এডিবি
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হবে ১০.১ শতাংশ: এডিবির পূর্বাভাস
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) তাদের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ১ শতাংশ হবে। এই পূর্বাভাস এপ্রিলে দেওয়া পূর্বাভাসের চেয়ে ৩ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের আগস্টে সাধারণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা জুলাইয়ে ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে দেখা যায়, ২০২৩ সালের আগস্টে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, ২০২২ সালের আগস্টে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ২০২১ সালের আগস্টে ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এডিবির পূর্বাভাসে মূল্যস্ফীতির অনুমেয় বৃদ্ধির জন্য চলমান সরবরাহ বিঘ্ন এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে উচ্চ আমদানি ব্যয়কে দায়ী করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি আশা করছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কে থাকবে।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.১ শতাংশে নামাল এডিবি
গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হওয়ার পর চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। এসব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দাম মূল্যস্ফীতিকে ঊর্ধ্বমুখী করে তুলেছে, যা সরবরাহ শৃঙ্খলের সমস্যা এবং আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়িয়েছে।
এডিবির মতে, এই কারণগুলো গত দুই বছর ধরে ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতির চাপের মুখোমুখি হওয়া ভোক্তাদের উপর চাপ অব্যাহত রাখবে। এই সময়ের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে, যা পরিবারের বাজেটকে প্রভাবিত করেছে এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়েছে।
এডিবির সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি সত্ত্বেও আশা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে মূল্যস্ফীতি কমে আসতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ২০২৫ সালের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৬-৭ শতাংশে নেমে আসবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাসহ জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এডিবি: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা
১ মাস আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.১ শতাংশে নামাল এডিবি
রাজনৈতিক অস্থিরতা, সরবরাহ চেইন ব্যাহত হওয়া এবং সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যার কারণ দেখিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫ দশমিক ১ শতাংশে নামিয়ে এনেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
এটি একই সময়ের জন্য ম্যানিলা-ভিত্তিক ঋণদাতা ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস থেকে একটি উল্লেখযোগ্য হ্রাসকে চিহ্নিত করেছে।
আরও পড়ুন: ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতি দ্বিগুণ হতে পারে: এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট
জুলাই ও আগস্ট মাসে বন্যার পাশাপাশি গণআন্দোলনের মধ্যে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনকে (জিডিপি) মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। এটি সারা দেশে পণ্য ও পরিষেবার উৎপাদন ব্যাহত করেছে।
এডিবি তার সর্বশেষ প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলেছে, রাজস্ব ও মুদ্রানীতি কঠোর থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে ভোগের চাহিদা আরও হ্রাস করতে পারে এবং মুদ্রাস্ফীতি উচ্চ হারে রাখতে পারে।
ব্যাংকটি সতর্ক করে দিয়েছে যে তার পূর্বাভাস উল্লেখযোগ্য অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দেয়। নেতিবাচক ঝুঁকিগুলো সামষ্টিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে ছাপিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: এলডিসি-পরবর্তী যুগের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি দেখে উৎসাহিত: এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট
এডিবি এই ঝুঁকিগুলোকে প্রাথমিকভাবে চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভঙ্গুর পরিস্থিতি এবং দেশের আর্থিক খাতের দুর্বলতার কারণে দায়ী বলে চিহ্নিত করেছে।
এডিবির সংশোধিত পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের জুন মাসের অনুমানের চেয়ে কম। এতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ, জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের আশা
১ মাস আগে
জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাসহ জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এডিবি: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা
জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাসহ জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নেও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘বুড়িগঙ্গা-তুরাগ-বালুসহ গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর জন্য নিম্ন-ব্যয়ের দূষণমুক্তকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশকে সহায়তা করবে এডিবি।’
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয়ে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: জিডিপি প্রবৃদ্ধির চেয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
বৈঠকে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রমে বেসরকারি খাত ও যুবসমাজকে যুক্ত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়।
তিনি দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় এডিবির সহায়তা চান।
পরিবেশ উপদেষ্টা বাংলাদেশে পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্পে এডিবির চলমান সহায়তার জন্য প্রশংসা করে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সহিষ্ণুতার ক্ষমতা শক্তিশালী করা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতের জন্য অব্যাহত সহযোগিতার ওপর জোর দেন।’
এছাড়া উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা এই চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবিলার জন্য উদ্ভাবনী পন্থা এবং অর্থায়ন ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন।
এডিমন গিন্টিং বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে সহায়তার জন্য এডিবির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নদী পরিষ্কারের প্রচেষ্টায় সহায়তার ঘোষণা দেন। এছাড়া তিনি তাদের উদ্যোগগুলো সম্প্রসারণে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর পরিবেশ উপদেষ্টাকে আগামী ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর ম্যানিলা, ফিলিপাইনসর এডিবি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানিং ফোরামের উচ্চ পর্যায়ের সেশনে বক্তা হিসেবে অংশ নেওয়া আমন্ত্রণ জানান।
পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ও মন্ত্রণালয় ও এডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকটি বাংলাদেশের পরিবেশগত স্থিতিশীলতা ও জলবায়ু সহনশীলতা প্রচারে অব্যাহত অংশীদারিত্বের জন্য একটি যৌথ প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে সারাহ কুকের সাক্ষাৎ, জলবায়ু পরিবর্তন-জ্বালানি রূপান্তর সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
জাপানের কাছে বাজেট সহায়তা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা, উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান
২ মাস আগে
পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ, জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের আশা
কারিগরি সহায়তা, অর্থায়ন ও নীতি নির্দেশনার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (দক্ষিণ-মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া) ইংমিং ইয়াং।
জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে বুধবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এডিবির এই কর্মকর্তা এ আশ্বাস দেন।
এসময় তারা টেকসই পরিবেশ, জলবায়ু সহনশীলতা, বাতাস ও সামুদ্রিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ, কার্বন নির্গমন নিয়ন্ত্রণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সুনীল অর্থনীতির ওপর আলোকপাত করে এডিবি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে চলমান ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
উভয় পক্ষই এই অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশের দূষণের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অব্যাহত সহযোগিতার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা ও টেকসই উন্নয়ন গড়ে তুলতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এক্ষেত্রে এডিবির সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে না পারলে উন্নয়নশীল দেশগুলো পিছিয়ে পড়বে: এডিবি প্রেসিডেন্ট
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছি তা বিশাল এবং বহুমুখী। আমাদের লক্ষ্য পূরণে বলিষ্ঠ আর্থিক ব্যবস্থা, উন্নত প্রযুক্তি ও সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ প্রয়োজন। এডিবির সঙ্গে এই সহযোগিতা আমাদের উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সংস্থান ও বিশেষজ্ঞ সরবরাহে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।’
বাংলাদেশ ও এডিবির মধ্যে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্বের স্বপ্ন দেখেছেন সাবের। তিনি বলেন, 'একসঙ্গে আমরা উদ্ভাবনী সমাধানগুলো খুঁজে বের করতে পারি, আমাদের অভিযোজিত ক্ষমতা বাড়াতে পারি। আমাদের উন্নয়নের গতিপথ সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উভয়ই নিশ্চিত করতে পারি।’
তিনি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী বলেন, 'আমরা আপনাদের সমর্থনকে মূল্য দেই এবং একটি টেকসই ও সহনশীল বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সহযোগিতা গভীর করার প্রত্যাশা করছি।’
মন্ত্রী এডিবির সহায়তার প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষ্যে এডিবি ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের বিষয়টি তুলে ধরা হয় বৈঠকে।
আরও পড়ুন: ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে এডিবিকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৪ মাস আগে
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রচেষ্টা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন জোরদারের আহ্বান এডিবি প্রেসিডেন্টের
জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করার জন্য 'প্রচেষ্টা জোরদার করা' এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেছেন সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া।
তিনি বলেন, অন্যান্য বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পাশাপাশি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এই প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শুক্রবার (৩ মে) এডিবির ৫৭তম বার্ষিক সভার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এডিবি প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমরা মানব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে প্রভাবিত করে এমন একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি, যেখানে অগ্রগতি অর্থের জন্য থমকে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের প্রচেষ্টা একটি স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই অঞ্চল তৈরির পথ প্রশস্ত করবে। এবং নিশ্চিত করবে যে এশীয় উন্নয়ন তহবিল পরিবর্তনের জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম।’
এশীয় উন্নয়ন তহবিল ১৪ (এডিএফ১৪) -এর জন্য প্রতিশ্রুতির অধিবেশন শেষ করেছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জন্য ৫০০ কোটি ডলারের এডিএফ গঠনে সম্মতি
এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, 'দাতাদের উদার প্রতিশ্রুতির জন্য আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তারা ৫ বিলিয়ন ডলার পুনরায় পূরণে সহায়তা করেছে।’
এই অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি এডিএফের অনুদান কার্যক্রমের জন্য সর্বকালের বৃহত্তম প্রতিশ্রুতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘এটি এডিবির সঙ্গে এডিএফ দাতাদের অব্যাহত অংশীদারিত্বের বহিঃপ্রকাশ। এটি এডিএফের ৫০তম বার্ষিকীকে প্রকৃতপক্ষে সুবর্ণ বার্ষিকীতে পরিণত করেছে।’
১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এডিএফ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দরিদ্রতম ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে দারিদ্র্য বিমোচন এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কাজ করে চলেছে।
এডিবির সাধারণ মূলধন সম্পদ থেকে নিট আয় স্থানান্তরের পাশাপাশি এডিবি সদস্যদের অনুদানকে একত্রিত করে এডিএফ গড়ে তোলা হয়েছে।
এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সাম্প্রতিক উন্নয়ন বিপর্যয়গুলো ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আমাদের দরিদ্রতম এবং সবচেয়ে দুর্বল সদস্য দেশগুলো জরুরি পদক্ষেপ নিতে চায় বলে এডিএফ অনুদান এখন আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
তিনি আরও বলেন, এডিএফ প্রকল্পগুলোতে আমার সফর এই সহায়তার রূপান্তরমূলক প্রভাবকে আরও জোরদার করেছে।
আরও পড়ুন: কার্যকরী-গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজে আগ্রহী এডিবি: ভাইস প্রেসিডেন্ট ভার্গব দাশগুপ্ত
এডিএফ১৪ এর মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-
দুর্বলদের জন্য অব্যাহত সহায়তা
এডিএফ ১৪ বিশষত জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়।
এডিএফের রূপান্তরমূলক এজেন্ডা
এডিএফ ১৪ আঞ্চলিক জনসাধারণের পণ্যসহ জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস, লিঙ্গ সমতা প্রচার ও আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং সংহতকরণকে এগিয়ে নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করে।
প্রতিক্রিয়াশীল সহায়তা
এডিএফ ১৪ দুর্যোগ, স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা এবং বড় আন্তঃসীমান্ত বাস্তুচ্যুতির শিকারদের সহায়তায় প্রস্তুত রয়েছে।
সংকটকালীন সহায়তা
এডিএফ আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের জনগণকে তাদের মৌলিক চাহিদার গুরুত্বের আলোকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়।
এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, 'একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির প্রতিফলনের লক্ষ্যে দাতাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক কয়েক মাসের আলোচনার মাধ্যমে এডিএফের আগামী ৪ বছরের একটি শক্তিশালী রূপকল্প তৈরি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'আমাদের দাতাদের উদার সমর্থন কেবল এই উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নেয় না, বরং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মনোভাবকে উৎসাহিত করে- যা বিশ্বব্যাপী সংকটের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, এই সহযোগিতা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের সম্মিলিত সক্ষমতা বাড়ায়, যা কোনো একটি দেশ এককভাবে কাটিয়ে উঠতে পারে না।
চলতি বছরের বার্ষিক সভার প্রতিপাদ্য হলো ‘ব্রিজ টু দ্য ফিউচার’ যা জর্জিয়ার অবস্থানকে পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে সংযোগকারী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
এটি বর্তমান এবং ভবিষ্যতের জন্য সরাসরি, আর্থিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলোর ভিত্তিতে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সংযোগকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের
৬ মাস আগে
কার্যকরী-গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজে আগ্রহী এডিবি: ভাইস প্রেসিডেন্ট ভার্গব দাশগুপ্ত
জলবায়ু ইস্যুতে বাংলাদেশ ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে এবং কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন বাড়িয়ে দিতে আগ্রহী এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
শুক্রবার (৩ মে) ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (মার্কেট সলিউশন) ভার্গব দাশগুপ্ত।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অন্যান্য বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে খুব প্রভাব বিস্তারকারী, খুব কার্যকরী এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চাই।’
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর দায়িত্ব নেওয়া দাশগুপ্ত বলেন, তাদের মতে জ্বালানির উৎসের বৈচিত্র্য আনতে বাংলাদেশের অনেক আগ্রহ রয়েছে।
তিনি বলেন, 'কীভাবে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্ব এবং একসঙ্গে কাজ করতে পারি তা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যবসার ক্ষমতায়ন ও বিনিয়োগ উন্মুক্ত করা যায় এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকারের অগ্রগতিতে সহায়তা করা যায় এমনভাবেই এডিবির বেসরকারি খাতের কার্যক্রমগুলো সাজানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রবীণদের জন্য আরও বেশি বরাদ্দ দিতে জোর দিয়েছে এডিবি
গ্রাহকদের উদ্ভাবনমূলক সমাধান দেওয়ার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং লিঙ্গ সমতার মতো জটিল উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে এডিবি।
দাশগুপ্ত এডিবির প্রাইভেট সেক্টর অপারেশনস ডিপার্টমেন্ট ও অফিস অব মার্কেটস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। এডিবি এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর সরকারগুলোর জন্য অন্যতম 'সম্মানিত ও বিশ্বস্ত' অংশীদার।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময়ের মতো ভালো কাজগুলো অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছি।’
এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা বেসরকারি খাতে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছেন, তবে তাদের এই ভূমিকা আনুপাতিক হারে বাড়াতে হবে বলে।
এডিবি ২০২১ সালে তাদের জলবায়ু অর্থায়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ ২০১৯ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিল। যার মধ্যে ক্রমবর্ধমান অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য ৩৪ বিলিয়ন ডলার এবং ক্রমবর্ধমান প্রশমনে ৬৬ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছিল।
এডিবি ২০৩০ সালের মধ্যে বেসরকারি খাতে জলবায়ু অর্থায়নে ১২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে টেকসই ও জলবায়ুবান্ধব ব্যবসা বিকাশে সহায়তা করতে অতিরিক্ত ১৮ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলার জমা করতে চায়।
২০২২ সালে এডিবি নিজস্ব সম্পদ থেকে ৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নে দিয়েছে, যার মধ্যে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতা এবং ৪ বিলিয়ন ডলার প্রশমন বিষয়ে।
আরও পড়ুন: এডিবির বার্ষিক সভা: এডিবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক
এডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, তাদের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে নেট জিরো লক্ষ্য অর্জনে এশিয়ার ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
বেসরকারি খাতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পাবনায় ১০০ মেগাওয়াট গ্রিড-সংযুক্ত সোলার ফটোভোলটাইক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য এডিবি গত মাসে ডায়নামিক সান এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১২ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ডলারের একটি অর্থায়ন প্রকল্প সই করেছে।
বৈশ্বিক অর্থায়নকারীদের সহায়তায় এটি দেশের প্রথম বেসরকারি খাতের ইউটিলিটি-স্কেল সোলার ফ্যাসিলিটি।
এডিবি একমাত্র সমন্বয়কারী ও ব্যবস্থাপক হিসেবে এই ঋণ প্রকল্প সাজানো, কাঠামো তৈরি ও নিয়ন্ত্রণ করছে।
এই অর্থায়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- এডিবি থেকে ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ, এডিবির রেকর্ড ঋণদাতা হিসেবে এডিবির সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তাকারী আমস্টারডামভিত্তিক ইমার্জিং মার্কেট প্রাইভেট ক্রেডিট ফান্ড আইএলএক্স ফান্ড আই থেকে ২ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার ডলারের একটি সিন্ডিকেটেড বি-ঋণ এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ডলারের সিন্ডিকেটেড সমান্তরাল ঋণ।
এডিবির প্রাইভেট সেক্টর অপারেশনস ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক সুজান গ্যাবৌরি বলেন, ‘এশিয়ার জলবায়ু ব্যাংক হিসেবে এডিবি বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহায়তা করার সুযোগ সাদরে গ্রহণ করছে, যেখানে এ ধরনের প্রকল্পের জন্য দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন পাওয়া একটি চ্যালেঞ্জ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্লিন এনার্জি সুবিধাগুলোর জন্য অর্থায়ন জোগাড় করতে এবং যেখানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেখানে বিনিয়োগ বাড়াতে উৎসাহিত করতে এই অংশীদারিত্ব আমাদের ভূমিকাকে তুলে ধরবে।’
সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বার্ষিক ঘণ্টায় ১৯৩.৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং বার্ষিক ৯৩ হাজার ৬৫৪ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন এড়াবে।
আরও পড়ুন: আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের
৬ মাস আগে
বাংলাদেশে প্রবীণদের জন্য আরও বেশি বরাদ্দ দিতে জোর দিয়েছে এডিবি
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে, বয়স্ক ভাতা বাংলাদেশের দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করছে না এবং তাদের জন্য আরও বরাদ্দ প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) জর্জিয়ায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় এডিবি।
এডিবির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ আইকো কিক্কাওয়া ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা খুব সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি জরিপ করেছি। বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বয়স্ক ভাতা দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণ করছে না। দরিদ্রভাতা প্রাপ্তদের সংখ্যা এখনও ৫০ শতাংশের নিচে।’
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে বলে স্বীকার করে বৃহস্পতিবার এডিবির ৫৭তম বার্ষিক সভায় প্রকাশিত 'এজিং ওয়েল ইন এশিয়া: এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট পলিসি রিপোর্ট' শীর্ষক প্রতিবেদনের লেখক বলেন, বাংলাদেশ সরকার এই অবস্থার উন্নয়নে আরও কিছু করতে পারে। ‘আমি মনে করি, তারা ঠিক এটাই করছে।’
এডিবির এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশ সরকারকে দরিদ্রদের চিহ্নিত করতে আরও ভালো উপায় খুঁজে বের করতে হবে, যাতে তারা এই তহবিল বিতরণ করতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, 'আমরা এটাও চিহ্নিত করেছি, প্রবীণদের চাহিদা মেটানোর জন্য যে বরাদ্দ রয়েছে তা যথেষ্ট নয়। তাই এ বিষয়ে বরাদ্দ দিতে হবে।’
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বিভিন্ন সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।
এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যালবার্ট পার্ক বলেন, 'বিভিন্ন পরিস্থিতি বোঝার জন্য এসব প্রশ্ন বিশ্লেষণ করতে আমাদের যথেষ্ট তথ্য প্রয়োজন।’
এডিবি বলেছে, উন্নয়নশীল এশিয়া তার সাফল্যের দ্রুত প্রতিফলন ঘটাচ্ছে, তবে এই অঞ্চল বয়স্ক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত নয়।
বয়স্ক এশীয়দের জন্য চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে রোগাক্রান্ত হয়ে ক্রমবর্ধমান বোঝায় পরিণত হওয়া, উপযুক্ত কাজের অভাব, স্বাস্থ্য ও দীর্ঘমেয়াদি যত্নের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো যথেষ্ট না পাওয়া, কম অবসরকালীন ভাতা সুবিধা এবং বিচ্ছিন্নতা ও একাকীত্বের হার বৃদ্ধি।
বার্ধক্যের ক্ষেত্রে লিঙ্গভিত্তিক সংখ্যার দিকে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। নীতিগুলোর মাধ্যমে অবশ্যই বয়স্ক নারীদের ক্রমবর্ধমান দুর্বলতার সমাধান করতে হবে। একই সঙ্গে সব নারীর অপূর্ণ চাহিদাগুলো পূরণ করতে হবে।
এডিবি বলছে, সমন্বিত বার্ধক্য নীতিমালা নিজের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দক্ষতা, অবসরের জন্য আর্থিক প্রস্তুতি এবং পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনে আজীবন বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে পারে, যা প্রবীণদের সুস্থ ও উৎপাদনশীল গোষ্ঠীকে উৎসাহিত করবে এবং অর্থনীতি ও সমাজে তাদের অবদান সবচেয়ে বেশি হবে।
এডিবির অর্থনীতিবিদরা বলেন, সিলভার ডিভিডেন্টকে কাজে লাগাতে এশিয়ার জন্য প্রাথমিক বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ১২০ কোটিতে দাঁড়াবে। যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ। এটি অবসরকালীন ভাতা ও কল্যাণ কর্মসূচির পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলবে।
আরও পড়ুন: দেশের বেসরকারি সৌর প্রকল্পে ১২১.৫৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন এডিবির
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) আরও বলেছে, একই সময়ে, প্রবীণদের কাছ থেকে অতিরিক্ত উৎপাদনশীলতার আকারে একটি ‘সিলভার ডিভিডেন্ট’ অর্জনের সুযোগ রয়েছে অর্থনীতির। যা এই অঞ্চলে মোট দেশজ উৎপাদনকে গড়ে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যালবার্ট পার্ক বলেন, 'এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্রুত উন্নয়ন একটি সাফল্যের গল্প, তবে এটি বিশাল জনমিতিক পরিবর্তনকেও ইন্ধন দিচ্ছে এবং চাপ বাড়ছে।’
তিনি বলেন, 'সরকারগুলোকে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে, যাতে তারা এই অঞ্চলের কোটি কোটি মানুষকে ভালোভাবে সহায়তা করতে পারে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দক্ষতা ও অবসর গ্রহণের জন্য আর্থিক প্রস্তুতিতে আজীবন বিনিয়োগকে সমর্থন করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘বয়স্ক ব্যক্তিদের সুস্থ ও উৎপাদনশীল জনগোষ্ঠীকে উৎসাহিত করতে এবং সমাজে তাদের অবদান সর্বাধিক করার জন্য পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনও গুরুত্বপূর্ণ।’
বহুপক্ষীয় এ উন্নয়ন ব্যাংকের মতে, উন্নয়নশীল এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল তার দ্রুত বর্ধনশীল বয়স্ক জনসংখ্যার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত নয়। কারণ এই অঞ্চলে বয়স্ক মানুষের ক্রমবর্ধমান অংশ কম অবসরকালীন সুবিধা, স্বাস্থ্য সমস্যা, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোতে সীমিত সুযোগের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের
'এজিং ওয়েল ইন এশিয়া: এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট পলিসি রিপোর্ট' অনুসারে, দীর্ঘ আয়ু এই অঞ্চলের উন্নয়ন সাফল্যকে প্রতিফলিত করে, তবে প্রবীণদের কল্যাণে সহায়তা করার জন্য ব্যাপক নীতি সংস্কার জরুরি প্রয়োজন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৪০ শতাংশ নারী যেকোনো ধরনের অবসরকালীন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কারণ তাদের অধিকাংশই অবৈতনিক ঘরোয়া কাজ করে।
ফলে এ অঞ্চলের অনেক বয়স্ক মানুষের বেঁচে থাকার তাগিদে অবসরের বয়সসীমা পেরিয়েও ভালোভাবে কাজ করা ছাড়া উপায় থাকে না। যারা এখনও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সে কাজ করছেন তাদের মধ্যে ৯৪ শতাংশ অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করে। যেখানে সাধারণত মৌলিক শ্রম সুরক্ষা বা অবসরকালীন সুবিধা দেয় না। এদিকে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের চ্যালেঞ্জগুলোও বেড়ে যায়।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় ৬০ শতাংশ বয়স্ক মানুষ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নেন না বা গ্রহণ করেন না। অন্যদিকে ৩১ শতাংশ অসুস্থতা, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে হতাশার লক্ষণগুলো তুলে ধরে।
এই অঞ্চলে বয়স্ক পুরুষদের তুলনায় বয়স্ক নারীদের হতাশা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে ভোগার আশঙ্কাও বেশি।
প্রতিবেদনে স্বাস্থ্যকর এবং অর্থনৈতিকভাবে সুরক্ষিত বার্ধক্যকে সমর্থন করার জন্য বিস্তৃত নীতিগত পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এডিবির বার্ষিক সভা: এডিবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক
৬ মাস আগে
এডিবির বার্ষিক সভা: এডিবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রেসিডেন্ট ও এডিবির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারপারসন মাসাতসুগু আসাকাওয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার (২ মে) এডিবির ৫৭তম বার্ষিক সভার সাইড লাইনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় বাংলাদেশ ও বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার বিষয়টিও পর্যালোচনা করেন তারা।
২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর গড়ে ২ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের বৈদেশিক সহায়তার একটি প্রধান উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে এডিবি।
এডিবির সহায়তা বাংলাদেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, ২০২১-২০২৫ এবং পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা, ২০২১-২০৪১ এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৭২৬টি সরকারি খাতে ৩১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের ঋণ, অনুদান ও কারিগরি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এডিবি।
বর্তমানে বাংলাদেশে এডিবির চলমান কার্যক্রমে ৭৫টি ঋণ এবং ১৩ বিলিয়ন ডলারের ৪টি অনুদানের কথা উল্লেখ রয়েছে।
জর্জিয়ার তিবলিসিতে শুরু হওয়া ৫৭তম বার্ষিক সভার ভেন্যু পরিদর্শন করেন এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসা আসাকাওয়া।
এডিবির বার্ষিক সভায় প্রতিনিধিরা জলবায়ু পরিবর্তন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সবুজ বিশ্বায়নসহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মূল বিষয়গুলো এবং ভবিষ্যতের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।
গত ১ মে জর্জিয়ায় পৌঁছান বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী । সেখানে অবস্থানকালে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন তিনি।
শুক্রবার মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়াও এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (অঞ্চল-১) ইংমিং ইয়াংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এডিবির প্রেসিডেন্টের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।
সোমবার সকালে ঢাকার উদ্দেশে তিবিলিসি ত্যাগ করার কথা রয়েছে অর্থমন্ত্রীর।
৬ মাস আগে
আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৫৭তম বার্ষিক সভায় যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জর্জিয়ার রাজধানীতে পৌঁছেছেন প্রতিনিধিরা। আগত অতিথিদের উষ্ণভাবে স্বাগত জানিয়েছে তিবিলিসি।
বৃহস্পতিবার (২ মে) শুরু হতে যাওয়া সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সবুজ বিশ্বায়নসহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মূল উন্নয়নের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।
বুধবার (১ মে) রাতে তিবলিসিতে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী পৌঁছাবেন বলে জানিয়েছেন এক সরকারি কর্মকর্তা।
২০২৪ সালের বার্ষিক সভার পর্দা উত্তোলনের সময়, একটি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে কী প্রয়োজন সে নিয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া, ইউরোপিয়ান ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রেসিডেন্ট ওডিলে রেনাড-বাসো এবং জর্জিয়ার অর্থমন্ত্রী লাশা খুটিশভিলি।
আরও পড়ুন: দেশের বেসরকারি সৌর প্রকল্পে ১২১.৫৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন এডিবির
আন্তর্জাতিক সাংবাদিক নিশা পিল্লাইয়ের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্বায়ন ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি সত্ত্বেও বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও দেশগুলো কীভাবে আরও কার্যকরভাবে সহযোগিতা করতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
আলোচনায় এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, তথাকথিত উন্নয়নশীল এশিয়ার অর্থনীতি ২০২৩ সালে ৫ শতাংশ বেড়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যা ২০২২ সালে ছিল ৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
এই প্রবৃদ্ধির গতি চলতি বছর এবং আগামী বছর প্রায় ৪ দশমিক ৯ শতাংশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন আসাকাওয়া। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এডিবি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, মূল্যস্ফীতির হার ২০২২ সালের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে কমে ২০২৩ সালে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, ‘কয়েকটি ক্ষেত্র থেকে এই শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি আসে- প্রথমত, তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা। দ্বিতীয়ত, রপ্তানি কর্মক্ষমতা পুনরুদ্ধার। তৃতীয়ত, খুব শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ। চতুর্থত, পর্যটন পুনরুদ্ধার কারণ আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক ফিরে আসছেন এবং পঞ্চমত, চীনা অর্থনীতির পুনরুদ্ধার।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু সহিষ্ণু পানি ব্যবস্থাপনায় ৭১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি
চীনের অর্থনীতি প্রসঙ্গে এডিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ২০২২ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩ দশমিক শূন্য হলেও কঠোর শূন্য-কোভিড নীতি থেকে বেরিয়ে আসার পর ২০২৩ সালে তা ৫ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রচুর পরিমাণে অনিশ্চয়তা এবং চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সত্ত্বেও এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনীতি খুব স্থিতিশীল অবস্থায় আছে বলে মনে হচ্ছে।
এ সময় এডিবি প্রেসিডেন্ট চারটি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন- প্রথমটি হলো মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য স্থানে চলমান ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত। দ্বিতীয়ত, উন্নত অর্থনীতিগুলোতে- বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর্থিক নীতির অভিযোজনের কারণে বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারগুলো খুব অস্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা। তৃতীয়ত, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি। সাধারণত খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও ২০২২ সালে সর্বোচ্চ হওয়ার পর থেকে চালের দাম বেড়েই চলেছে। চতুর্থত বিশ্ব যে নেতিবাচক ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে তা হলো জলবায়ু পরিবর্তন সংকট।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে এটা অস্বস্তিকর সত্য যে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল কার্বনডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গমনের জন্য ৫০ শতাংশের বেশি দায়ী। তবে একই সঙ্গে এটিও সত্য যে এই অঞ্চলটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি।’
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১%, আগামী বছর হবে ৬.৬ %: এডিবির পূর্বাভাস
এডিবির ব্যবস্থাপনা মহাপরিচালক উচং উম বলেন, 'বৈঠকে জর্জিয়া ও এডিবির মধ্যে ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব তুলে ধরা হবে এবং আঞ্চলিক উন্নয়ন ও সহযোগিতার প্রতি জর্জিয়ার প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, পূর্ব ও পশ্চিমের সংযোগস্থলে অবস্থিত তিবিলিসিতে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সরাসরি, আর্থিক এবং অর্থনৈতিক সংযোগগুলো খোঁজার একটি চমৎকার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে।’
এবার প্রথমবারের মতো জর্জিয়ায় এডিবির বোর্ড অব গভর্নর্সের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
'ব্রিজ টু দ্য ফিউচার' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২ থেকে ৫ মে পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন। এতে এডিবির ৬৮ সদস্য দেশের অর্থমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং বেসরকারি খাত, একাডেমিয়া, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
জর্জিয়া ২০০৭ সালে এডিবিতে যোগ দেয়। জর্জিয়াকে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশটির অন্যতম বৃহৎ বহুপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার হয়েছে এডিবি।
এডিবি চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিশীল এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও উন্নয়নশীল এশিয়ায় বলিষ্ঠ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির
৬ মাস আগে
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী এডিবি
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শিক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, উচ্চ শিক্ষাকে কর্মমুখী করতে ও শিক্ষার্থীদের কর্ম সংশ্লিষ্ট যোগ্যতা ও দক্ষতা বাড়াতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাতিমা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান।
আরও পড়ুন: ২ জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি ব্যবস্থাপনায় ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন এডিবির
ফাতেমা ইয়াসমিন বলেন, এডিবির সবচেয়ে বড় সহযোগী রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
এই প্রতিনিধি দলে আরও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন- এডিবির বাংলাদেশ মিশনের কান্ট্রি ডাইরেক্টরএডিয়েনন গিনটিং, এডিবি অফিসের পাবলিক সেক্টর ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্সের সিনিয়র ডাইরেক্টর নিয়াজি, এডিবির প্রাইভেট সেক্টর অপারেশন ডিপার্টম্যান্টের ডাইরেক্টর আসিফ সারদ চিমা, এডিবির ডেপুটি কান্ট্রি ডাইরেক্টর জিয়াংবো নিং, এডিবির কান্ট্রি অপারেশন হেড না উন কিম, এডিবির এক্সটার্নাল রিলেশনের টিম লিডার গোবিন্দ বার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশে সহযোগিতা বাড়াবে এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী
৭ মাস আগে