প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি চুক্তি সই হয়েছে। রবিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে শুরু হয়ে ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত এ আলোচনা চলে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের এবং অপরদিকে ব্রুনাইয়ের পক্ষে সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ নেতৃত্ব দেন।
দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে আলোচনার পর তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি চুক্তি সই হয়।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সুলতান পৌঁছালে টাইগার গেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান।
আলোচনার পর বাংলাদেশ ও ব্রুনাই দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর চুক্তিসহ তিনটি দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন ব্রুনাই সুলতান
অন্য দুটি সহযোগিতার নথি বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ ও দুই দেশের নাবিকদের সনদপত্রের স্বীকৃতি সংক্রান্ত।
প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশি এখন তেল সমৃদ্ধ দেশ ব্রুনাইয়ে কাজ করছে।
শনিবার বিকালে বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ব্রুনাইয়ের সুলতান ঢাকায় আসেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২১ বন্দুকের স্যালুটের মধ্যে সুলতানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা: বাণিজ্যমন্ত্রী
ব্রুনাই দারুসসালামের হাই কমিশনার হারিস বিন উসমান বলেন, ২০১৯ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রুনাইয়ের দারুসসালামে ঐতিহাসিক সফর করেন। যা এক নতুন মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়। সেসময় গ্যাস সরবরাহ, মৎস্য, কৃষি, পশুসম্পদ, যুব, শিল্প, সংস্কৃতি, খেলাধুলার মতো খাতসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার জন্য বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়া ঢাকায় পৌঁছেছেন