তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উচ্চফলনশীল জাতের আলু আবাদের ফলে এখন বছরে ১ কোটি টনের বেশি উন্নত জাতের আলু উৎপাদন হয়। দেশে চাহিদা রয়েছে ৬০-৭০ লাখ টনের মতো।’
শনিবার টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বিএডিসির মালতি হিমাগার জোনের চুক্তিবদ্ধ বীজ আলু উৎপাদনকারী চাষিদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে অনলাইনে মন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘উদ্বৃত্ত আলু বিদেশে রপ্তানি করতে হবে। এদেশে উৎপাদিত আলুতে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় বিদেশে চাহিদা কম। সেজন্য এমন জাতের আলু উৎপাদন করতে হবে যেগুলোর চাহিদা বিদেশে আছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে।’
চলমান বন্যার কারণে আমনের বীজতলা নষ্ট হয়ে থাকলে দ্রুত বিকল্প বীজতলা তৈরির নির্দেশ দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পর্যাপ্ত বীজ মজুদ রয়েছে। এসব বীজ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিতরণ করে নতুন বীজতলা তৈরি করতে হবে।
‘এ সরকার সব সময় কৃষকের পাশে ছিল, বর্তমানেও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে,’ যোগ করেন মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বিএডিসির মানসম্পন্ন বীজ আলু উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ প্রকল্পের আওতায় ধনবাড়ীর মালতি হিমাগার জোনের ১৭৫ জন বীজ আলু উৎপাদনকারী চাষিদের মাঝে ২ হাজার ২০০ মেট্রিক টন বীজ আলুর মূল্য বাবদ প্রায় ২ কোটি ৯০ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক মো. ইব্রাহিম হোসেনের সভাপতিত্বে বিএডিসির চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম, ধনবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা সিদ্দিকা, পৌর মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন, প্রকল্প পরিচালক (আলুবীজ) আবীর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।