বিশ্বব্যাপী যে উষ্ণায়ন হচ্ছে সেটাকে মাথায় রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অবকাঠামো তৈরি করতে আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে ইনোভেশন আনতে হবে। ইনোভেশনের জায়গায় আমরা যথাযথভাবে এগিয়ে যাচ্ছি না। কিছু ইনোভেশন করতে পারলে আমরা খরচ কমাতে পারি।
তিনি আরও বলেন, তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে এনে স্থাপনাগুলো করা যেতে পারে। পরিবেশবান্ধব স্থাপনা তৈরি করারও আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির ব্যবহারকারী না হয়ে প্রযুক্তির উদ্ভাবক হতে স্নাতকদের প্রতি আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর আয়োজিত ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপি বাস্তবায়ন এবং চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি ও মূল্যায়ন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন যেহেতু কারিকুলামে অ্যাক্টিভিটি করতে হয়, সেহেতু বিদ্যালয়গুলোর অভ্যন্তরীণ ডিজাইনে কীভাবে পরিবর্তন আনা যায় সেটা ভাবতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে— শিক্ষা পরিবারের মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিকে যে ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর সবগুলোর যাতে কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা না থাকে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করব শুধুমাত্র দাপ্তরিক কাজে নিজেদের ব্যস্ত রাখলেই হবে না। দাপ্তরিক কাজ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আমাদের যেটা অভিজ্ঞতা, আমরা দেখছি, আমরা (প্রকৌশলীরা) দাপ্তরিক কাজে সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার হোন অথবা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হোন তাকে অবশ্যই মাঠে যেতে হবে। মাথায় হেলমেট পরে, চোখে সান গ্লাস লাগিয়ে হাতা গুটিয়ে মাঠে নামতে হবে। আপনি মাঠে না নামলে আমার সন্তানও আপনাকে দেখে মাঠে নামবে না। আপনার সন্তান যদি দেখে আপনি মাঠে নামছেন না তাহলে তাদের মধ্যে ধারণা হবে প্রকৌশলীর কাজ তো ফ্যানের নিচে বসে থাকা, ফাইল সই করা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুর রহমান খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার।
মো. সোলেমান খান বলেন, নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী টিচিং ও লার্নিং পদ্ধতি ভিন্ন। সে অনুযায়ী অবকাঠামো উন্নয়ন ও আসবার পত্র সরবরাহ করতে হবে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২৩ থেকে ২৪ অর্থবছরের প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি হার ৮৩ শতাংশ (এপ্রিল ২৪ পর্যন্ত), যা জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ৪১টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৪০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রায় ২২ হাজার ভবন নির্মাণ করেছে।
কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৩০ জন সহকারী প্রকৌশলী, ৪০ জন উপসহকারী প্রকৌশলীর বুনিয়াদি প্রশিক্ষণসহ নানা পর্যায়ের ২০২৮ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্মরণশক্তিকে মেধা বলার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
সুপারিশের কার্যকারিতা নেই, জল ঘোলা করার চেষ্টা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী