বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, গাইবান্ধায় ২০০ মেগাওয়াটের এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থতার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ৫ মে বেক্সিমকো-টিবিইএ জিনজিয়াং সানওয়েসিস কোম্পানি লিমিডেটকে নোটিশ পাঠিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের নথিতে দেখা যায়, এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটি ২০১৬ সালের আগস্টে বেক্সিমকো-টিবিইএ’র স্বেচ্ছায় দেয়া প্রস্তাব অনুমোদন করে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির বিশেষ আইনের অধীনে বেক্সিমকো-টিবিইএ এ প্রকল্প লাভ করে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
অনুমোদনের পর, চলতি বছরের ২৬ এপ্রিলের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর বেক্সিমকো-টিবিইএ’র সাথে চুক্তি সই করে পিডিবি।
শর্ত অনুযায়ী, বেক্সিমকো-টিবিইএ’র যৌথ কোম্পানি তিস্তা সোলার লিমিটেডের ১৮ মাসের মধ্যে এক হাজার একর জমিতে সুন্দরগঞ্জ সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কথা ছিল।
কোম্পানিটি যতটুকু বিদ্যুৎ তত দামের (নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট) ভিত্তিতে ২০ বছর ধরে জাতীয় গ্রিডে ১২ টাকা ইউনিটে বিদ্যুৎ সরবরাহের আদেশ পেয়েছিল। সরকার তাদের কাছ থেকে ২০ বছরে ৭ হাজার ৭৭৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার বিদ্যুৎ কিনে নিত।
কিন্তু ১৯ মে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে এক পর্যালোচনা সভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অগ্রগতি খুব অসন্তোষজনক বলে জানানো হয়।
পিডিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় জানান, তারা ইতোমধ্যে নোটিশ জারির মাধ্যমে বেক্সিমকোর সাথে চুক্তি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
তবে, প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় বাড়ানোর জন্য কোম্পানিটি ইতোমধ্যে আবেদন করেছে। ‘কিন্তু পিডিবি বেক্সিমকো-টিবিইএ’র এমন কোনো আবেদন এখনো অনুমোদন করেনি,’ বলেন এক কর্মকর্তা।