তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা পুরস্কার আমাকে দেশ গঠনের কাজে আরও অনুপ্রাণিত করছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আজীবন কাজ করে যাব। দেশের উন্নয়নে যেন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি, এটাই সবার কাছে আমার কামনা।’
মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২০’ পাওয়া উপলক্ষে নিজ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গোলাম দস্তগীর গাজী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। বিখ্যাত ক্র্যাক প্লাটুনের একজন যোদ্ধা হিসেবে দুঃসাহসিকতার সাথে বিভিন্ন সম্মুখ সমরে অংশ গ্রহণ করেছি। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু ‘বীরপ্রতীক’ খেতাবে ভূষিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২০ প্রদান করেছেন। পিতার হাত থেকে খেতাব, কন্যার হাত থেকে পুরস্কার এ দুটিই আমি পেয়েছি। এ রকম ভাগ্য কার আছে? আর আমার পাওয়ার কিছু নেই।’
তিনি বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে দেশকে সোনার বাংলা গড়তে কাজ করছে সরকার।’
অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত সচিব মো. আবুল কালাম, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক নাগরিক সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ভূষিতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।