ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
রবিবার বাংলার পেট্রাপোল স্থলবন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন ও মৈত্রী দ্বার উদ্বোধনের সময় তিনি একথা বলেন।
অমিত শাহ বলেন, ‘অনুপ্রবেশ বন্ধ হলেই শান্তি আসবে। নেপাল, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অংশীদারত্ব বাড়ানো হবে। অগ্রগতির দিক থেকে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব হতে পারে।’
আরও পড়ুন: কসবা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় সাবেক স্পিকারের যুগ্ম সচিব আটক
অমিত শাহ বলেন, “বাংলার সমৃদ্ধির জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর মোদি। বাংলা হয়ে উঠবে ‘সোনার বাংলা’ এবং এখানকার উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখবে না বিজেপি।”
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণের পরিমাণ বাড়াবে পেট্রাপোল স্থলবন্দরের নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন (পিটিবি)।
আন্তর্জাতিক পরিবহন কেন্দ্রগুলোর মতো নকশায় নির্মিত পেট্রাপোলের যাত্রী টার্মিনাল ভবনে সব আধুনিক সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভিআইপি লাউঞ্জ, ডিউটি ফ্রি শপ এবং মৌলিক চিকিৎসা সুবিধা।
বেনাপোল (বাংলাদেশ)-পেট্রাপোল (ভারত) বাণিজ্য ও যাত্রী চলাচলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থল সীমান্ত ক্রসিং।
মৈত্রী দ্বার জিরো লাইনে একটি যৌথ কার্গো গেট যা উভয় দেশের সম্মতিতে নির্মিত হয়েছে। এর মাধ্যমে সীমান্তে পণ্য খালাস এবং ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করবে। এতে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্থলভিত্তিক বাণিজ্যের প্রায় ৭০ শতাংশ (মূল্য অনুসারে) এই স্থলবন্দর দিয়ে সম্পন্ন হয়।
পেট্রাপোল স্থলবন্দর ভারতের অষ্টম বৃহত্তম আন্তর্জাতিক অভিবাসন বন্দর এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বার্ষিক ২৩ লাখ ৫ হাজারেরও বেশি যাত্রী পরিবহন করে।