সেই সাথে ১৭ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল খুলে দেয়ারও ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আরও পড়ুন: দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস, অন্যদের সপ্তাহে একদিন
এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে কাজ করছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্বের অনেক দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। আমাদেরও গত ১৭ মার্চ থেকে সকল স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া না হলেও দেশের সকল পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আগামী ২৪ মে থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণির ক্লাস কার্যক্রম শুরু করা হবে। এর আগে ১৭ মে থেকে সকল আবাসিক হলগুলো খোলা হবে, বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি ক্লাস খোলার আগ পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস চলমান থাকলেও কোন ধরণের পরীক্ষা নেয়া যাবে না। শ্রেণি ক্লাস খোলার পর পরীক্ষা নেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ শেষ করতে হবে। ক্যাম্পাস ও হলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষা, গবেষণার মান আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করুন: শিক্ষামন্ত্রী
ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সহজ: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষানীতিতে ‘ই-লার্নিং’ কার্যক্রমে আরও গুরুত্বারোপ করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে সংস্কার কাজ করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের করোনা টিকা প্রদান নিশ্চিত করা হবে। টিকা প্রদানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি ক্লাস শুরু করা হবে। ইতোমধ্যে তাদের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জোর করে আবাসিক হলের ফটকের তালা ভেঙে প্রবেশ করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন অবিলম্ববে এসব শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এক শ্রেণির মানুষ বর্তমান সরকারকে নানাভাবে ঝামেলায় ফেলার চেষ্টা করলেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমনে তাদের মতাদর্শের কিছু শিক্ষার্থীদের দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ থাকা আবাসিক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করতে উস্কিয়ে দেয়া হচ্ছে।
কেউ কেউ বিবিএস পরীক্ষার প্রস্তুতির নেয়ার জন্যও হলে উঠার চেষ্টা করছে। সকল বিষয় বিবেচনা করে আগামী ২৪ মে (পবিত্র ঈদুর ফিতরের পর) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৭ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল খুলে দেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলো দীর্ঘ এক বছর থেকে বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বর্তমনে সেগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ করতে হবে। ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল খোলার পরে সকলে যাতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সে ব্যবস্থা করতে হবে।