এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।
আদেশের পর অমিত সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি সংসদের অধিবেশন কক্ষের স্পিকারের চেয়ারের পেছনের দেয়ালের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদেশ পালন করে আগামী এক মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
আইনজীবী সুবীর সাংবাদিকদের জানান, শুনানিকালে আদালত বলে যে এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়। সংসদ সচিবালয়ের সচিব এ আদেশ বাস্তবায়ন করবেন।
এর আগে গত ১২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন।
গত ৩০ জুলাই জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে একটি আবেদন দেন সুবীর। ওই আবেদনে বলা হয় যে সংবিধানের ৪ক বিধান মতে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনগুলোতে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন বাধ্যবাধকতা রয়েছে। জাতীয় সংসদের অধিবেশন হল স্পিকার এবং সংসদ সদস্যদের আইন প্রণয়ন অফিস, রাষ্ট্র ও সরকারের অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান। জাতীয় সংসদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি প্রদর্শন ও সংরক্ষণ সাংবিধানিক দায়িত্ব।
পরে এ আবেদনের কোনো সাড়া না পেয়ে সুবীর হাইকোর্টে রিট করেন। রিট আবেদনে বলা হয় যে ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের নিজ নিজ জাতির পিতা কিংবা জাতীয় বীরদের প্রতিকৃতি অথবা ভাস্কর্য আইন সভায় রয়েছে।