নববধূ পাপিয়া খাতুন তার বাবার বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। শুক্রবার সকালে পরিবারের সদস্যরা ফ্যানের সাথে মৃতদেহ ঝুলতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ তা উদ্ধার করে।
স্বজনরা জানান, খোকসা সরকারি ডিগ্রি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী পাপিয়ার সাথে একই কলেজের শামীম রেজার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে ছাত্রীর বাবার বাড়ি উপজেলার হিলালপুর গ্রামে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু এ বিয়ে ওই ছাত্রের পরিবার মেনে নিতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার বিকালে নববধূকে রেখে শামীম নিজের বাড়ি যান। পরে তিনি না ফিরলে নব দম্পতির মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাতেই নববধূ আত্মহত্যা করেন।
নিহতের বাবা ওমর আলী জানান, শামীম পালিয়ে যাওয়ায় পাপিয়া অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন।
এ ব্যাপারে শামীমকে ফোনে পাওয়া যায়নি। সেই সাথে তার বাবা রাজ্জাক বিশ্বাসের বাড়ি উপজেলার মির্জাপুরের গিয়েও কারও দেখা মেলেনি।
খোকসা থানার এসআই বুলবুল আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।