ফরিদপুরে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে মিলন খান (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারক মো. হফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। রায় প্রদানের সময় আসামি মিলন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০১১ সালের ২ অক্টোবর এ ঘটনা ঘটে। ঘটানার প্রায় এক যুগ পর বৃহস্পতিবার (২২ জুন) এ আদেশ দিলেন আদালত।
মিলন খান ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দৈবকনন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় এসআইসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন আসামি মিলন খান। কিশোরী নাবালিকা হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দিলে মিলন খান কিশোরীকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।
২০১১ সালের ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই কিশোরী পুকুরে পানি আনতে গেলে মিলন খান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ৩০ অক্টোবর বোয়ালমারী থানায় মিলন খানসহ চারজনকে আসামি করে নরী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন ওই কিশোরীর বাবা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আতিয়ার রহমান ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মিলন খানকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মিলনের মা চম্পা বেগম বলেন, মিলনের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা পালিয়ে বিয়ে করেছিল। কিশোরীর পরিবার বড় লোক হওয়ায় মামলা দিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) স্বপন পাল বলেন, এ আদেশে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন