তাদের এ পরিদর্শনে সায়দাবাদ-১ এবং সায়দাবাদ-২ পানি শোধনাগারগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সম্প্রতি তাদের এ সফরের ফলে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ফ্রান্স সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার এক সুযোগ হিসাবে কাজ করেছে বলে সোমবার জানিয়েছে, দেশটির ঢাকাস্থ দূতাবাস।
আরও পড়ুন: ওয়াসার পানি: বাড়তি টাকা গুণতেই হবে গ্রাহকদের
ঢাকা ওয়াসাকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়ার মাধ্যমে নগরবাসীর কাছে সুগম, টেকসই এবং নির্ভরযোগ্য পানি সেবা পৌঁছে দিয়ে রাজধানী ঢাকার পানি সম্পদ সংরক্ষণে সহায়তা করছে ফ্রান্স।
এএফডি-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পানি প্রকল্পের ১৬৭ মিলিয়ন ইউরো অর্থায়ন করছে ফ্রান্স সরকার। যার মাধ্যমে ঢাকা শহরে অতিরিক্ত ৯ লাখ ৫০ হাজার লিটার পানি সরবরাহ করা যাবে।
আরও পড়ুন: আরব দেশগুলোকে পণ্য বর্জন না করতে ফ্রান্সের আহ্বান
এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে, ফরাসি সংস্থা ডিগ্রেমন্ট (সুয়েজ) এর নির্মাণ করা সায়াদাবাদ-১ ও ২ পানি শোধনাগার পরিদর্শন করেন জিন মেরিন শুহ।
এছাড়া রাষ্ট্রদূত কেএফডাব্লু, ড্যানিদা এবং ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক পাশাপাশি এএফডির অর্থায়নে নির্মিত সায়দাবাদ-৩ পানি শোধনাগার পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী জিয়েন ক্যাসটেক্স
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কাজ শেষ হয়ে গেলে বর্তমান এ শোধনাগারটি উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ হবে এবং এটি হবে এশিয়ার বৃহত্তম পানি শোধনাগার প্ল্যান্ট।
জিন মেরিন শুহ বলেন, এই প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের পানি খাতে ফ্রান্সের নিরবিচ্ছিন্ন উপস্থিতির ফল। ১৯৯১ সালে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মিটাররেন্ডের সফরের মধ্যদিয়ে এ উচ্চাভিলাষী নির্মাণ প্রক্রিয়ার যাত্রা শুরু হয়। বন্যা মোকাবিলার লক্ষ্যে নেয়া বড় কাজগুলোতে অবদান রাখায় জন্য তার দেয়া প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশকে অনেক সহায়তা করেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট: মিয়ানমারের ওপর আরও চাপ প্রয়োগ চায় ফ্রান্স
বাংলাদেশ সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নগরীর ভূগর্ভস্থ পানির উপর ক্রমবর্ধমান পানির চাহিদা কমাতে ভূ-উপরিস্থলের পানি শোধনের এ প্রকল্প নেয়া হয়।
এ জন্য এএফডি অর্থায়নে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্মিত গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগারের মতো সায়দাবাদ শোধনাগারে মেঘনা নদীর পানি ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডির পুনর্নিয়োগ অনৈতিক ও বিধিবহির্ভূত: টিআইবি