রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাইতাস হিল্লোল রেমা এই রিট দাখিল করেন।
আইনজীবী তাইতাস হিল্লোল রেমা পরে সাংবাদিকদের বলেন, রিট আবেদনে ব্যাংকটিতে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিয়োগ হয়েছে উল্লেখ করে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) নিরীক্ষা প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া বেসিক ব্যাংকে নিয়োগ নিয়ে এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে তলবের জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সেই সাথে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২৯ নভেম্বর বেসিক ব্যাংকের নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ও টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ আবদুল হাই বাচ্চু বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার সময় ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার, নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি করে এক হাজার ১৭৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যার প্রমাণ উঠে এসেছে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) নিরীক্ষা প্রতিবেদনে। সেখানে এ নিয়োগ-দুর্নীতির ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বেসিক ব্যাংকে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা, নিয়োগ-সংক্রান্ত বিধি-বিধান কোনো কিছুই মানা হয়নি। এছাড়াও বেতন-ভাতার নামে বাড়তি অর্থ আত্মসাতের প্রমাণাদিও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তদন্ত করলেও নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে না।
রিট আবেদনে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহেই হাইকোর্টের বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।