মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম জানান, বাংলাদেশ শিগগিরই এ বিষয়ে একটি ইতিবাচক ফলের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানার পরপরই বাংলাদেশ নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে বিষয়টি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে উত্থাপন করেছে।
শাহরিয়ার বলেন, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞার যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ভারত বাংলাদেশকে আগেই জানিয়ে দেবে এমন একটি অলিখিত বোঝাপড়া রয়েছে।
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ২০১৯ সালের অক্টোবরে দিল্লি সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মন্তব্য করেছেন তিনি তা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের অক্টোবরে ভারতের একটি অনুষ্ঠানে হিন্দি ভাষায় বলেন, (ভারতীয় মিডিয়া অনুসারে) ‘আমি আশা করি আপনি হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার আগে আমাদের জানাবেন। আমি আমার রাঁধুনীদের বলেছি যেন পেঁয়াজ ছাড়াই রান্না করা হয়। আমি ভারতকে অনুরোধ করব এ জাতীয় পদক্ষেপ নেয়ার সময় আগেই আমাদের জানান। যাই হোক, আমরা প্রতিবেশি।’
এরপর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক হয়ে যায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা দাম বাড়ানোর জন্য পেঁয়াজ মজুদ করছেন আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হওয়ায় বাংলাদেশও অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবে।
শাহরিয়ার বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।