সেই সাথে ২০১৪ সালে পুলিশ হেফাজতে থাকা ইশতিয়াক হোসেন জনির মৃত্যুতে দায়ের করা মামলায় পুলিশের দুই তথ্য সরবরাহকারীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পল্লবী থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক জাহিদুর রহমান, সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক কামরুজ্জামান মিন্টু ও রাশেদুল ইসলাম এবং তাদের তথ্য সরবরাহকারী মো. সুমন ও মো. রাসেল।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম এমরুল কায়েশ এ রায় দেন।
ওই তিন পুলিশের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
অভিযুক্তদের প্রত্যেককে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ লাখ টাকা প্রদানেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাদেরকে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার অনুমতি পাবেন না তারা।
পুলিশের হয়ে কাজ করা গোয়েন্দা সুমন ও রাসেলকে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারদণ্ড দেয়া হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন এএসআই এবং তথ্যদাতা রাসেল পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ভুক্তভোগীর ভাই এক মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত এ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সরের ১৭ এপ্রিল অভিযোগ গঠন করে।
মামলার বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি জনি পল্লবীর ১১ নম্বর সেক্টরের ইরানি ক্যাম্পে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ওই অনুষ্ঠানে কয়েকজন মেয়েকে হয়রানি করছেন এমন অভিযোগে পুলিশের তথ্যদাতা সুমনের সাথে তার বাকবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে জনির থাপ্পর খেয়ে অনুষ্ঠানস্থল থেকে চলে আসার সময় এর পরিণতির খুব খারাপ হবে বলে হুমকি দেন সুমন।
এর আধঘণ্টা পর জনিকে তুলে পল্লবী থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে পুলিশ।
পরে থানা থেকে আহত জনিকে একটি হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।