প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী মাসে নয়াদিল্লিতে একটি বিস্তৃত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। যদিও এই সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তাদের একটি সৌজন্য বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘..যদি বৈঠকটি হয় তবে এটি বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার স্থান নয়।’
জোহানেসবার্গে মোদি ও হাসিনার মধ্যে কোনো বৈঠক হবে কি না জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
একই ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, সেখানে বিপুল সংখ্যক নেতা উপস্থিত থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটাও বুঝি যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও থাকতে পারেন। আয়োজক দেশ থেকে আমাদের এমনটাই জানানো হয়েছে। কিন্তু ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর (মোদি) দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময়সূচি নিয়ে এখনও কাজ চলছে।’
আরও পড়ুন: হাসিনা-শি বৈঠক: বেইজিংয়ের সঙ্গে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা করতে চায় ঢাকা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ চেয়েছে, কারণ দিল্লিতে দুই প্রধানমন্ত্রীরই সেপ্টেম্বরে জি-২০-এর ফাঁকে বিস্তৃত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জোহানেসবার্গে সময় খুবই সীমিত। এবং সরকারগুলো শেষ মুহূর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করে।’
আরও পড়ুন: ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন: সাইডলাইন বৈঠকে বসতে পারেন শেখ হাসিনা-মোদি
আগামী ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে ১৮তম জি-২০ ভুক্ত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়ে মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের মধ্যে চলতি বছরের জি-২০’র সব কার্যক্রম ও বৈঠকের সমাপ্তি হবে।
নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তিতে জি-২০ নেতরা একটি ঘোষণা দেবেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পর্যায়ের এবং ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের প্রধান আলোচিত বিষয় এবং সেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর নেতাদের প্রতিশ্রুতিগুলো উল্লেখ করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন: সাইডলাইন বৈঠকে বসতে পারেন শেখ হাসিনা-মোদি