আমন ধান আবাদের শুরুতেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিছু দিন আগেও মাঠ জুড়ে পাঁকা ধানের সোনালী শীষ বাতাসে দুললেও বর্তমানে সেই ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা। বসে নেই কৃষাণীরাও। তারাও ধান উড়ানো ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত।
চলতি মৌসুমে জেলার ৯টি উপজেলাতে কম-বেশি আমন ধানের আবাদ হয়েছে। কৃষকেরা উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় আমন ধান উৎপাদনে কৃষকের বাড়তি সেচের প্রয়োজন হয়নি। সারও কম লেগেছে। ফলে এক মণ ধান উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয়েছে ৪০০-৫০০ টাকা। আর বাজারে এক মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৭০০- ৯০০ টাকা। ফলে কৃষক আমন ধান উৎপাদন করে লাভবান হয়েছেন।
কৃষক মো. বক্তার হোসেন খান বলেন, ‘ধানের ফলন ভালো হয়েছে এবং দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। সরকার যদি সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করে তাহলে কৃষক বেশি লাভবান হবে এবং ন্যায্য মূল্য পাবে।’
তিনি আরও বলেন, কৃষি ও কৃষককে বাঁচাতে হলে সরকারকে অবশ্যই কৃষকদের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে হবে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবুল বাসার মিয়া বলেন, আমন ধান আবাদে কৃষকদের উৎপাদন খরচ কম হয়। কারণ আমন ধান উৎপাদনের ক্ষেতে কৃষককে বাড়তি সেচ দেয়ার প্রয়োজন হয় না। সারও কম লাগে। আর সে কারণে আমরা কৃষকদের আমন ধান উৎপাদনে সার ও বীজ প্রনোদনা দিয়ে থাকি।
কৃসি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ৬৯ হাজার ৭৯৫ হেক্টোর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ মাত্রার চেয়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে আমন ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে চাষীদের বিনা মূল্যে বীজ ও সার তিবরণ করা হয়েছে।
ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, আমন ধান চাষ করে কৃষক লাভবান হচ্ছে। আমন ধান অল্প দিনের ফসল। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এই ধান উৎপাদনে চাষিদের বিভিন্ন সহযোগিতা করা হয়েছে।