তিনি বলেন, ‘আমাদের ন্যায্য প্রতিযোগিতা থাকতে হবে, ভূ-কৌশল বা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়।’
রাজধানীর এক হোটেলে ‘ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগ ২০১৯’ এর সমাপনী অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাকের সঞ্চালনায় অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সঞ্জয় যোশি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তার মতে, বিশ্বায়নের এ জগতের যেকোনো অংশের একটি সাধারণ বিষয়ও সমস্যা সৃষ্টি এবং প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের নির্যাস হলো শান্তি ও স্থিতিশীলতা। যদি শান্তি না থাকে তাহলে উন্নয়ন হবে না।’
বিশ্বের নানা প্রান্তের উদাহরণ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেখানে শান্তি নেই সেখানকার দেশগুলো ভোগান্তিতে রয়েছে। ‘টেকসই উন্নয়ন বজায় রাখার জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা থাকা অপরিহার্য।’
এ অঞ্চলের অভিন্ন শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য কিছু বিষয় তুলে ধরেন তিনি। তার মতে, প্রথমে এখানকার দেশগুলোকে শান্তি-সম্প্রীতি-স্থিতিশীলতার পরিবেশ সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়নের পুরো বিষয়টিতে নজর দিতে হবে। পরে পারস্পরিক লাভের জন্য নিজেদের মাঝে পারস্পরিক আস্থা ও মর্যাদার ভিত্তিতে সম্পর্কে যেতে হবে।
ডায়ালগ সম্পর্কে তিনি বলেন, এ ধরনের ডায়ালগ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই একটি বিষয়ের প্রচার করতে হবে এবং তা হলো পরস্পরকে সম্মানের মানসিকতা।
তার মতে, টেকসই বিশ্ব গড়ে তোলার যৌথ যাত্রার জন্য শুধু অল্প কিছু বড় অর্থনীতি নয় বরং ছোট ও তুলনামূলক দুর্বল দেশগুলোর সমস্যা সামাধানে নজর দিতে হবে।
ড. মোমেন জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় সাফটার মাধ্যমে আগামী কয়েক বছরে আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রবলভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে এ অঞ্চল যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে আছে তা যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাধান করা উত্তম হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক বিষয় এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করা যেকোনো বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশ উন্মুক্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং ভারতের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (ওআরএফ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সংলাপ সোমবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমাপনী অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন ওআরএফ প্রেসিডেন্ট সমির সরন এবং বিআইআইএসএস মহাপরিচালক একেএম আবদুর রহমান।