এডিবি
পুঁজিবাজার সংস্কারে সাহায্য ও কারগরি সুবিধা দিতে এডিবির আগ্রহ
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) টেকসই সংস্কারে সাহায্য ও বাজার উন্নয়নে কারিগরি সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।
এডিবির একটি প্রতিনধিদল বৃহস্পতিবার আগারগাঁও বিএসইসি ভবনে কমিশন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এডিবি প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সিনিয়র ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর স্পেশালিস্ট মনোহরি গুনবর্ধনে ও সিনিয়র প্রোজেক্ট অফিসার (ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর) মো. রাশেদ আল হাসান।
কমিশন চেয়ারম্যান ছাড়াও বিএসইসির পরিচালক মো. আবুল কালাম, বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ গোলাম মাওলা ও বিএসইসির উপ পরিচালক মোহাম্মদ আসিফ ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।
দুপক্ষের আলোচনায় দেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক উঠে আসে। দেশের পুঁজিবাজারের সংস্কার পরিকল্পনা ও সংস্কার বাস্তবায়ন, পুঁজিবাজারের আধুনিকায়ন, বিএসইসির সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমের আধুনিকায়ন, ইআরপি সিস্টেমের উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন, পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা ও সুশাসন বৃদ্ধি, তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের স্বতন্ত্র পরিচালকদের দক্ষতা-সক্ষমতার উন্নয়ন ঘটিয়ে কোম্পানিসমূহের সুশাসন নিশ্চিতকরণ, বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন, টেকসই অর্থায়ন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ও ডেরিভেটিভ পণ্য, দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ক্ষেত্র হিসেবে পুঁজিবাজারকে প্রতিষ্ঠা, দেশের পুঁজিবাজারের ভালো মৌল ভিত্তিসম্পন্ন দেশি-বিদেশী ও বহুজাতিক কোম্পানির তালিকাভুক্তি, দেশের পুঁজিবাজারের বিদ্যমান আইনসমূহ যুগোপযোগিকরণ মতো বিষয়ে আলোচনায় অগ্রাধিকার পায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-এডিবি ১৩০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি, চার প্রকল্পে অর্থায়ন
বৈঠকে পুঁজিবাজারের সংস্কারের জন্য বিএসইসির গৃহীত উদ্যোগ-কার্যক্রম, গঠিত টাস্কফোর্স ও তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিএসইসির পরিকল্পনার বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
পুঁজিবাজার সংস্কারের অংশ হিসেবে টাস্কফোর্সের সুপারিশের ভিত্তিতে মার্জিন রুলস, পাবলিক ইস্যু রুলস ও মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়াও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান কমিশন চেয়ারম্যান।
বৈঠকে দেশের পুঁজিবাজারের টেকসই সংস্কার ও উন্নয়নে কারিগরি সহযোগিতার বিষয়ে এডিবি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিএসইসিও আগামীতে দেশের পুঁজিবাজার সংস্কার বাস্তবায়ন এবং বাজারের আধুনিকায়নে এডিবির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
১১৯ দিন আগে
বাংলাদেশ-এডিবি ১৩০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি, চার প্রকল্পে অর্থায়ন
জলবায়ু সহনশীলতা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পরিবহন অবকাঠামো ও ব্যাংক খাতে সংস্কারে চারটি প্রধান উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে ১৩০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২০ জুন) রাজধানীর ইআরডি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও এডিবির মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদির সিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং সংশ্লিষ্ট নথিতে সই করেন।
ইআরডি সচিব বলেন, ‘এই চুক্তিগুলো আমাদের জলবায়ু সহনশীলতা জোরদার, অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিচ্ছন্ন জ্বালানির প্রসার ও আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এডিবির সহায়তা আমাদের জাতীয় অগ্রাধিকার অনুযায়ী অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।’
যে ৪ প্রকল্পে অর্থায়ন করা হবে—৪০ কোটি ডলারের ‘জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচি (সিআরআইডিপি)’ সই করেছে এডিবি ও বাংলাদেশ। এই কর্মসূচির লক্ষ্য জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি, নির্গমন হ্রাস এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা। এই প্রকল্পের আওতায় এজেন্সি ফ্রান্সেস ডি ডেভেলপমেন্ট (এএফডি) থেকে প্রায় ১১ কোটি ৩০ লাখ ডলার এবং এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক থেকে ৪০ কোটি ডলার সহ-অর্থায়ন পাবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: গ্যাস সরবরাহ ও বায়ুমান উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৬৪ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক
এ ছাড়া, বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ গঠন, দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন জোরদার, জেন্ডার-সংবেদনশীল স্থানীয় অভিযোজন প্রচার এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পরিবহন মাস্টার প্ল্যানকে সহায়তা করবে সিআরআইডিপি।
এরপর রয়েছে ২০ কোটি ডলারের ‘বিদ্যুৎ সঞ্চালন শক্তিশালীকরণ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি একীভূতকরণ প্রকল্প’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বগুড়া, চাঁদপুর, গোপালগঞ্জ, হবিগঞ্জ, পিরোজপুর ও সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন গ্রামীণ জেলায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন অবকাঠামো উন্নীত করা হবে।
পাশাপাশি দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির একীভূতকরণে সহায়তা করবে এই প্রকল্প, যা নির্ভরযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
তাছাড়া, ঢাকা উত্তর-পশ্চিম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করিডোর উন্নয়নে ২০ কোটি ৪০ লাখ ডলারের একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে এডিবি ও বাংলাদেশ সরকার। করিডোরটির উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য আরও বিস্তৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের আওতায় এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার সড়ক সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করা হবে। প্রকল্পটি ভুটান, ভারত ও নেপালের সঙ্গে আঞ্চলিক সংযোগ উন্নয়নে সহায়তা করবে বলে বলা হয়েছে।
এতে জলবায়ু সহনশীল ডিজাইন ও জেন্ডার-সংবেদনশীল বৈশিষ্ট্য যেমন ফুটব্রিজ ও মটরবিহীন যানবাহনের জন্য আলাদা লেন অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবশেষে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ ছাড়ে সম্মত আইএমএফ
এদিকে, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে স্থিতিশীল ও সংস্কারের পথে এগিয়ে নিতে ৫০ কোটি ডলারের ‘ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা ও সংস্কার কর্মসূচি’ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
এই সংস্কারকেন্দ্রিক কর্মসূচিটি নিয়ন্ত্রক তত্ত্বাবধান শক্তিশালী করবে, আর্থিক সম্পদের গুণমান উন্নত করবে এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়ানো ও খেলাপি ঋণ সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই প্রকল্প সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সমন্বিত সহায়তা প্যাকেজ বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী সহনশীলতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মন্তব্য করেন হো ইউন জিয়ং।
১৬৭ দিন আগে
বাংলাদেশের জন্য এডিবির ৬০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন
বাংলাদেশের অবকাঠামোগত সংস্কারের জন্য ৬০ কোটি ডলারের নীতি-ভিত্তিক ঋণের (পিবিএল) অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই অর্থ দিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ, সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পের দক্ষতা, বেসরকারি খাতের উন্নয়ন ও রাষ্ট্র-সংস্কারের জন্য কাঠামোগত সংস্কারের মতো কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এডিবি এ তথ্য জানিয়েছে।
এডিবির আঞ্চলিক প্রধান অর্থনীতিবিদ আমিনুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন-পরবর্তী উন্নয়ন তহবিলের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে এডিবি এই ঋণের আবেদনে দ্রুত সাড়া দিয়েছে। এই সংস্কারগুলো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও সুশাসনের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য ও প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেয়।’
এডিবির এই কর্মসূচি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। দেশের কর ও মোট দেশজ উৎপাদনের অনুপাত মাত্র ৭.৪ শতাংশ যা বিশ্বে সর্বনিম্ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে আরও ১০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন এডিবির
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ঋণ বাংলাদেশকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়াতে এবং একইসঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা কার্যকর করতে সাহায্য করবে। এই কর্মসূচিতে ডিজিটালাইজেশন ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ, কর প্রণোদনা ও অব্যাহতির যুক্তিসংগতকরণ এবং করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই ঋণ বেসরকারি খাতের উন্নয়ন ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক পরিবেশ সহজ করা এবং সমতাভিত্তিক প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করছে।
এদিকে, বাংলাদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা সহজ করতে একটি অনলাইন একীভূত প্ল্যাটফর্মে ১৩০টিরও বেশি সেবা চালু করা হয়েছে। এর সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সুশাসন ও কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণের উন্নয়ন এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজতর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবি একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে এবং চরম দারিদ্র্য নির্মূলে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে, ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তার জন্য অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ২৪.৩ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
৩৫৮ দিন আগে
ময়মনসিংহের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ২৪.৩ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
ময়মনসিংহে গ্রিড-সংযুক্ত সৌর ফটোভোলটাইক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য মুক্তাগাছা সোলারটেক এনার্জি লিমিটেডের (এমএসইএল) সঙ্গে ২৪.৩ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
এডিবি জানায়, মুক্তাগাছা সোলারটেকের জন্য অর্থায়ন, অবকাঠামো নির্মাণ এবং সিন্ডিকেট করেছে সংস্থাটি। এটি বাংলাদেশভিত্তিক জেনারেটর কোম্পানি জুলস পাওয়ার লিমিটেডের (জেপিএল) মালিকানাধীন।
সংস্থাটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ ঋণের মধ্যে এডিবি দেওয়া হবে ১৫.৫ মিলিয়ন ডলার এবং এডিবি পরিচালিত লিডিং এশিয়াস প্রাইভেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ড-২ (এলইএপি-২) থেকে দেওয়া হবে ৮.৮ মিলিয়ন ডলার।
এ প্রকল্পের অধীনে ২০ মেগাওয়াট (মেগাওয়াট) গ্রিড-সংযুক্ত সৌর ফটোভোলটাইক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনা করা হবে। এটি আন্তর্জাতিক অর্থায়নকারীদের সমর্থনপ্রাপ্ত দেশের প্রথম বেসরকারি খাতের ইউটিলিটি-স্কেল সৌর স্থাপনার একটি।
আরও পড়ুন: এডিবির নতুন প্রেসিডেন্ট মাসাতো কান্ডা
বার্ষিক ৩৭.৯ গিগাওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বার্ষিক ১৮ হাজার ৩৪৪ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন এড়াবে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
এডিবির মহাপরিচালক (প্রাইভেট সেক্টর অপারেশনস) সুজান গ্যাবৌরি বলেন, এডিবির অর্থায়নের লক্ষ্য বাংলাদেশের অগ্রগতি ও টেকসই জ্বালানি সমাধানকে এগিয়ে নেওয়া।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি এই অর্থায়ন নবায়নযোগ্য প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ মূলধন চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা বাড়াতে সহায়তা করবে।’
তিনি আরও বলেন, এডিবি জেপিএলকে সহযোগিতা করতে পেরে আনন্দিত। এটি টেকসই সমাধানের অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে অগ্রণী দক্ষতা ও উদ্ভাবনে সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে।
বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্র ৪ দশমিক ৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি।
জেপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূহের লতিফ খান বলেন, এডিবির মতো বিশ্বব্যাপী খ্যাতনামা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা প্রতি জেপিএলের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে এবং নবায়নযোগ্য শক্তি উদ্যোগে টেকসই উন্নয়ন সাধনের জন্য আমাদের প্রচেষ্টায় একটি বড় মাইলফলক হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করে।
২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত জেপিএল এক্সপো গ্রুপের অংশ। এটি নবায়নযোগ্য শক্তি, আন্তর্জাতিক সরবরাহ, মালবাহী ফরোয়ার্ডিং এবং অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: এডিবি-বিশ্বব্যাংক থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১১০ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ: অর্থসচিব
৩৬৮ দিন আগে
এডিবি-বিশ্বব্যাংক থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১১০ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ: অর্থসচিব
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৬০ কোটি ডলার এবং বিশ্বব্যাংক ৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে পাওয়া ঋণের প্রতিশ্রুতির পরিমাণ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মজুমদার বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের মতো দাতা সংস্থাগুলো অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের বাস্তবায়িত নীতিগুলোকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: এডিবি-ইডিসিএফের অর্থায়নে একসঙ্গে কৃষি গবেষণা করবে ইউজিসি ও বাকৃবি
অর্থ সচিব বলেন, ‘আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নীতিগত পদক্ষেপগুলো ভাল ফলাফল দিয়েছে। তহবিলের ক্ষেত্রে আমাদের প্রাথমিক প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা এডিবির সঙ্গে ৬০ কোটি ডলার ঋণ নিয়ে সফলভাবে আলোচনা করেছি এবং ডিসেম্বরের মধ্যে এই তহবিল পাওয়ার আশা করছি।’
একই সময়সীমার মধ্যে ৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিতে সম্মত হওয়া বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন তিনি। ‘শুরুতে, এই ঋণগুলো যথাক্রমে ৩০ কোটি ডলার এবং ২৫ কোটি ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল, তবে পরে অনুকূল আলোচনার কারণে তা দ্বিগুণ হয়।’
সরকার আইএমএফের কাছে আরও আর্থিক সহায়তা চেয়েছে উল্লেখ করে ড. মজুমদার বলেন, 'আমরা এ বছর আইএমএফের সহায়তায় অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলার চেয়েছি। ৪ ডিসেম্বর আইএমএফ’র প্রতিনিধি দল সফরের সময় আলোচনা শেষ হবে এবং আমরা আশাবাদী।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হবে ১০.১ শতাংশ: এডিবির পূর্বাভাস
অর্থ সচিব তার নীতিগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে অব্যাহত সমর্থন নিশ্চিত করতে সরকারের সক্ষমতায় আস্থা প্রকাশ করেন।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.১ শতাংশে নামাল এডিবি
৩৮০ দিন আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হবে ১০.১ শতাংশ: এডিবির পূর্বাভাস
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) তাদের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ১ শতাংশ হবে। এই পূর্বাভাস এপ্রিলে দেওয়া পূর্বাভাসের চেয়ে ৩ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের আগস্টে সাধারণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা জুলাইয়ে ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে দেখা যায়, ২০২৩ সালের আগস্টে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, ২০২২ সালের আগস্টে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ২০২১ সালের আগস্টে ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এডিবির পূর্বাভাসে মূল্যস্ফীতির অনুমেয় বৃদ্ধির জন্য চলমান সরবরাহ বিঘ্ন এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে উচ্চ আমদানি ব্যয়কে দায়ী করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি আশা করছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কে থাকবে।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.১ শতাংশে নামাল এডিবি
গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হওয়ার পর চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। এসব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দাম মূল্যস্ফীতিকে ঊর্ধ্বমুখী করে তুলেছে, যা সরবরাহ শৃঙ্খলের সমস্যা এবং আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়িয়েছে।
এডিবির মতে, এই কারণগুলো গত দুই বছর ধরে ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতির চাপের মুখোমুখি হওয়া ভোক্তাদের উপর চাপ অব্যাহত রাখবে। এই সময়ের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে, যা পরিবারের বাজেটকে প্রভাবিত করেছে এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়েছে।
এডিবির সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি সত্ত্বেও আশা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে মূল্যস্ফীতি কমে আসতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ২০২৫ সালের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৬-৭ শতাংশে নেমে আসবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাসহ জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এডিবি: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা
৪৩৪ দিন আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.১ শতাংশে নামাল এডিবি
রাজনৈতিক অস্থিরতা, সরবরাহ চেইন ব্যাহত হওয়া এবং সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যার কারণ দেখিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫ দশমিক ১ শতাংশে নামিয়ে এনেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
এটি একই সময়ের জন্য ম্যানিলা-ভিত্তিক ঋণদাতা ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস থেকে একটি উল্লেখযোগ্য হ্রাসকে চিহ্নিত করেছে।
আরও পড়ুন: ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতি দ্বিগুণ হতে পারে: এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট
জুলাই ও আগস্ট মাসে বন্যার পাশাপাশি গণআন্দোলনের মধ্যে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনকে (জিডিপি) মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। এটি সারা দেশে পণ্য ও পরিষেবার উৎপাদন ব্যাহত করেছে।
এডিবি তার সর্বশেষ প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলেছে, রাজস্ব ও মুদ্রানীতি কঠোর থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে ভোগের চাহিদা আরও হ্রাস করতে পারে এবং মুদ্রাস্ফীতি উচ্চ হারে রাখতে পারে।
ব্যাংকটি সতর্ক করে দিয়েছে যে তার পূর্বাভাস উল্লেখযোগ্য অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দেয়। নেতিবাচক ঝুঁকিগুলো সামষ্টিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে ছাপিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: এলডিসি-পরবর্তী যুগের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি দেখে উৎসাহিত: এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট
এডিবি এই ঝুঁকিগুলোকে প্রাথমিকভাবে চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভঙ্গুর পরিস্থিতি এবং দেশের আর্থিক খাতের দুর্বলতার কারণে দায়ী বলে চিহ্নিত করেছে।
এডিবির সংশোধিত পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের জুন মাসের অনুমানের চেয়ে কম। এতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ, জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের আশা
৪৩৫ দিন আগে
জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাসহ জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এডিবি: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা
জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাসহ জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নেও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘বুড়িগঙ্গা-তুরাগ-বালুসহ গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর জন্য নিম্ন-ব্যয়ের দূষণমুক্তকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশকে সহায়তা করবে এডিবি।’
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয়ে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: জিডিপি প্রবৃদ্ধির চেয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
বৈঠকে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রমে বেসরকারি খাত ও যুবসমাজকে যুক্ত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়।
তিনি দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় এডিবির সহায়তা চান।
পরিবেশ উপদেষ্টা বাংলাদেশে পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্পে এডিবির চলমান সহায়তার জন্য প্রশংসা করে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সহিষ্ণুতার ক্ষমতা শক্তিশালী করা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতের জন্য অব্যাহত সহযোগিতার ওপর জোর দেন।’
এছাড়া উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা এই চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবিলার জন্য উদ্ভাবনী পন্থা এবং অর্থায়ন ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন।
এডিমন গিন্টিং বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে সহায়তার জন্য এডিবির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নদী পরিষ্কারের প্রচেষ্টায় সহায়তার ঘোষণা দেন। এছাড়া তিনি তাদের উদ্যোগগুলো সম্প্রসারণে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর পরিবেশ উপদেষ্টাকে আগামী ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর ম্যানিলা, ফিলিপাইনসর এডিবি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানিং ফোরামের উচ্চ পর্যায়ের সেশনে বক্তা হিসেবে অংশ নেওয়া আমন্ত্রণ জানান।
পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ও মন্ত্রণালয় ও এডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকটি বাংলাদেশের পরিবেশগত স্থিতিশীলতা ও জলবায়ু সহনশীলতা প্রচারে অব্যাহত অংশীদারিত্বের জন্য একটি যৌথ প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে সারাহ কুকের সাক্ষাৎ, জলবায়ু পরিবর্তন-জ্বালানি রূপান্তর সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
জাপানের কাছে বাজেট সহায়তা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা, উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান
৪৭১ দিন আগে
পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ, জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের আশা
কারিগরি সহায়তা, অর্থায়ন ও নীতি নির্দেশনার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (দক্ষিণ-মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া) ইংমিং ইয়াং।
জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে বুধবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এডিবির এই কর্মকর্তা এ আশ্বাস দেন।
এসময় তারা টেকসই পরিবেশ, জলবায়ু সহনশীলতা, বাতাস ও সামুদ্রিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ, কার্বন নির্গমন নিয়ন্ত্রণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সুনীল অর্থনীতির ওপর আলোকপাত করে এডিবি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে চলমান ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
উভয় পক্ষই এই অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশের দূষণের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অব্যাহত সহযোগিতার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা ও টেকসই উন্নয়ন গড়ে তুলতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এক্ষেত্রে এডিবির সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে না পারলে উন্নয়নশীল দেশগুলো পিছিয়ে পড়বে: এডিবি প্রেসিডেন্ট
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছি তা বিশাল এবং বহুমুখী। আমাদের লক্ষ্য পূরণে বলিষ্ঠ আর্থিক ব্যবস্থা, উন্নত প্রযুক্তি ও সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ প্রয়োজন। এডিবির সঙ্গে এই সহযোগিতা আমাদের উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সংস্থান ও বিশেষজ্ঞ সরবরাহে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।’
বাংলাদেশ ও এডিবির মধ্যে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্বের স্বপ্ন দেখেছেন সাবের। তিনি বলেন, 'একসঙ্গে আমরা উদ্ভাবনী সমাধানগুলো খুঁজে বের করতে পারি, আমাদের অভিযোজিত ক্ষমতা বাড়াতে পারি। আমাদের উন্নয়নের গতিপথ সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উভয়ই নিশ্চিত করতে পারি।’
তিনি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী বলেন, 'আমরা আপনাদের সমর্থনকে মূল্য দেই এবং একটি টেকসই ও সহনশীল বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সহযোগিতা গভীর করার প্রত্যাশা করছি।’
মন্ত্রী এডিবির সহায়তার প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষ্যে এডিবি ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের বিষয়টি তুলে ধরা হয় বৈঠকে।
আরও পড়ুন: ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে এডিবিকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৫১৯ দিন আগে
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রচেষ্টা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন জোরদারের আহ্বান এডিবি প্রেসিডেন্টের
জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করার জন্য 'প্রচেষ্টা জোরদার করা' এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেছেন সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া।
তিনি বলেন, অন্যান্য বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পাশাপাশি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এই প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শুক্রবার (৩ মে) এডিবির ৫৭তম বার্ষিক সভার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এডিবি প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমরা মানব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে প্রভাবিত করে এমন একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি, যেখানে অগ্রগতি অর্থের জন্য থমকে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের প্রচেষ্টা একটি স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই অঞ্চল তৈরির পথ প্রশস্ত করবে। এবং নিশ্চিত করবে যে এশীয় উন্নয়ন তহবিল পরিবর্তনের জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম।’
এশীয় উন্নয়ন তহবিল ১৪ (এডিএফ১৪) -এর জন্য প্রতিশ্রুতির অধিবেশন শেষ করেছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জন্য ৫০০ কোটি ডলারের এডিএফ গঠনে সম্মতি
এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, 'দাতাদের উদার প্রতিশ্রুতির জন্য আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তারা ৫ বিলিয়ন ডলার পুনরায় পূরণে সহায়তা করেছে।’
এই অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি এডিএফের অনুদান কার্যক্রমের জন্য সর্বকালের বৃহত্তম প্রতিশ্রুতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘এটি এডিবির সঙ্গে এডিএফ দাতাদের অব্যাহত অংশীদারিত্বের বহিঃপ্রকাশ। এটি এডিএফের ৫০তম বার্ষিকীকে প্রকৃতপক্ষে সুবর্ণ বার্ষিকীতে পরিণত করেছে।’
১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এডিএফ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দরিদ্রতম ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে দারিদ্র্য বিমোচন এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কাজ করে চলেছে।
এডিবির সাধারণ মূলধন সম্পদ থেকে নিট আয় স্থানান্তরের পাশাপাশি এডিবি সদস্যদের অনুদানকে একত্রিত করে এডিএফ গড়ে তোলা হয়েছে।
এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সাম্প্রতিক উন্নয়ন বিপর্যয়গুলো ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আমাদের দরিদ্রতম এবং সবচেয়ে দুর্বল সদস্য দেশগুলো জরুরি পদক্ষেপ নিতে চায় বলে এডিএফ অনুদান এখন আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
তিনি আরও বলেন, এডিএফ প্রকল্পগুলোতে আমার সফর এই সহায়তার রূপান্তরমূলক প্রভাবকে আরও জোরদার করেছে।
আরও পড়ুন: কার্যকরী-গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজে আগ্রহী এডিবি: ভাইস প্রেসিডেন্ট ভার্গব দাশগুপ্ত
এডিএফ১৪ এর মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-
দুর্বলদের জন্য অব্যাহত সহায়তা
এডিএফ ১৪ বিশষত জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়।
এডিএফের রূপান্তরমূলক এজেন্ডা
এডিএফ ১৪ আঞ্চলিক জনসাধারণের পণ্যসহ জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস, লিঙ্গ সমতা প্রচার ও আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং সংহতকরণকে এগিয়ে নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করে।
প্রতিক্রিয়াশীল সহায়তা
এডিএফ ১৪ দুর্যোগ, স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা এবং বড় আন্তঃসীমান্ত বাস্তুচ্যুতির শিকারদের সহায়তায় প্রস্তুত রয়েছে।
সংকটকালীন সহায়তা
এডিএফ আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের জনগণকে তাদের মৌলিক চাহিদার গুরুত্বের আলোকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়।
এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, 'একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির প্রতিফলনের লক্ষ্যে দাতাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক কয়েক মাসের আলোচনার মাধ্যমে এডিএফের আগামী ৪ বছরের একটি শক্তিশালী রূপকল্প তৈরি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'আমাদের দাতাদের উদার সমর্থন কেবল এই উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নেয় না, বরং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মনোভাবকে উৎসাহিত করে- যা বিশ্বব্যাপী সংকটের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, এই সহযোগিতা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের সম্মিলিত সক্ষমতা বাড়ায়, যা কোনো একটি দেশ এককভাবে কাটিয়ে উঠতে পারে না।
চলতি বছরের বার্ষিক সভার প্রতিপাদ্য হলো ‘ব্রিজ টু দ্য ফিউচার’ যা জর্জিয়ার অবস্থানকে পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে সংযোগকারী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
এটি বর্তমান এবং ভবিষ্যতের জন্য সরাসরি, আর্থিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলোর ভিত্তিতে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সংযোগকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের
৫৮০ দিন আগে