বেসরকারি সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি (এনসিপিএসআরআর) রবিবার তাদের নিয়মিত মাসিক জরিপ এবং পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।
দেশব্যাপী বিভিন্ন মহাসড়ক, জাতীয়, আন্তঃজেলা এবং আঞ্চলিক সড়কে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে’র মধ্যে এসব মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে।
২২টি জাতীয় দৈনিক, ১০টি আঞ্চলিক পত্রিকা এবং আটটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও নিউজ এজেন্সির তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী- জানুয়ারিতে ৩৮৩ দুর্ঘটনায় ৫৩ নারী ও ৭১ শিশুসহ ৪১১ জন নিহত এবং ৭২৫ জন আহত হয়েছেন।
ফেব্রুয়ারিতে ৪০১ দুর্ঘটনায় ৪১৫ জন নিহত এবং ৮৮৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫৮ জন নারী এবং ৬২টি শিশু রয়েছে।
মার্চে ৩৮৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬ নারী এবং ৮২ শিশুসহ ৩৮৬ জন নিহত এবং ৮২০ জন আহত হয়েছেন।
এপ্রিলে ৩২৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ৩৪০ জন নিহত এবং ৬১০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩৮ জন নারী এবং ৫৩টি শিশু রয়েছে।
মে মাসে ২৯৭ দুর্ঘটনায় ৪৭ নারী এবং ৪৪ শিশুসহ ৩৩৮ জন নিহত এবং ৫০৪ জন আহত হয়েছেন।
জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, তারা সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধির পেছনে কতগুলো বড় কারণ চিহ্নিত করেছেন।
কারণগুলো হলো: চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা এবং বেপরোয়া গাড়ি চালানোর প্রবণতা, দৈনিক চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালানো, লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব এবং ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ওভারটেকিং করা।
এছাড়া বিরতি ছাড়াই দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালানো, আনফিট গাড়ি বন্ধে আইনের প্রয়োগ না থাকা, দীর্ঘ পথে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ, সড়ক ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি বৃদ্ধিও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।