লুসি ক্যালেনের বাড়ি ব্রাজিলের বাখজিয়াং এলাকায়। সেখানকার একটি হাসপাতালের হেল্প লাইনে কর্মরত ছিলেন তিনি। আর এখন আছেন সিলেটের সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার বিলপার গ্রামের স্বামী সাহেদ আহমেদের (২৯) বাড়িতে। সাহেদ আহমেদ পেশায় আনসার সদস্য।
সাহেদ জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান লুসি। পরদিন ২১ ফেব্রুয়ারি সিলেট জজ কোর্টের আইনজীবী সিরাজুল ইসলামের মাধ্যমে লুসি ক্যালেন সিলেট আদালতে উপস্থিত হয়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে নতুন নাম রাখেন খাদিজা বেগম। এরপর ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেনমোহরে মুসলিম রীতিতে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় লুসি ক্যালেন জানান, বাবা-মায়ের মত নিয়ে বাঙালি ছেলেকে বিয়ে করতে বাংলাদেশ এসেছি। আমি আগে কোনো ধর্মালম্বী ছিলাম না। তবে মুসলিম ধর্ম গ্রহণের প্রবল ইচ্ছা ছিল।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অনেক ভালো লাগে জানিয়ে লুসি বলেন, ‘সত্যি ভালোবাসা সীমানা মানে না। ভালোবাসার জন্য মরণও আনন্দের। প্রেম মানুষকে মহান করে তোলে।
বিয়ে করতে বাবা-মায়ের অনুমতি ও কর্মস্থল থেকে ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন লুসি। তার সাথে বাবা-মা বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে তারা আসতে পারেননি।
লুসি বলেন, ‘গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য তাকে আকৃষ্ট করেছে। স্বামীর বাড়িতে বেশি সময় কাটাতে ছুটি নিয়ে আবারও বাংলাদেশে আসবেন।’
সাহেদ জানান, ব্রাজিলের নাগরিক লুসি ক্যালেন প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসার পর উভয় পরিবারের সম্মতিতে মুসলিম নিয়ম মেনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছি। ফেসবুকে চ্যাট করেই লুসি ক্যালেনের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে। আমি ইংরেজি তেমন না বুঝলেও গুগল ট্রান্সলেটের সাহায্য নিয়ে তার সাথে কথা বলি। কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে আমিও ইংরেজিতে অনেকটা দক্ষ হয়ে যাই। লুসি ১৫ দিনের জন্য বাংলাদেশে এসেছেন। এই সপ্তাহের মধ্যে ব্রাজিলে চলে যাবেন। তিনি সেখানে গিয়ে আমাকেও ব্রাজিল নেয়ার ব্যবস্থা করবেন।