বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির (বাডাস) একটি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন।
মঙ্গলবার বাডাস সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি গণভবনে যায়।
দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী, মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক রশিদ-ই-মাহবুব এবং জাতীয় পরিষদ সদস্য ও জাতীয় অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী এম এম এমরুল কায়েস ইউএনবিকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত’
বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী ৩০০টি ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রকে কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত করাসহ বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন (বাডাস) কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহায়তার আশ্বাস দেন।
সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) কর্তৃক ডায়াবেটিসের গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে শেখ হাসিনাকে মনোনীত করায় বাডাস নেতারা তাদের সমিতির পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানান।
আইডিএফ-এর ইতিহাসে সর্বপ্রথম বৈশ্বিক রাষ্ট্রদূত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন জানানোর জন্য সময় চাওয়া হলে, তিনি ভবিষ্যতে একটি সুবিধাজনক সময়ে তাদের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার সম্মতি দেন।
বৈঠকে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে জনবল তৈরিতে সরকারের বাইরে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সোসাইটির অসামান্য ভূমিকা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
বাডাস নেতারা বলেছেন, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা এবং ভারত আন্তর্জাতিক মানের ডাক্তার ও নার্স তৈরি করে এবং তাদের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোতে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে এবং এইভাবে তারা বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।
বাডাস সুযোগ পেলে বিদেশেও আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসক ও নার্স তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন রবিবার
তারা আরও বলেন, এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে পারলে বিভিন্ন দেশের ছেলে-মেয়েরাও এখানে বাংলাদেশে পড়ার সুযোগ পাবে এবং তাদের দেশগুলোও এ ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে।
এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি আরও কিছু নার্সিং কলেজ ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। বিষয়টি জানার পর প্রধানমন্ত্রী এ প্রচেষ্টায় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন ইতোমধ্যে একটি অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু করার পাশাপাশি ৩০০টি ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালু করার এবং সরকারের সহায়তায় এসব কেন্দ্রকে সরকারি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বাডাসকে তার সহায়তার আশ্বাস দেন এবং কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলায় ইতোমধ্যে এ ধরনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগে সহায়তা দেবে।
শেখ হাসিনা গ্রামীণ এলাকায় ডায়ালাইসিস সেবা ও ডায়াবেটিক সেবা দিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে বাডাস কর্তৃক প্রাপ্ত সুবিধাজনক সময়ে দুটি ভ্রাম্যমাণ সেবা উদ্বোধন করতে সম্মত হন।
প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়, বাডাসের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্পের (এইচসিডিপি) জন্য নেয়া ঋণের সুদ পুরোপুরি পরিশোধ করা হয়নি।
বাডাস নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে ৫০ শতাংশ সুদ পরিশোধ করা হয়েছে এবং বাকি সুদ পরিশোধের জন্যও তার সহযোগিতা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা