পদ্মা সেতু সংযোগের এক্সপ্রেসওয়ে সড়কের ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার বগাইল টোল প্লাজায় শুরু হয়েছে টোল আদায়। তবে টোল আদায়ের কাউন্টার সংখ্যা কম থাকায় প্রথমদিনেই দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। এতে গাড়ির যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়েন। পরে টোল আদায়কারী কাউন্টার বাড়ানো হলে বিকাল ৫টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ভাঙ্গার বগাইল টোল প্লাজার ইনচার্জ ফারুক হোসেন বলেন, সেখানে টোল আদায়ের ১০টি কাউন্টার রয়েছে। তবে প্রথমদিনে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা ফ্লাইওভারমুখী পয়েন্টে তিনটি কাউন্টার দিয়ে এবং বিপরীত দিকে পদ্মা সেতু অভিমুখী সড়কের একটি কাউন্টার দিয়ে টোল আদায় শুরু করেন।
যাত্রী ও চালকেরা অভিযোগ করে জানান, টোল আদায়ে ধীরগতির কারণে সেখানে রাতেই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা টোল প্লাজার সামনে যানজটে আটকে থাকেন। সকাল নাগাদ যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং টোল আদায়কারীদের সাথে উচ্চ স্বরে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে যানবাহনের চাপের মুখে টোল আদায়ের কাউন্টার সংখ্যা বাড়ানো হয়।
গাড়ির চালক ও যাত্রীরা টোল আদায়ে চরম ধীরগতির অভিযোগ করেন। এভাবে চললে ঈদের আগে পরিস্থিতি আরও নাজুক হবে বলে তারা আশঙ্কা করেন।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হামিদউদ্দিন বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে আউটের জন্য তিনটি এবং সেতুতে ইনের জন্য একটি কাউন্টার চালু করা হয় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে। এতে সেখানে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সেখানে গাড়ি চালক ও যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। এসময় তাদের সাথে উত্তপ্ত বাদানুবাদ হলে ১১টার দিকে কাউন্টার সংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন সাতটি কাউন্টার দিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিকাল ৫টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
পড়ুন: পদ্মা সেতু কোরবানির আয়োজনে অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করেছে: মন্ত্রী
ষড়যন্ত্রে পদ্মা সেতুর নির্মাণ ২ বছর পিছিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী