জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য এ বর্ষীয়ান সাংবাদিক বুধবার ভোর ৫টায় রাজধানীর মগবাজারের বাসায় মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
তিনি স্ত্রী এবং তিন ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়, সহকর্মী, স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আজ দুপুরে তার মরদেহ প্রথমে কমলাপুর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহার ও পরে বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে নেয়া হয়। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে আশুলিয়ায় বধি জ্ঞান ভাবনা কেন্দ্রে তার মরদেহ দাহ করা হয়।
ডি পি বড়ুয়া ১৯৩৪ সালের ১০ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলার রাউজানের মহামুনি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৮ সালে দৈনিক মর্নিং নিউজ দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন।
তিনি এশীয় বৌদ্ধ স্বর্ণপদক (১৯৮২), আইআইএফডবি-উপি কর্তৃক ‘এমবাসেডর অব পিস’ অভিধা ও অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণ পদকে ভূষিত হন।
তার উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা হচ্ছে বাংলাদেশ-চায়না রিলেশনশিপ ফ্রম বুদ্ধিস্ট পার্সপেকটিভ, বেনী মধাব বড়ুয়া (জীবনী), বাঙ্গালি বৌদ্ধদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, বাঙ্গালির দর্শনচিন্তা প্রভৃতি।
ডি পি বড়ুয়া একজন ভাষা সৈনিক। তিনি সক্রিয়ভাবে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ১৯৫৩-৫৪ বর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত জিএস, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ ও বিশ্ব বৌদ্ধ ফিলোসফির সাধারণ সম্পাদক এবং এশীয় বৌদ্ধ শান্তি সংস্থার আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ছিলেন।
আশির দশকে ডি পি বড়ুয়া বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর ১৯৯১ সালে প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযুক্ত হন। ছয় বছর তিনি এ পদে ছিলেন।
তার মৃত্যুতে জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শোক বার্তায় তারা বলেন, ডি পি বড়ুয়ার মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তারা মরহুমের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।