সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে তাদের শুভেচ্ছা জানান।
তিনি করোনাভাইরাস মহামারি এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবময় ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা কোভিড -১৯ মহামারী চলাকালীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ করে তিনি সেনাপ্রধান এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্যদের করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারীকালীন রোগীদের জরুরি স্থানান্তরসহ মানবিক কাজের জন্য নৌবাহিনী প্রধান, বিমান বাহিনী প্রধান, বাংলাদেশ নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীর ভূ-রাজনৈতিক ও সামরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার গত ১২ বছরে সব পদক্ষেপ নিয়েছে।
শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিরক্ষা নীতি অনুসরণ করে ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর সাথে তাল মিলিয়ে তিন বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকীকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তিন বাহিনীর প্রধানরা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১২ বছরে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।