মঙ্গলবার সংস্থাটির ‘এশীয় ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) ২০২০ আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এডিবি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুদৃঢ় উত্পাদন এবং রপ্তানির গন্তব্য বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার করতে শুরু করেছে। চলতি অর্থবছরের মুদ্রাস্ফীতি ৫.৫ শতাংশ এবং চলতি হিসাবের ঘাটতি জিডিপির ১.১ শতাংশে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এডিবি বলেছে, দূরদর্শী সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিচালনা এবং সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের তড়িৎ বাস্তবায়নের ফলে প্রত্যাশিত পুনরুদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করার সম্ভব হয়েছে। তবে, বাংলাদেশ বা এর রপ্তানির গন্তব্যস্থলে কোভিড-১৯ মহামারি আরও দীর্ঘায়িত হলে প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে তা প্রধান ঝুঁকি হিসেবে দেখা দিতে পারে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, ‘মহামারির কবল থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার শুরু করেছে। স্বাস্থ্য ও মহামারি মোকাবিলায় চাপ থাকা সত্ত্বেও, সরকার গরিব ও দুস্থদের জন্য মৌলিক সেবা ও পণ্য নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় আর্থিক প্রণোদনা ও সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাসহ অর্থনীতিকে সুসংহত করতে পেরেছে।’
মহামারি সংকটকে সুযোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে সফলতা, সরকারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং আর্থিক প্রণোদনা ও সামাজিক সুরক্ষার জন্য বৈদেশিক তহবিল নিশ্চিত করা এ পুনরুদ্ধারকে সম্ভবপর করেছে।
ভ্যাকসিনের আসার পরপরই তা পাওয়া এবং মহামরি মোকাবিলায় অব্যাহত প্রচেষ্টা এ পুনরুদ্ধারের চলমান ধারাকে বজায় রাখবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পুনরুদ্ধরের এ ধারা অব্যাহত রাখবে। যা দেশের প্রত্যাশিত জিডিপি বৃদ্ধির হার অর্জনে সহায়তা করবে।’
কোভিড-১৯ মহামারিতে আর্থ-সামাজিক প্রভাব মোকাবিলা ও অর্থনীতির দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য এডিবি এরই মধ্যে বাংলাদেশকে ঋণ হিসেবে ৬০০ মিলিয়ন ডলার এবং ৪.৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।