শেখ হাসিনা দুই প্রতিবেশী দেশের ব্যবসা ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য সহযোগিতাও চেয়েছেন।
হাসিনা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নেপালি রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারীর সাথে বৈঠকে এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘পিটিএ দুই দেশের জন্য উপকারী হবে।’
বাংলাদেশে নেপালি রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের দেশটির অস্ত্র সরবরাহ এবং নৈতিক সহায়তার বিষয়টি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সবসময় নেপালকে জলবায়ু ভালনারেবল দেশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক সফরে ঢাকায় নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী
বিবিআইএন কানেক্টিভিটির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল ও ভারতের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারত পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে পারে যা তিনটি দেশের জন্যই ভালো হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেক নেপালি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে অবস্থান করছে এবং উচ্চতর পড়াশোনা শেষ করছে।
নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী বলেন, বাংলাদেশে তিনি তার প্রথম সফরে জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে খুশি।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষে বাংলাদেশ সফর বিবেচনা করার প্রত্যয় ওমান সুলতানের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা দু'দেশের মধ্যে অর্থবহ সহযোগিতা চাই।’
নারীদের উন্নয়নের বিষয়ে বিদ্যা দেবী বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় উন্নয়নের কাজে নারীদের অংশগ্রহণের রোল মডেল হতে পারে।
বিদ্যা দেবী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক গভীর করতে চায় নেপাল