এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘প্রণব মুখার্জি ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশের শুরু থেকে তিনি সব সময়ই বাংলাদেশের মঙ্গলকামনা, শান্তি ও উন্নয়নের প্রতি তার অঙ্গীকারের জন্য এ দেশের মানুষের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছিলেন।’
ড. মোমেন উল্লেখ করেন, তার সুযোগ হয়েছিল প্রণব মুখার্জি ১৯৭৩-১৯৭৪ সালে ভারতের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে তার সংস্পর্শে আসার। ওই সময়ে তিনি ঢাকা শহরে আসলে তাকে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ারও সুযোগ হয় ড. মোমেনের।
তিনি বলেন, ‘আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমার প্রথম সফর ছিল ভারতে। তখন আমি সস্ত্রীক তার সরকারি বাসভবনে গিয়ে তাকে সম্মান জানাই প্রথমত ‘ভারত রত্ন’ সম্মানে ভূষিত হওয়ার জন্য এবং দ্বিতীয়ত তাকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সফরে আসার অনুরোধ করলে তিনি তা সঙ্গে সঙ্গে গ্রহণ করেন।’
পৃথক এক বার্তায় ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
ড. মোমেন এবং শাহরিয়ার আলম মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন এবং তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।
আগস্টের শুরুর দিকে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর কোমায় চলে যাওয়া প্রণব মুখার্জি সোমবার মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
প্রণবের ছেলে অভিজিৎ মুখার্জি এক টুইটে বলেন, ‘দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আপনাদের জানাচ্ছি যে আরআর হাসপাতালের চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রম সত্ত্বেও আমার বাবা শ্রী প্রণব মুখার্জি কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।’