রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমি জাপানি কোম্পানিগুলোর কথা শুনে ও সমর্থন করার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আরও অবদান রাখতে চাই।’
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানালেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি