সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
এছাড়া বিমানবাহিনীর একজনের গেজেট বাতিলও স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল কাইয়ূম।
পরে আব্দুল কাইয়ূম জানান, গেজেট বাতিল আইনানুগ না হওয়ায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা রিট করেছেন। সোমবার আদালত পৃথক রিটের শুনানি নিয়ে বিজিবি ও বিমানবাহিনীর ১৯২ জনের ক্ষেত্রে গেজেটটি স্থগিত করে রুল জারি করেছে। এছাড়া তাদের ভাতাও দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, ১৯২ জনের মধ্যে ১৬০ জন আগে রিট করেছিলেন। তখন ভার্চ্যুয়াল কোর্ট নিয়মিত আদালত খোলা না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। এখন নিয়মিত আদালত চালু হওয়ায় তাদের রিট উপস্থাপন করা হলে আদালত সনদ বাতিলের গেজেটের ওপর স্থগিতাদেশ, ভাতা দিতে নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করে। নতুন করে বাকি ৩২ জন রিটের ক্ষেত্রেও একই আদেশ দিয়েছে। তাদের মধ্যে বিমানবাহিনীর একজন ছাড়া বাকি সবাই বিজিবির।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুন এক হাজার ১৩৪ জন বিজিবি সদস্যের গেজেট বাতিল করে সরকার। ওই গেজেটে বলা হয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০০২ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬-এর শিডিউল-১ এর তালিকা ৪১-এর ৫ নম্বর ক্রমিকে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে জামুকার ৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাধীনতা যুদ্ধের পর (১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে যোগ দেয়া মুক্তিযোদ্ধাদের এক হাজার ১৩৪ জনের নামে প্রকাশিত গেজেট বাতিল করা হলো। একইদিন বিমানবাহিনীর ৪৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে সংক্ষুব্ধ হয়ে ১৯২ জন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।