একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের সপ্তাহিক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সভায় ভার্চ্যুয়ালি সভাপতিত্ব করেন। আর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা একনেক সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের ভার্চ্যুয়ালি ব্রিফ করেন।
তিনি জানান, আজ একনেকের সভায় ৭,৫০৫ কোটি ২৯ লাখ টাকার মোট পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. জাকির হোসেন আকন্দ জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) দেশের ৫৫ জেলার ৩৫৫ উপজেলায় ‘ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন’ প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে।
আসাদুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দ্রুত মেরামতে অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, যাতে কাজের মাঝে ওভারল্যাপিং না হয়।
নদী ভাঙন রোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন যে নদী ভাঙন রোধে প্রধান কৌশল হতে হবে মূল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখা। সেই সাথে তিনি নদীতে ডুবোচর চিহ্নিত করতে ও ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে সেগুলো সরাতে এবং পানি সংরক্ষণে বাফার জোন করতে পুনরায় জোর দিয়েছেন।
তিনি নদীর পলি যাতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি না করে সে জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা রাস্তার কাজে উন্নত মানের বিটুমিন ব্যবহার করে কাজের মান নিশ্চিত করতে এবং রাস্তায় যাতে বেশি সময় পানি জমে না থাকে তা দেখতে স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সেই সাথে তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের নেতৃত্বে গ্রামীণ রাস্তা ও অবকাঠামো বিষয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন।
অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্প
একনেক আজ বাকি যে চারটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে যেগুলো হলো- ৭৯৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকার ‘যমুনা নদীর ডান তীরের ভাঙন হতে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলাধীন কাতলামারী ও সাঘাটা উপজেলাধীন গোবিন্দি এবং হলদিয়া এলাকা রক্ষা’ প্রকল্প, ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে ‘পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প: বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলা’ প্রকল্প, ৩৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ‘খুলনা সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ১০২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয় বাড়িয়ে প্রথম সংশোধিত ‘শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী নির্মাণ’ প্রকল্প।