তিনি বলেন, ‘ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট সংক্রমণের হার আরও বাড়িয়ে দেয়ার আশঙ্কা থাকায় এ বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে কার্যকর গাইডলাইন তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনে পশুর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে।’
বুধবার নিজের সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন কাদের।
মন্ত্রী বলেন, ‘যত্রতত্র পশুর হাটের অনুমতি দেয়া যাবে না। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করলে কোরবানির পশুর হাট স্বাস্থ্যঝুঁকিকে ভয়ানক মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আগেই করণীয় নির্ধারণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, মহাসড়ক ও এর আশপাশে পশুর হাটের অনুমতি দেয়া যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, দেশের নয় জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্পানের রেশ না কাটতেই বন্যার পানিতে ডুবে যাচ্ছে বসতবাড়ি, কৃষকের ফসল ও মানুষের স্বপ্ন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আস্থার প্রাচীর, মনোবলের আলোকশিখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি বিষয় নিবিড়ভাবে মনিটর করছেন।’
তিনি সবাইকে ঐক্য এবং সাহসিকতার সাথে এসব দুর্যোগ থেকে উত্তরণে কাজ করার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের প্রশাসনের পাশাপাশি বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সময়ের সাহসী যোদ্ধা, মানবিক ও জনবান্ধব আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশ যে সক্ষমতা দেখিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই ধারাবাহিকতায় এবারও অসহায় মানুষের পাশে থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।’