বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ ফরহাদ বলেন, ‘ফারদিনের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনি জানান, ফারদিনের দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, তারা ফারদিনের মৃত্যুর পেছনের সূত্র ও সম্ভাব্য কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
এদিকে ফারদিনের বাবা নুরউদ্দিন রানা বলেন, সোমবার ফারদিনের মৃতদেহের কথা জানিয়ে পরিবারের কাছে ফোন আসে।
নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর সোমবার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর শীতলক্ষ্যায় মিলল বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ
মনিরুজ্জামান বলেন, ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা।
৪ নভেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি ফারদিন। ফোনেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।
পরে তার বাবা রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সোমবার বিকালে জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কটন মিলের ঠিক পেছনে নদীতে লাশটি ভাসতে দেখা যায়।
ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ১৫ বন্ধুর রিমান্ড মঞ্জুর
নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর পদ্মা নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার