শ্যামল কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও একই ইউনিয়নের নুর মোহাম্মদের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৪ বছরের কিশোরী পাশের বাড়িতে নিয়মিত আরবি পড়তে যায়। আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই খিলমার্কেট এলাকার মৃত মনির হোসেনের ছেলে তুর্জ (১৯) মেয়েটির পথরোধ করে প্রেমের প্রস্তাব দিত। এ বিষয়ে কিশোরীর বাবা-মা কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিসুর রহমান শ্যামলের কাছে বখাটে তুর্জের বিচার দাবি করেন। এতে শ্যামল উল্টো কিশোরীর বাবা-মাকে গালাগাল করে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।
১৯ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় আরবি পড়তে যাওয়ার পথে কিশোরীকে রাস্তা থেকে ধরে তুর্জ তাদের ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে যায়। এরপর ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে তুর্জ। কিশোরী যথাসময় বাসায় না ফেরায় তার বাবা-মা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে রাত ৯টায় তুর্জের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে তুর্জের বাসা থেকে একে একে তার ২-৩ জন সহযোগীকে পালিয়ে যেতে দেখেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় কিশোরীকে উদ্ধার করেন বাবা-মা।
ওই সময় কাশিপুর যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান শ্যামল ওরফে দর্জি শ্যামল বিচার করার কথা বলে তার আড্ডাখানায় নিয়ে কিশোরীর বাবা-মাকে দীর্ঘ সময় বসিয়ে রাখেন। এই সময়ের মধ্যে ধর্ষক তুর্জও পালিয়ে যায়। বিষয়টি কিশোরীর বাবা-মা বুঝতে পেরে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, একটি ধর্ষণ ঘটনার বিচার করে ধর্ষককে ছেড়ে দিয়ে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন শ্যামল। ফলে ধর্ষণের সহায়তা করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষক তুর্জকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে তিনি জানান।