শাহরিয়ার আলম
বাংলাদেশে দ্রুত শিল্পায়নে চীনকে প্রয়োজন: শাহরিয়ার আলম
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, দ্রুত শিল্পায়নের জন্য চীনকে বাংলাদেশের প্রয়োজন। গত ১৫ বছরে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গত এক দশকে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক গভীর হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'শিল্পোন্নত বাংলাদেশের জন্য চীনকে প্রয়োজন।’
উল্লেখ্য, গত এক দশকে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) এক গোলটেবিল আলোচনায় উদ্বোধনী বক্তব্যে শাহরিয়ার মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক সত্যের কথা স্মরণ করেন। পাশাপাশি গত দেড় দশকে চীনের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ভারত ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের তুলনা করার কোনো কারণ নেই।
শাহরিয়ার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ঐতিহাসিক ভূমিকা ও আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরকে ঘিরে চলমান অপপ্রচারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ (বিএফআরএস) আয়োজিত এই আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী শাহ আলী ফরহাদ।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য-বিনিয়োগ, অবকাঠামো ও নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ-জাপানের আলোচনা
সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সেন্টার ফর অল্টারনেটিভসের (সিএ) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শাহাব এনাম খান, বিজিএমইএর পরিচালক শামস মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ওক্যাবের সাধারণ সম্পাদক জুলহাস আলম, অধ্যাপক রুমানা ইসলাম, ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব, ডিক্যাবের সাবেক সভাপতি রাহীদ এজাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং সম্ভাব্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সহ চালু করা নতুন বিষয়গুলোও আলোচনায় এসেছে।
আলোচনার শুরুতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইআইএসএসের গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির।
প্রবন্ধে বলা হয়, ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
এতে বলা হয়, ২০১০ ও ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর দুই দেশের মধ্যে বর্তমান উষ্ণ সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঐতিহাসিক বাংলাদেশ সফর দুই দেশের সম্পর্ককে 'সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বে' উন্নীত করেছে।
ওই সফরে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ২১টি চুক্তি সই হয়। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেলসহ বড় বড় প্রকল্পে সহযোগিতা করে অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য অংশীদার হয়ে উঠেছে চীন। এ পর্যন্ত ২১টি সেতু, ১১টি মহাসড়কসহ ৫৫০ কিলোমিটার সড়ক এবং ২৭টি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে চীন।
আরও পড়ুন: আইওসি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক: আইওসিইন্ডিও কার্যক্রমের জন্য বাজেটের বিধান নির্ধারণ
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যও বাড়ছে। ২০২০ সালের ১ জুলাই বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে চীন। পরে তা বাড়িয়ে ৯৮ শতাংশ করা হয়।
২০২২-২৩ অর্থবছরে, চীন ছিল বাংলাদেশের একক বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আমদানির পরিমাণ ছিল ২২ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও তার সাম্প্রতিক ঢাকা সফরে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফর খুবই ফলপ্রসূ হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফর খুবই ফলপ্রসূ হতে যাচ্ছে।’
চীনের মন্ত্রী বলেছেন, 'সুতরাং আমাদের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে এবং আমি নিশ্চিত যে আমাদের দুই দেশের সরকার ও সরকারি সংস্থাগুলো আগামীতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার জন্য একটি সাধারণ পরিকল্পনা তৈরি করবে।’
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, সম্পর্কের ইতিহাস এবং বন্ধুত্ব নিয়ে তাদের মধ্যে অত্যন্ত গভীর ও বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে।
জিয়ানচাও বলেছিলেন, ‘প্রায় ৫০ বছরে এই বন্ধুত্ব পাকাপোক্ত হয়েছে। যেহেতু আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি অর্জনের অভিযান, ভিশন-২০৪১ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ও দৃঢ় অনুপ্রেরণা ও উৎসাহের অংশীদার চীন।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের আধুনিকায়ন অভিযানে প্রতিবেশী ও অংশীদার হিসেবে চীন একটি ব্র্যান্ড হিসেবে রয়েছে। তাই বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের কাঠামোর মধ্যেই আমরা এটা করব।’আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য ভালো সুযোগের পক্ষে ফ্রান্স
৪ মাস আগে
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘কে আয়োজন করছে’ তা ব্যাপার না, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এটি সংবিধান ও সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যেই বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ: রিজভী
সোমবার (১৩ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু'র পক্ষ থেকে প্রধান তিন রাজনৈতিক দলকে পাঠানো চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষের মুখপাত্ররা এ বিষয়ে জানতে পারবেন।
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং শিগগিরই তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিরোধী দল বিএনপির দাবি ‘সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও অবৈধ।’
বাংলাদেশের স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতার নামে পাঠাগার স্থাপন অনেক আত্মতৃপ্তির: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
শৈশবেই শেখ রাসেল ছিলেন মানবিক: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে হুমকি দেওয়ায় আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
একজন বিদেশি কূটনীতিককে প্রকাশ্যে ভাষণে হুমকি দেওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কূটনৈতিক বিষয়ে সব নিয়ম ও দায়িত্বকে সম্মান করে এবং অপর পক্ষের কাছ থেকেও অনুরূপ ব্যবহার আশা করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, তারা আশা করে স্বাগতিক দেশের সরকার তাদের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের) কর্মীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য সব ধরনের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলকে স্থানীয় এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হক চৌধুরীর মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক সুযোগ-সুবিধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি এই ধরনের হিংসাত্মক বক্তব্য খুবই অসৌজন্যমূলক।’
প্যাটেল ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে দেশগুলোর বাধ্যবাধকতা এবং এর অধীনে থাকা কূটনৈতিক কনভেনশনের কথাও উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনই আমাদের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, যদিও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণত ইউনিয়ন পর্যায়ের যেকোনো নেতাকে যেকোনো অন্যায়ের জন্য সতর্ক করে, তবে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ মুজিবুল হককে কারণ দর্শাতে বলবে এবং সতর্ক করবে।
তিনি তার এক্সে অ্যাকাউন্টে (পূর্বে টুইটার) লিখেছেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই বাংলাদেশ সরকার ভিয়েনা কনভেনশন এবং কূটনৈতিক কনভেনশনের অধীনে থাকা বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কূটনীতিক ও তাদের কর্মী এবং সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বজায় রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল তার জনসাধারণের বক্তৃতায় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে ‘মারধর’ করার হুমকি দেন।
আরাফাত বলেন, ‘ইউনিয়ন হলো দলের সর্বনিম্ন পর্যায় এবং সেই পর্যায়ের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এমন অনেক কথা বলে যা আমরা খুব একটা গুরুত্ব দেই না। আওয়ামী লীগ কোনো রেজিমেন্টেড দল নয়, তাই তৃণমূল নেতারা বাকস্বাধীনতা ভোগ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এই বিশেষ ক্ষেত্রে, আমি আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতার করা ঘৃণ্য বক্তব্যের নিন্দা জানাই। আমি তৃণমূলের সব নেতার আওয়ামী লীগ নেতাদের সতর্কতা অবলম্বন করার এবং কোনো কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: দলীয় সদস্যদের প্রতি শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
শৈশবেই শেখ রাসেল ছিলেন মানবিক: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, শৈশবেই শেখ রাসেলের মাঝে পরিমিতিবোধ, মানবতাবোধ, গুরুজনদের প্রতি সম্মানবোধ, পশু-পাখির প্রতি গভীর ভালোবাসার বিকাশ ঘটেছিল।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ পালন উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতার নামে পাঠাগার স্থাপন অনেক আত্মতৃপ্তির: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, জন্মের পর থেকেই দীর্ঘ সময় পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়েছে শিশু শেখ রাসেলকে। ‘রাজনৈতিক বন্দি’ বাবার সঙ্গে দেখা হতো কালেভদ্রে-কেন্দ্রীয় কারাগারে অথবা সেনানিবাসে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে এবং ভিশন ২০৪১, স্মার্ট বাংলাদেশ, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে অবদান রেখে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ প্রশস্ত করতে পারতেন।
তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশর ভবিষ্যতের নেতৃত্বকে ধ্বংস করার জন্য শিশু রাসেলকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যা করে নতুন বাংলাদেশকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
১ বছর আগে
নির্বাচনের আগে আর কোনো নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা নেই: শাহরিয়ার আলম
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো দেশের কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের উপর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত বিষয়ে সোমবার (৯ অক্টোবর) প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মোটেই (এমন কিছু হচ্ছে) না।’
অর্থনৈতিক বা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে শাহরিয়ার বলেন, তারা কোথা থেকে এ তথ্য পেয়েছেন তা তারা জানেন না।
পররাষ্ট্র দপ্তরে তার ১০ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে।
তিনি গণমাধ্যমকে তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়গুলো বিচার করার আহ্বান জানান, কারণ একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এই ভয়কে পুঁজি করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন দেখতে চায় সুইডেন : সুইডিশ পররাষ্ট্র সচিব
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যের স্টেট সেক্রেটারি ডায়ানা জানসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এর আগে রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান না দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ওয়াশিংটনে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আল্লাহর দোহাই, এসব (গুজব) ভেবে আপনাদের ঘুম নষ্ট করবেন না।’
কিছু ব্যক্তির উপর নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত করে কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম... একজন ব্যক্তিও আমাদের বলেনি যে একটি টর্নেডো আসছে। আপনারা এই বিষয়ে গল্প বানান। তারা (মার্কিন) শুধুমাত্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এমনকি অংশগ্রহণমূলক বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার শব্দগুলোও উচ্চারিত হয়নি।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান দেবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব 'শান্তিপূর্ণ অঞ্চল' তৈরি করতে পারে: মোমেন
১ বছর আগে
বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন: ড. ইউনূসের পক্ষে চিঠি প্রসঙ্গে শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশের একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা রয়েছে এবং আদালত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন।
মঙ্গলবার ড. ইউনূসের পক্ষে যারা চিঠি লিখেছেন তাদের প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা (বিচার) প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।’
প্রতিমন্ত্রী জানতে চান, বিশ্বে এমন কোনো উদাহরণ আছে কি না, যেখানে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে, আর তা তদন্ত করা যাবে না।
আরও পড়ুন: আ. লীগের অভিধানে কোনো চাপ, ভয় নেই: শাহরিয়ার আলম
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যা বলতে চাই তা হলো, এখানে অতীতে সরকারের কোনো প্রভাব ছিল না এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
বিষয়টিকে ‘হতাশাজনক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের অবশ্যই রায় মেনে নেওয়ার সাহস থাকতে হবে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করার আহ্বান ‘নজিরবিহীন’।
যারা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে চান সরকার তাদের স্বাগত জানায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূসের পক্ষে যারা এই আহ্বানে যোগ দিচ্ছেন তারা নিজেদের সুনামের সঙ্গে যথাযথ ন্যায়বিচার করছেন বলে আমি মনে করি না।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আদালতের কার্যক্রম সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে সরকার কোনো মন্তব্য করতে চায় না।
বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি লিখেছেন শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জনেরও বেশি বিশ্ব নেতা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি সম্বোধন করা চিঠিতে সই করাদের মধ্যে রয়েছে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, রাজনীতিক, কূটনৈতিক, নির্বাচিত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতারা।
এর মধ্যে রয়েছেন- বারাক ওবামা, হোসে রামোস-হোর্তা, মেরি রবিনসন, মারেড করিগান-ম্যাগুয়াইয়ার, শিরিন এবাদি, ডেনিস মুকওয়েগে, নাদিয়া মুরাদ, মারিয়া রেসা, অস্কার আরিয়াস সানচেজ, জুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস, বান কি-মুন, লরা বোলড্রিনি, পল ডেভিড হিউসন (বোনো) এবং স্যার রিচার্ড ব্রানসন প্রমুখ।
এই চিঠিতে সইকারীরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
চিঠিতে তারা লিখেছেন, ‘আমরা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, নির্বাচিত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতার পাশাপাশি, বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে লিখছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে আপনাদের জাতি যেভাবে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে আমরা তার প্রশংসা করি।’
চিঠিতে সইকারীরা আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই, পালকি পাঠিয়ে কাউকে আনতে পারব না: শাহরিয়ার আলম
বাংলাদেশ-ভারত অর্থনীতির নতুন যুগে পা দিয়েছে: শাহরিয়ার আলম
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাপানের প্রচেষ্টা জোরদার হবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ: শাহরিয়ার
অবকাঠামোগত উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করেছে বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক থাকায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাপানের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্কবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে আমরা আশা করি জাপান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রচেষ্টা আরও জোরদার করবে।’
শনিবার (২৬ আগস্ট) প্যান-এশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিএআরআই) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে জাপান দূতাবাসে আয়োজিত আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
জাপানে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত জামিল মজিদ ও আশরাফ-উদ-দৌলা, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. লাইলুফার ইয়াসমিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় শাখার পরিচালক সায়েম আহমেদ, জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র প্রতিনিধি ইজি ইয়ামাদা, ঢাকায় জাপানিজ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (জেসিআইএডি) সভাপতি তেতুরো কানো এবং প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) মহাসচিব মো. আনোয়ার শহীদ।
অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার আলম মাতারবাড়ী প্রকল্পে বিনিয়োগ এবং ক্রমবর্ধমান জাপানি কোম্পানির উপস্থিতি ও সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা জাপানের সমর্থিত এই অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকে দেশ ও জনগণের অনেক সমস্যার সমাধান হিসেবে মনে করছি।’
এর আগে বাংলাদেশ সরকার জানায়, প্রতি বছর রোহিঙ্গা শিবিরে প্রায় ৩০ হাজার শিশুর জন্ম এবং রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অনেক কমে যাওয়ায় এই সংকট আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন শুরু করতে আরও দেরি এবং মানবিক সহায়তার ঘাটতি পুরো অঞ্চলকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, ১ দশমিক ২ মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে এত দীর্ঘ সময় আশ্রয় দেওয়ার আর্থ-সামাজিক, জনসংখ্যাগত ও পরিবেশগত ব্যয় বাংলাদেশকে ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিরাপদ ও স্থায়ীভাবে তাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা ও অধিকার রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জনগুলো অসাধারণ এবং এ ধরনের অর্জন কিছু চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তরে সহযোগিতা করবে জাপান: নিশিমুরা ইয়াসুতোশি
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে জনগণের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত রাখতে হবে। আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। গত ৫০ বছরে আমরা যা অর্জন করেছি তা আরও বাড়ানোর জন্য আমাদের প্রতি জনগণের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এটা (লক্ষ্য অর্জন) সহজ হবে না। একমাত্র জাপানের মতো বন্ধুরা আমাদের সেই লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপান অবশ্যই সম্মিলিতভাবে কাজ করবে এবং উভয় দেশ ও তাদের জনগণের জন্য পারস্পরিক কল্যাণকর ভবিষ্যৎ অর্জনের যাত্রায় এক থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বর্তমানে শুধু একটি জিটুজি (সরকার-থেকে-সরকার) অংশীদারিত্ব রয়েছে।
১ বছর আগে
বাংলাদেশ-ভারত অর্থনীতির নতুন যুগে পা দিয়েছে: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারত অর্থনীতির একটি নতুন যুগে পা দিয়েছে। এটি উভয় দেশের অর্থনীতি ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের উন্নয়নে সাহায্য করবে।
তিনি আরও বলেছেন, এটি বৈদেশিক মুদ্রার নিট চাহিদা কমাতে পারে। এতে মার্কিন ডলার কিছু পরিমাণে বর্তমান অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত বাণিজ্য প্রবাহের নিষ্পত্তিতে এবং ব্যবসা করার খরচও কমিয়ে দেবে।
বাংলাদেশে এই অঞ্চলের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থার সুবিধা নিতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) শাহরিয়ার আলম ঢাকার গুলশানে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে ইবিএল-ইন্ডিয়া বিজনেস ডেস্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি ঘোষিত ‘ভারতীয় রুপিতে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য নিষ্পত্তি’ পদ্ধতির উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইসির সঙ্গে ইইউ প্রতিনিধিদলের বৈঠক
ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ১১ জুলাই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভারতীয় রুপিতে (আইএনআর) বাণিজ্য শুরু করে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সদস্য, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে পরিচালনা ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।
হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গত এক দশকে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। এর মধ্যে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং সংযোগ ছিল অন্যতম। যা সেই রূপান্তরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বহিঃপ্রকাশ।
তিনি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ এবং অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর নতুন উপায় খুঁজে বের করতে উভয় দেশের সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টার উপরও জোর দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারতের মুদ্রায় বাণিজ্য লেনদেন রিজার্ভের ওপর চাপ কমাবে: হাইকমিশনার
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেছেন, আইএনআর-এ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিষ্পত্তির জন্য নতুন প্রক্রিয়া চালু করা উভয় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রচেষ্টার চূড়ান্ত পরিণতি ছিল, যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করে লেনদেনের খরচ কমাতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে সময়, গতি, দক্ষতা ও বাণিজ্য নিষ্পত্তির সুবিধার উন্নয়ন করে এবং প্রতিযোগিতামূলকতা ও সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ায়।
স্থানীয় ব্যবসার দীর্ঘস্থায়ী চাহিদার প্রতিক্রিয়ায় এই প্রক্রিয়াটি চালু করা হয়েছিল স্বীকার করে তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে আরও বাড়ানোর অসাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (সিইপিএ) প্রেক্ষাপটে। শিগগিরই আলোচনা শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক জটিলতায় বিশ্বের দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে লড়াই করছে। ভারতীয় রুপিতে (আইএনআর) ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের শুরুটা জটিলতাগুলো হ্রাস করে বাণিজ্য প্রসারের নতুন পথ খুলে দেবে বলেও জোর দেন তিনি।
ভারত থেকে এই নতুন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণের জন্য বর্তমানে মনোনীত ভারতীয় ব্যাংকগুলো হলো স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং আইসিআইসিআই ব্যাংক, আর বাংলাদেশের মনোনীত ব্যাংকগুলো হলো সোনালী ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড।
আইএনআর-তে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিষ্পত্তির জন্য নির্ধারিত ভারতীয় ব্যাংকগুলোতে একটি বিশেষ রুপি ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্ট (এসআরভিএ) খোলার জন্য মনোনীত বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর প্রত্যেকটিকে অন্তর্ভুক্ত করে৷
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ঢাকায় পৌঁছেছেন
আনুষ্ঠানিকভাবে আইএনআর-তে বাণিজ্য শুরুর জন্য তাদের ব্যাংকের মাধ্যমে প্রথম রপ্তানিকারক এবং আমদানিকারকদের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক ‘লেটার অব ক্রেডিট, অর্থাৎ এলসি নথিপত্রের বিনিময়’ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ থেকে আইএনআর- তে ১৬ মিলিয়নের প্রথম রপ্তানি করেছিল বগুড়ার তামিম অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ভারতে আইসিআইসিআই ব্যাংকে আমদানি এলসি খোলা হয়েছিল এবং বাংলাদেশের রপ্তানিকারকের ব্যাংক ছিল এসবিআই।
বাংলাদেশে আইএনআর- তে প্রথম ১২ মিলিয়নের আমদানি করে নিতা কোম্পানি লিমিটেড, ঢাকা। আমদানি এলসিটি বাংলাদেশের এসবিআই ঢাকা শাখায় খোলা হয়েছিল, যার এসবিআই রপ্তানিকারকের (টাটা মোটরস) মুম্বাইয়ের ব্যাংক সিএজি শাখায়।
আরও পড়ুন: আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের বৈঠক
১ বছর আগে
আ. লীগের অভিধানে কোনো চাপ, ভয় নেই: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হওয়ায় ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি, অংশীদারদের সঙ্গে বৃহত্তর সম্পৃক্ততা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে বৈশ্বিকভাবে তাল মিলিয়ে পরিবর্তিত হয়েছে।
ডিসিএবি টক-এর বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বহুপক্ষীয় ফোরামে ভালো অনুশীলনের উদাহরণ হিসেবে দেখা হয়।
রবিবার ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিসিএবি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তার প্রধান অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা সহযোগিতা কোনো কৌশলগত জোট বোঝায় না: শাহরিয়ার আলম
আলোচনা সঞ্চালনা করেন- ডিসিএবি সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এমরুল কায়েস।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গুরুত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আন্তর্জাতিকভাবেও এর সহযোগিতার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে এবং এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আলম বলেন, নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী চলবে বলে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে না।
১০ বছর আগের ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিধানে ‘ভয়’ শব্দটি নেই।
তিনি অতীতে বর্ষার আগে নতুন নির্বাচনের জন্য একটি কূটনৈতিক আহ্বানের কথাও উল্লেখ করেছিলেন। ‘এটি খুব উচ্চাভিলাষী।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ গ্রহণ বা স্বাগত জানাবে না। তবে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে।
তিনি বলেন, অতীতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে।
আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণ ও দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো পদক্ষেপ নেবেন না।
ডিসিএবি সভাপতি রেজাউল করিম তার বক্তব্যে বলেন, তারা বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশ তার ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির সঙ্গে ভূ-রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা এবং ভূ-রাজনৈতিক তাৎপর্য দেশ-বিদেশে নিঃসন্দেহে আলোচনার বিষয়।
আরও পড়ুন: বিদেশি কূটনীতিকরা সীমা অতিক্রম করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: শাহরিয়ার আলম
৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে অতিরঞ্জন ও অসঙ্গতি রয়েছে: শাহরিয়ার আলম
১ বছর আগে
বিদেশি কূটনীতিকরা সীমা অতিক্রম করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, কোনো বিদেশি কূটনীতিক সীমা অতিক্রম করলে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, ‘ছয় মাস আগেও এমন একটি পর্যায় ছিল। যদি এটি (ক্রসিং লাইন) আবার ঘটে তবে আমরা এটিকে বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নেব। তবে, আমি এখন পর্যন্ত কিছু জানি না।’
সোমবার নির্বাচন কমিশনে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সফর এবং একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এর আগে, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বাংলাদেশের গত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন এবং বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নাওকির মন্তব্যকে বাংলাদেশ ‘অপ্রত্যাশিত’ বলে বর্ণনা করেছিল।
আরও পড়ুন: ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে অতিরঞ্জন ও অসঙ্গতি রয়েছে: শাহরিয়ার আলম
কৌশলগত অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে বৃহত্তর সম্পর্ক গড়তে চায় জাপান: রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি
১ বছর আগে