ঢাকা ওয়াসা
ঢাকা ওয়াসার ডিএমডি ইয়াজদানির বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে বাতিল
ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ড. সৈয়দ গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানিকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১০ জুন) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ: হাইকোর্ট
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবীর পল্লব।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট চূড়ান্ত শুনানি করে ইয়াজদানিকে বরখাস্ত করে ওয়াসা বোর্ডের আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ২২ জুন ইয়াজদানিকে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের ৩০৫তম সভায় বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।
এরপর ওই বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ইয়াজদানি। পরে রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৬ জুলাই কেন ইয়াজদানিকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
সেই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে সোমবার রায় দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৬ মে ড. গোলাম মোহাম্মদ ইয়াজদানিকে ডিএমডি (মানবসম্পদ ও প্রশাসন) পদে নিয়োগ দেয় ওয়াসা বোর্ড। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী একজন ডিএমডির ৩ বছর দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সে অনুযায়ী ২০২৫ সালের ১৫ মে পর্যন্ত তার দায়িত্ব পালন করার কথা।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষার্থীদের
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালে হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
৫ মাস আগে
ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাস দেয়া অবৈধ: হাইকোর্ট
ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে পারফরম্যান্স বোনাসের (উৎসাহ ভাতা) দেয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, কোনও বিধি প্রণয়ন ছাড়াই খেয়াল-খুশিমতো পানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) করা রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সামসুন নাহার লাইজু।
পরে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, ঢাকা ওয়াসা আইন ১৯৯৬ এ সুস্পষ্টভাবে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পানির মূল্য বৃদ্ধির কথা বলা থাকলেও কোনো বিধি প্রণয়ন ছাড়াই খেয়াল খুশিমত পানির মূল্য বৃদ্ধি এবং অবৈধভাবে ওয়ায়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাস দেয়াকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করে ক্যাব। উভয় পক্ষে দীর্ঘদিন শুনানি হওয়ার পর যেকোনও সময় রায় দেয়ার কথা ছিল। আজ উচ্চ আদালত বিধি বহির্ভূতভাবে পানির মূল্য নির্ধারণ ও পারফরম্যান্স বোনাস দেয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
তিনি আরও জানান, যেহেতু অন্যায় কাজগুলো আগেই সমাপ্ত হয়েছে তাই সেসব বাতিল না করে ক্ষমা করে দিয়েছেন। কিন্তু ভবিষ্যতে বিধি ছাড়া যেন পানির মূল্য নির্ধারণ করা না হয় এবং পারফরম্যান্স বোনাস দেয়া না হয় সে মর্মে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। মহামান্য আদালতের কাছে বিধি প্রণয়ন না হওয়ায় পর্যন্ত জুডিশিয়াল গাইডলাইন করে দেয়ার যে আবেদন ছিল তা আপাতত মঞ্জুর করা থেকে বিরত থেকেছেন এবং প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন যে সরকার অনতিবিলম্বে বিধি প্রণয়ন করে বিদ্যমান অসুবিধা দূর করবে।
বিধি প্রণয়ন না করে পানির মূল্য নির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন যুক্ত করে গত বছরের ৩১ জুলাই ক্যাবের পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ওই রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৬ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘পারফরম্যান্স বোনাস’ হিসেবে প্রণোদনা দেয়ার ওপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কোনো বিধি প্রণয়ন না করে পানির মূল্য নির্ধারণ করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা ওয়াসা বোর্ড, ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হলে তাতে সাড়া দেননি আদালত। পরে গত বছরের ১১ অক্টোবর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত এ বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখে মূল মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
সে অনুযায়ী গত ১৬ নভেম্বর ওয়াসার পক্ষে ব্যারিস্টার এ এম মাসুম একটি এফিডেভিট দাখিল করেন।
তাতে বলা হয় ২০১১-২০১২ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত ৮টি অর্থবছরে ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাস দেয়া হয়। এর মধ্যে ২০১১-২০১২ অর্থবছরে পারফরম্যান্স বোনাস বাবদ দেয়া হয় ২ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৫০ টাকা। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে দেয়া হয় ৩ কোটি ১লাখ ৩৮ হাজার ২১৯, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে দেয়া হয় ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৯২ হাজার ৮১টাকা, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে দেয়া হয় ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩১০ টাকা, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে দেয়া হয় ৯ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার ৭১৭ টাকা, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে দেয়া হয় ২৩ কোটি ২৩ লাখ ৭৯হাজার ২৫৩টাকা, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দেয়া হয়েছে ২৩ কোটি ৬২ লাখ, ৪০ হাজার ৫১৫টাকা, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দেয়া হয়েছে ১৭ কোটি ৭৮লাখ ৫১ হাজার ৫১৭টাকা।
আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওয়াসা প্রথম ৫টি অর্থবছরে ১টি করে উৎসাহ বোনাস দিলেও; ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৪টি, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৪টি এবং ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩টি উৎসাহ বোনাস দিয়েছে। তবে ২০১৩-২০১৪ এবং ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে কোনও উৎসাহ বোনাস দেয়া হয়নি।
ওয়াসার এফিডেভিটে আরও বলা হয়, ওয়াসা আইনের ধারা ২২ অনুযায়ী মূল্যস্ফীতির কারণে কোনও রকমের বিধি প্রণয়ন করা ছাড়াই বোর্ডের অনুমতি নিয়ে প্রতি বছর ৫শতাংশ হারে দাম বৃদ্ধি করতে পারে। ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকরি প্রবিধানমালা-২০১০ এর ৩৪(৩) বিধি অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ তার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাস দিতে পারে।
এদিকে সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৫ বার ওয়াসা পানির দাম বাড়িয়েছে। এ অবস্থায় বিধি তৈরি না করেই পানির দাম বাড়ানো এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে পারফরম্যান্স বোনাসের নামে টাকা বিতরণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করে ক্যাব।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘বিধি প্রণয়ন ছাড়া পানির মূল্য নির্ধারণ ১৯৯৬ সালের ওয়াসা আইনের ২১ ও ২২ ধারার পরিপন্থী।’ আদালত উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার পারফরম্যান্স বোনাস ঘোষণা ও বিধি ছাড়া পানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা ওয়াসার কর্মীদের উৎসাহ বোনাসে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
ওয়াসার এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
১ বছর আগে
তাকসিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে দুদককে পদক্ষেপ জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের যে অভিযোগ দুদকের কাছে রয়েছে, সে ব্যাপারে ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) যে দুটি অভিযোগ করা হয়েছে, তা সংস্থাটি যাচাই-বাছাই করে দেখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনার পর সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
‘ওয়াসার তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি!’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পান প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এরপর ধাপে ধাপে সময় বাড়িয়ে তিনি এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বিতর্কিত তাকসিম এ খানের পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি পদে তাকসিমের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে রিট
এছাড়া প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো, ঠিকাদার নিয়োগে সিন্ডিকেট, ঘুষ লেনদেন, পদ সৃষ্টি করে পছন্দের লোককে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, অপছন্দের লোককে ওএসডি করাসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে।
প্রথম নিয়োগের পর থেকে মোট ছয়বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির ১৩২ কোটি চার লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ছয়টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে-এমন অভিযোগে তাকসিম এ খানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়।
ওই মামলার তদন্তভার দুদকের হাতে ন্যস্ত হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ২৫ আগস্ট তাকসিম এ খানের সব ধরনের ব্যাংক হিসাব তলব করে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
এরই মধ্যে সোমবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ওয়াসার তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
একটি-দুটি নয়, ১৪ বাড়ি! দেশে নয়, সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহরে কিনেছেন এসব বাড়ি। সব বাড়ির দাম টাকার অঙ্কে হাজার কোটি ছাড়াবে। দেশ থেকে অর্থ পাচার করে তিনি এসব বাড়ির মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি কেনার অর্থের উৎস ও লেনদেন প্রক্রিয়ার তথ্য তালাশে নেমেছে ইন্টারপোলসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিপুল পরিমাণ অর্থে একের পর এক বাড়ি কেনার ঘটনায় দেশটির গোয়েন্দা তালিকায় সন্দেহভাজন হিসাবে তাকসিমের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ির বিষয়ে সম্প্রতি দুদকে অভিযোগ জমা দেয়া দুই ব্যক্তির একজন হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি মো. সোহেল রানা।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
তিনি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানান।
দুদকে দেয়া অভিযোগে বলা হয়, বিদেশি ঋণে করা ওয়াসার বড় বড় প্রকল্প থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে তা হুন্ডিসহ বিভিন্ন উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন তাকসিম।
পাচারের অর্থে দেশটির লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন শহরের অভিজাত এলাকায় নগদ ডলারে ১৪টি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তাকসিম যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিক। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় তিনি ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে যোগ দেন। তাঁর পরিবারের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। তাকসিমও প্রতিবছরে প্রায় তিন মাস যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করেন। একসময়ের ভাড়াটিয়া তাকসিম লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো অভিজাত শহরে বিলাসবহুল বাড়ি কেনেন।
এ খবর ওই শহরের বাঙালিপাড়ার মানুষের মুখে মুখে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব পাওয়া এক প্রবাসী বাঙালি জানান, প্রবাসী বাঙালিদের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে তাকসিমের কিছু বাড়ি দেখেছেন। বাড়িগুলো কোন শহরের কোন সড়কে, হোল্ডিং নম্বর কত-সব তথ্য তাদের জানা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ১৪ বাড়ির মধ্যে পাঁচটির তথ্য মিলেছে। ওই সব বাড়ির ঠিকানা ও ছবি রয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি’র বেতন-বোনাসের হিসাব চাইলেন হাইকোর্ট
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এক বাঙালি তাকসিমের ওই পাঁচ বাড়ির ঠিকানা জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে পরিবার-পরিজন নিয়ে তাকসিম যে বাড়িতে থাকেন, সেটার ঠিকানা- ৫৩১, N Louise St. Unit ৩০২, Glendale, CA ৯১২০৬১।
এই বাড়ি তিনি কত টাকায় কিনেছেন, তা জানা যায়নি।
এ ছাড়া ৪১৯, E Cypress Avenue Burbank, CA ৯১৫০১-এ ঠিকানায় ২০১৭ সালে ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ৮৮৯ ডলারে (সে সময়ের দরে আনুমানিক ১৭ কোটি টাকা) কেনা বাড়িটিতে রয়েছে ১৪টি বেডরুম ও ১৪টি বাথরুম।
৫১৮, Salem Street Glendale, CA ৯১২০৩- এই ঠিকানায় ২০১৮ সালের আগস্টে ৪৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৪ ডলারে (আনুমানিক ৩৭ কোটি টাকা) কেনা বাড়িটিতে রয়েছে ছয়টি বেডরুম ও ছয়টি বাথরুম।
৩৫০ E 30th Street New York, NY ১০১৬৬-৮৩৮৬-এই ঠিকানায় ২০১৭ সালের জুলাইয়ে ছয় কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৬১৪ ডলারে (আনুমানিক ৫৩৫ কোটি টাকা) কেনা বাড়িটিতে রয়েছে ১০২টি বেডরুম ও ১০২টি বাথরুম।
৩৫৫৫ Kystone Avenue Los Angels, CA ৯০০৩৪- এই ঠিকানায় ২০১৯ সালের অক্টোবরে ৮২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৮০ ডলারে (আনুমানিক ৭০ কোটি টাকা) কেনা বাড়িটিতে রয়েছে ১২টি বেডরুম ও ১২টি বাথরুম।
বাড়িগুলো তাকসিম ভাড়া দিয়ে রেখেছেন।
১ বছর আগে
ওয়াসার এমডি’র বেতন-বোনাসের হিসাব চাইলেন হাইকোর্ট
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানকে গত ১৩ বছরে কত টাকা বেতন বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা দেয়া হয়েছে, তার বিস্তারিত হিসাব আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দাখিলের জন্য ওয়াসার বোর্ডের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ঢাকা ওয়াসার এই এমডিকে অপসারণে নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাকে অপসারণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, বিগত ১৩ বছরে অতিরিক্ত বেতন-ভাতা হিসেবে ওয়াসার এমডি যে টাকা নিয়েছে তা ফেরত দেয়ার কেন নির্দেশ দেয়া হবে এবং ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন-স্কেল ও ২০১৬ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা সার্কুলার অনুযায়ী বেতন-ভাতা নির্ধারণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
তাকসিম এ খানকে এমডি পদ থেকে অপসারণে ওয়াসার পরিচালনা বোর্ডের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হাসান গত ৩১ জুলাই রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা ওয়াসার কর্মীদের উৎসাহ বোনাসে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
রিট আবেদনে বলা হয়, ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিম এ খানকে ২০০৯ সালে তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়। এরপর তার পারফরম্যান্স ভালো না হওয়া সত্ত্বেও তিনবার তার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। রিটে বিধি বহির্ভূতভাবে ওয়াসার এমডি অতিরিক্ত বেতন-ভাতা নিচ্ছেন বলেও উল্লেখ করা হয়। সর্বশেষ বোর্ড সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়াসার এমডি’র বেতন ছয় লাখ ২৫ হাজার টাকা।
বুধবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ঢাকা ওয়াসা আইন ১৯৯৬ এর ২৮ (৪) ধারায় বলা আছে, ওয়াসার এমডির বেতন-ভাতা এর বোর্ড নির্ধারণ করবে। কিন্তু কত টাকা কিভাবে নির্ধারণ করা হবে সে ব্যাপারে আইনে বিস্তারিত কিছুই বলা হয়নি। তবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে ক্ষেত্রে বেতন-ভাতা নির্ধারণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় একটি সার্কুলার জারি করেছে ২০১৬ সালে। ওয়াসা সরকারের একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। এই সংস্থার ক্ষেত্রে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা সার্কুলার প্রযোজ্য হবে। ওয়াসা কোম্পানির মতো করে বেতন-ভাতা নির্ধারণ করে নিতে পারে না। তাছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি সরকারের ভর্তুকিতে চলে। পাশপাশি ওয়াসার এমডি হিসেবে তার পারফরম্যান্স অনেক খারাপ। ঢাকা শহরের ৭০ শতাংশ এলাকা এখনও পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধার বাইরে। চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে হলে তার পারফরম্যান্স ভালো হতে হবে। কিন্তু পারফরম্যান্স খারাপ হওয়া সত্ত্বেও তার মেয়াদ বার বার বাড়ানো হচ্ছে। তাকে অপসারণের ক্ষেত্রে বোর্ড নিষ্ক্রিয়তা দেখাচ্ছে। আদালত আমাদের বক্তব্য শুনে নির্দেশনার পাশাপাশি রুল দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পানির দাম ৪০ শতাংশ বাড়াতে চায় ঢাকা ওয়াসা
২ বছর আগে
ঢাকা ওয়াসার কর্মীদের উৎসাহ বোনাসে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
২০২০-২১ অর্থবছরে ঢাকা ওয়াসার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাড়ে তিনটি করে মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ ‘পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ (উৎসাহ বোনাস) হিসেবে প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণার ওপর ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিধি প্রণয়ন না করে পানির মূল্য নির্ধারণ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার কনজুমার অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চেয়ারম্যান স্থপতি মোবশ্বের হোসেনের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এলজিআরডি সচিব, ঢাকা ওয়াসা বোর্ড, ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান, এমডি ও সিইও এবং অডিটর ও কম্পট্রোলারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করা হয়।
জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাড়ে তিনটি করে মূল বেতন ‘পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ হিসেবে প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। এতে ব্যয় হবে ১৯ কোটি টাকা। সরকারের ভর্তুকিতে চলা ঢাকা ওয়াসার নিয়মিত বেতন-ভাতার বাইরে এমন বোনাস ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত বছরও সংস্থাটি সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চারটি মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ বিশেষ পুরস্কার হিসেবে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার নিয়ে সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য বিব্রতকর: হাইকোর্ট
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৭ এপ্রিল ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের ২৯১তম সভায় পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড (উৎসাহ বোনাস) দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। করোনা মহামারি পরবর্তী ২০২০-২১ অর্থবছরের পারফরম্যান্সের জন্য ঢাকা ওয়াসার স্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক ও প্রেষণে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের তিনটি মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ বোনাস দেয়া হবে। আর গত ২৫ জানুয়ারি ২৮৬তম সভায় কর্মীদের একটি মূল বেতনের অর্ধেক ইন্টেরিম (অন্তর্র্বতীকালীন) পারফরম্যান্স বোনাস দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে ঢাকা ওয়াসা প্রথম স্থান অর্জন করায় এই বোনাস দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
পারফরম্যান্স বোনাস কীভাবে দেয়া হবে, সে বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করেছে ওয়াসা। সে অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ঢাকা ওয়াসার বেতনভুক্ত (পে-রোল) যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন, তারা সবাই তিনটি মূল বেতন এবং একটি মূল বেতনের ৫০ শতাংশ বোনাস পাবেন। সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাড়ে তিনটি পারফরম্যান্স বোনাস দিতে সংস্থাটির ব্যয় হবে ১৯ কোটি টাকার বেশি।
পানির দামের বিষয়ে গণমাধ্যমে বলা হয়, আবাসিক ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে পানির দাম ৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে ঢাকা ওয়াসা বোর্ড। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নয় ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। আবাসিকে ২৫ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক সংযোগে ১৯ শতাংশ পর্যন্ত পানির দাম বাড়াতে চায় তারা। এ জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। সবশেষ গত ৬ জুলাই ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সভায় পানির দাম ৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বর্তমান মূল্যস্ফীতির কথা বিবেচনায় রেখে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
এনআইডির সঙ্গে থ্যালাসেমিয়ার তথ্য অন্তর্ভুক্ত কেন নয়: হাইকোর্ট
২ বছর আগে
পানির দাম ৪০ শতাংশ বাড়াতে চায় ঢাকা ওয়াসা
রাজধানীতে পানির দাম শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ঢাকা ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান।
ওয়াসার বোর্ড সভায় পানির দাম ৪০ শতাংশ বাড়ানোর সাম্প্রতিক প্রস্তাবের বিষয়ে বুধবার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘উৎপাদন খরচের সঙ্গে পানির দামের সমন্বয় করতে আমরা এ প্রস্তাব দিয়েছি।’
গত সোমবার অনুষ্ঠিত ওয়াসা বোর্ড সভায় দেয়া প্রস্তাব অনুযায়ী, আবাসিক এলাকার গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিট পানির দাম ১৫ টাকা ১৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২১ টাকা এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য দাম বর্তমান ৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫ টাকা করা হবে।
এ প্রস্তাব ওয়াসা বোর্ড অনুমোদন করলে চলতি বছরের এক জুলাই থেকে তা কার্যকর হবে।
পানির দাম বাড়ানোর পরিকল্পনার বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার প্রধান বলেন, প্রতিষ্ঠানটিকে আর্থিকভাবে সক্ষম ও স্বাবলম্বী করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
তাকসিম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সংস্থার কাছ থেকে নেয়া ঋণ ফেরত দিতে নিয়মিত ঋণ সেবা নিতে হয়।’
তিনি বলেন, এসব ঋণের নিশ্চয়ক সরকার।
ঢাকা ওয়াসার প্রধান বলেন, রাজধানীর পানির দাম কম রাখতে এবং প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সচল রাখতে সরকার এখনও বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতি এক হাজার লিটার পানিতে সরকারি ভর্তুকি হিসাবে ১০ টাকা পাচ্ছি। কিন্তু ঢাকা ওয়াসার মতো একটি প্রতিষ্ঠান এ ধরনের আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভর করে টিকতে পারে না।’
আরও পড়ুন: ঢাকা ওয়াসার এমডি নিয়োগের প্রস্তাব চ্যালেঞ্জ করে রিট
ধীরে ধীরে পানির দাম বাড়াতে সরকারের কাছ থেকে পরামর্শ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত ১৩ বছরে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম ১৩ বার বাড়ানো হয়েছে।
২ বছর আগে
বাংলাদেশকে সহায়তায় ফ্রান্সের দেয়া প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করলেন দেশটির রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জিন মেরিন শুহ এবং এজেন্সি ফ্রসেস ডেভলপমেন্টের (এএফডি) পানি ও স্যানিটেশন খাত প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা প্রকল্প কর্মকর্তা ফ্যানি নেসেন ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ঢাকা ওয়াসা) প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন।
৩ বছর আগে
ঢাকা ওয়াসার এমডি নিয়োগের প্রস্তাব চ্যালেঞ্জ করে রিট
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে প্রকৌশলী তাকসিম এ খানকে নিয়োগের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।
৪ বছর আগে
রাজধানীতে জলাবদ্ধতার দায় ওয়াসা ও সিটি করপোরেশন উভয়ের: টিআইবি
ঢাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থতার জন্য ঢাকা ওয়াসা ও দুই সিটি করপোরেশনসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানই দায়ী বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
৪ বছর আগে
ঢাকা ওয়াসায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে স্বচ্ছতা চায় টিআইবি
ঢাকা ওয়াসায় দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন নিশ্চিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সব ধরণের পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আইনের যথাযথ অনুসরণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
৪ বছর আগে