সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন হয়তো আরও পরে হতে পারে।’
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভায় এক মন্ত্রী ও দুই প্রতিমন্ত্রীর পদে রদবদল আনা হয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। অন্যদিকে, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রীর এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
সামনে আর কোনো রদবদল হবে কি না জানতে চাইলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদে সম্প্রতি একটি রদবদল হয়েছে। তাই খুব তাড়াতাড়ি মন্ত্রিসভার বিন্যাস, পুনর্বিন্যাস বা সম্প্রসারণ করার সম্ভাবনা খুব কম। (নতুন) রদবদলটা হয়েছে নৈপুণ্য বা গতির জন্য।’
‘হয়তো আমি যে স্থানে আছি প্রধানমন্ত্রী মনে করছেন আমাকে অন্য আরেকটা স্থানে দিলে নৈপুণ্য আরও ভালো হবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার,’ যোগ করেন তিনি।
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী রেজাউল করিমের পদাবনতি হয়েছে কি না জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এটি পদাবনতি বা পদোন্নতির কোনো বিষয় না, মন্ত্রী মন্ত্রীই। মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়ই।’
রেজাউল করিমের নতুন দায়িত্ব মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখন সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মাছের বাজার খুবই বর্ধমান। মাছের আয়ের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান অনেক উঁচু। সে দিক থেকে বিচার করলে এ মন্ত্রণালয়কে খাটো করে দেখা যায় না।’
‘গণপূর্তে এক রকম কাজ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে এক রকম কাজ। সব জায়গাতে কাজ আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কাকে দিয়ে কোন জায়গায় নৈপুণ্য বেশি হবে সেটা প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করবেন,’ বলেন ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রিসভায় রদবদল সংশ্লিষ্টদের জন্য পুরস্কার বা সতর্ক বার্তা কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি পুরস্কার বলতে চাই না। যাকে দিয়ে কাজটি ভালো হবে তাকে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন। হয়তো তিনি মনে করেছেন গণপূর্তের চেয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে গৃহায়ণমন্ত্রী (রেজাউল করিম) আরও ভালো কাজ করবেন, কাজে আরও গতি পাবেন। সে জন্য তাকে এখানে দেয়া হয়েছে।’