রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও স্থানীয় জেলা প্রশাসনের গঠন করা পাঁচটি তদন্ত কমিটির তথ্য বুধবার রাজধানীর রেল ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
পাঁচ কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন, সাক্ষ্য প্রমাণ পর্যালোচনা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে প্রায় একই রকম সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপরই তা তদন্তের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় একটি, বাংলাদেশ রেলওয়ে তিনটি ও স্থানীয় জেলা প্রশাসন একটি কমিটি গঠন করে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, কমিটিগুলোর প্রতিবেদনে তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনের লোকোমাস্টার তাছের উদ্দিন, সহকারী লোকোমাস্টার অপু দে এবং গার্ড মো. আবদুল রহমানকে দায়ী করা হয়েছে।
কমিটিগুলোর প্রতিবেদন মোতাবেক দেখা যায় যে আন্তনগর ৭৪১ নম্বর তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনের লোকোমাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার ও গার্ডের সিগন্যালগুলো যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ না করে ট্রেন পরিচালনার কারণে এ দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়, যোগ করেন নূরুল ইসলাম।
ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে কমিটিগুলো যে সুপারিশ দিয়েছে তার মধ্যে আছে ট্রেনের লোকোমাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার ও গার্ডদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকির জন্য লোকোমোটিভে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, ট্রেন পরিচালনার সাথে যুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, কর্মচারীদের শূন্য পদ পূরণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ, স্টেশন ও ট্রেনের সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ক্রোজ ইউজার গ্রুপের মোবাইল ফোন অথবা আধুনিক অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং রেলওয়েতে এটিএস (অটোমেটিক ট্রেন স্টপ) পদ্ধতি চালু।
গত ১২ নভেম্বর রাত ২টা ৫৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেল স্টেশন এলাকায় সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ক্রসিংয়ের জন্য লুপ লাইনে প্রবেশের সময় ট্রেনটিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস সজোরে ধাক্কা দেয়। এ দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ যাত্রী নিহত এবং শতাধিক আহত হন।