এবারও ৮২ হাজার ৪২২ জন এ বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ৩৩ হাজার ট্যালেন্টপুল ও ৪৯ হাজার ৪২২ জন সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে। সেই সাথে ৭৮টি বৃত্তি রিজার্ভ রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকা প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে আগে ৫৫ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধার ভিত্তিতে বৃত্তি দেয়া হত। এর মাঝে ২২ হাজার ট্যালেন্টপুল ও ৩৩ হাজার জন সাধারণ বৃত্তি পেত। ২০১৫ সাল থেকে মোট ৮২ হাজার ৪২২ শিক্ষার্থী এ বৃত্তি পাচ্ছে। তাদের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তির অর্থ দেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, বৃত্তির সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃত্তির অর্থের পরিমাণও বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি প্রাপ্তদের মাসে ২০০ ও সাধারণদের ১৫০ টাকা করে দেয়া হলেও ২০১৫ থেকে যথাক্রমে মাসে ৩০০ ও ২২৫ টাকা করে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ, শ্রেণিকক্ষে তাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও সুষম মেধা বিকাশের লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করা হয়। সকল শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে। আগে বিদ্যালয় থেকে প্রথম সারির কিছু সংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল এবং অবশিষ্ট শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হত। এখন সে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যার অনুপাতে উপজেলা বা থানা কোটা নির্ধারণ করে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি বণ্টন করা হয়। আর সাধারণ বৃত্তি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ড ভিত্তিক বিতরণ করা হয়।
বৃত্তির ফলাফল অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট WWW.dpe.gov.lbd-এ এবং স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় হতে পাওয়া যাবে।