জার্মান ফেডারেল পররাষ্ট্র দপ্তরের সহায়তায় রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বিপদাপন্ন স্থানীয়দের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমকে আরও প্রসারিত করতে এ অর্থ ব্যয় করবে আইওএম। পাশাপাশি কক্সবাজারে অসুস্থ ভ্রমণকারীদের চিহ্নিতকরণ, পরীক্ষা এবং অন্য কোথাও নিয়ে যেতে প্রবেশপথের (পিওই) সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করবে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক এ সংস্থা।
এ উদার অর্থায়নের মাধ্যমে তিনটি পৃথকীকরণ ও চিকিৎসাকেন্দ্র নির্মাণ, ১০০টি মধ্যবর্তীকালীন আশ্রয়কেন্দ্রকে নতুন করে স্বল্প ঝুঁকিসম্পন্ন কেসের জন্য কোয়ারেন্টাইন এবং পৃথকীকরণ কেন্দ্রে স্থানান্তর এবং ক্যাম্পে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সুবিধার্থে কাজের বিনিময়ে অর্থ (ক্যাশ ফর ওয়ার্ক) প্রকল্পে সহায়তা জোরদার করবে আইওএম।
এছাড়া, তিনটি অ্যাম্বুলেন্স জীবাণুমুক্তকরণ স্থান তৈরি, অ্যাম্বুলেন্স প্রেরণ সমন্বয়, শরণার্থী এবং স্থানীয়দের মধ্যে কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ে কাজ করা স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদানেও কাজ করবে আইওএম।
ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ বলেন, ‘বাংলাদেশে আইওএমের কোভিড-১৯-এর সাড়া প্রদান কার্যক্রমকে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। করোনাভাইরাস সম্প্রসারণ প্রতিরোধ এবং এ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম আরও প্রসারিত করা জরুরি।’
আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, ‘আমরা জার্মান সরকারের প্রতি এ সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞ। তাদের এ সহায়তার ফলে আমরা বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের, যারা পুরোপুরি মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল তাদের জরুরি স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদানে কাজ করে যেতে সক্ষম হব।’