বাংলাদেশে মানবাধিকার অনুশীলনের বিষয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে ‘সরকারবিরোধী প্রচারণা মেশিন’ থেকে সংগ্রহ করা কিছু ‘ভুল তথ্য’ রয়েছে দাবি করে এর সমালোচনা করেছে সরকার।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা প্রতিবেদনটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অধ্যয়ন করছি এবং রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে (এ বিষয়ে) বিস্তারিত শেয়ার করবো।’
বুধবার প্রতিবেদনটির বিষয়ে তার প্রাথমিক মন্তব্য চাওয়া হলে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনার চুক্তি করছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব
তিনি বলেন, মার্কিন সরকারকে ‘ভুল ধারণা’ থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করার জন্য যা যা প্রয়োজন তা করবে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী প্রতিবেদনের বেশ কয়েকটি দিক তুলে ধরেন যেখানে কোনো যুক্তি ছাড়াই সরকারকে দোষারোপ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ‘এটা ভুল। এটি মিথ্যা। এটা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ২০২১ সালের কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে এই বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে মানবাধিকার রেখেছেন। যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি বিশ্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে মানবাধিকার সুরক্ষিত হয়, এর রক্ষকদের প্রশংসা করা হয় এবং যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তাদের জবাবদিহি করা হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ‘মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়াতে আমাদের অবশ্যই নিজেদের নিবেদিত করতে হবে, একসঙ্গে কাজের মাধ্যমে। আমরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হব সে সম্পর্কে সততার সঙ্গে কথা বলতে হবে। মানবাধিকার পরিস্থিতির অগ্রগতি শুরু হয় তথ্য দিয়ে।’
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা: যুক্তরাষ্ট্রে আইনজীবী নিয়োগ দেবে সরকার
জাতিসংঘের মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা এবং তৎপরবর্তী মানবাধিকার চুক্তিগুলোতে দেখানো পথ অনুসরণ করে, কান্ট্রি রিপোর্টে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারের পরিপালন ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা তুলে ধরা হয়।
দেশভিত্তিক প্রতিবেদনে আইনি উপসংহার টানে না, দেশগুলোকে রেট করে না বা তারা মান পূরণে ব্যর্থ হয়েছে কি না তাও ঘোষণা করে না।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানায়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এমন একটি পররাষ্ট্রনীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে আমাদের কূটনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে যুথবদ্ধ করে এবং যা গড়ে উঠেছে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সুরক্ষাকে কেন্দ্রে রেখে।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের এই ৫০তম বার্ষিকীতে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকারের উন্নয়ন সবার ওপরে থাকবে।