ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বাংলাদেশি রোগীদের নিবন্ধন সহজ করার জন্যও ভারতকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিতীয় কনস্যুলার সংলাপে এ অনুরোধ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে টুরিস্ট ভিসা শিগগিরই চালু হবে, জানালেন রাষ্ট্রদূত
ভারতের সাথে মৈত্রী বন্ধন বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়ক: তথ্যমন্ত্রী
এ সময় বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সব বন্দর দিয়ে ভ্রমণ বিধিনিষেধকে সহজ করার অনুরোধও করা হয়।
উভয়পক্ষ কনস্যুলার অ্যাক্সেস, দণ্ডিত ব্যক্তিদের স্থানান্তর এবং ভিসা সম্পর্কিত ইস্যু প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস। ভারতের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (কনস্যুলার, পাসপোর্ট, ভিসা ও বৈদেশিক সম্পর্ক) সঞ্জয় ভট্টাচার্য।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি ও কারা কর্তৃপক্ষের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় কনস্যুলার ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাবাস শেষে দেশে ফিরলেন ১৯ বাংলাদেশি
দিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্র সচিব বৈঠক শুক্রবার
বাংলাদেশ-ভারত অংশীদারিত্ব: পানিবণ্টন নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে চায় দিল্লি
বৈঠকে দুই দেশের নাগরিকদের তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাবাসন, বিশেষ করে পাচার হওয়া নারী ও শিশু, বহির্গমন অনুমতিপত্রের সহজ সুবিধা এবং কনস্যুলার অ্যাক্সেস ত্বরান্বিত করা নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় ভারতে আটক থাকা বাংলাদেশি তাবলীগ জামায়াতের সদস্যদের প্রত্যাবাসন সম্পর্কে ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
উভয় পক্ষই একমত হয় যে এ বৈঠক জনকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও জোরদার করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা, যা দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যকার চমৎকার সম্পর্কের মূল বিষয়।
বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ভারতীয় পক্ষকে কনস্যুলার সংলাপের পরবর্তী দফায় ঢাকায় আমন্ত্রণ জানান।
এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে ঢাকায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কনস্যুলার সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।