এ দিন দুপুর আড়াইটার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এবং হাঙ্গেরিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজিজার্তো বৈঠক করবেন।
বৈঠকের পর দুদেশের মধ্যে একাধিক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বুধবার রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে করে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রীর ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাঙ্গেরিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানাবেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বৃহস্পতিবার সকালে হাঙ্গেরিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
সেখানে তিনি ১৯৭৫ সালে নৃশংসভাবে খুন হওয়া জাতির পিতা এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এর পরে তিনি সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সির সাথে বৈঠক করবেন।
সফররত হাঙ্গেরিয়ান মন্ত্রী এবং তার প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সম্মানে এক মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমের সাথে কথা বলবেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হাঙ্গেরিয়ান মন্ত্রী ঢাকা ত্যাগ করবেন।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি মধ্যে এটিই বাংলাদেশে প্রথম কোনো মন্ত্রী পর্যায়ের সফর।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকেই হাঙ্গেরির সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রেখেছে। হাঙ্গেরি মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সমর্থন করেছিল এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো হাঙ্গেরি।
১৯৭২ সালের ২৯ জানুয়ারিতে দুদেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।