বাগেরহাটে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে ৪০০ টাকা থেকে এক লাফে কেজি প্রতি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে কাচাঁ মরিচ।
প্রত্যাশা অনুয়ায়ী, কাচাঁ মরিচ কিনতে না পেরে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন ক্রেতারা। অনেকে আবার ১০০ গ্রাম ও ২০০ গ্রাম কাচাঁ মরিচ কিনে বাড়ি ফিরছেন।
তবে বিক্রেতারা বলছেন, মোকামে কাচাঁ মরিচের সংকট থাকায় আড়তে তেমন মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বেশি দামে ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
শনিবার (১জুলাই) দুপুরে বাগেরহাট শহরের বড় বাজারে ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: কাঁচা মরিচের ঝাঁজে পুড়ছে বরিশাল
ক্রেতা শেখ আফসার আলী বলেন, খাবার হোটেলের জন্য আধা কেজি কাচাঁ মরিচ কিনতে এসে দেখলাম ৮০০ টাকা এক কেজি মরিচের দাম। তাই ১০০ গ্রাম ৮০ টাকায় কিনে নিলাম। এর আগে কখনও এত টাকা দাম শুনেনি ও দেখিও নাই।
অপর ক্রেতা সাইমন হাওলাদার বলেন, কাচাঁ মরিচ এখন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। আমার বয়সে কোনোদিন দেখেনি ৮০০ টাকা কেজি। ঈদের দুদিন আগে ৩০০ টাকা কেজি ছিল। আজ তা বেড়ে ৮০০ টাকা হয়েছে। সকালে নাকি ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সংকট থাকতেই পারে কিন্তু দাম বাড়বে কেন?।
সরকারি মনিটরিং থাকা প্রয়োজন বলে জানান ওই ক্রেতা।
বাগেরহাট শহরের খুচরা সবজি বিক্রেতা শাহিন বলেন, ‘আড়ৎ থেকে সাড়ে ছয়-সাতশ’ টাকা দরে পাইকারি কিনে, ৮০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।’
কেজিপ্রতি এত লাভ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ক্রেতারা এখন ১০০ গ্রামের চেয়ে বেশি কিনে না। অনেকে আবার দাম শুনে চলে যায়। এখন ২ থেকে ৩ কেজি কাচাঁ মরিচ বিক্রি করতে দুদিন সময় লাগে।এই সময়ে অনেক কাচাঁ মরিচ নষ্ট হয়ে যায়’।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু
শহরের কাচাঁ বাজারের অলিগলি ঘুরে মাত্র তিনটি দোকানে কাচাঁ মরিচ দেখা যায়। জীবনে এরকম কাচাঁ মরিচের দাম দেখা যায়নি। কাচাঁ মরিচের সংকট থাকলে দাম বাড়ার যুক্তি কোথায় এমন প্রশ্ন অনেকের।
বাগেরহাট শহরের কাচাঁ বাজারের বাণিজ্যালয়ের আড়ৎদার শেখ আসাদ বলেন, ‘আমরা খুলনা থেকে পাইকারি দরে কিনে এনে আড়তে রাখি। এরপর এখান থেকে আমরা খুচরা বাজারের পাইকারদের কাছে বিক্রি করি। কিন্তু কয়েক দিন ধরে কাচাঁ মরিচ সরবরাহ কম থাকায় খুলনার পাইকারি হাটে না পাওয়ায় মাত্র দুই বস্তা কাচাঁ মরিচ আনা হয়।’
তিনি অবশ্য বলেন, ‘৮০০ টাকা নয়, সকাল থেকে আমরা বাজারে ৬০০ থেকে সাড়ে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি’।