তিনি বলে, ‘গোটা বিশ্বে করোনাভাইরাস কঠিন মূর্তি ধারণ করছে। কাজেই সামনে আমাদের সতর্ক না হয়ে আর উপায় নেই। প্রত্যেককে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।’
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা বেড পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এ মুহূর্তে জনসমাগমকে অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাপার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বারবার অনুরোধ করার পরও দেখা যাচ্ছে মানুষ জনসমাগম পরিহার করতে চাচ্ছেন না। জুমার নামাজে মসজিদ ভর্তি হয়ে রাস্তায় পর্যন্ত লোকজন দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। সৌদি আরব, কুয়েত, ইরানের মতো মুসলিম দেশ যেখানে এ সময়ে মসজিদে গিয়ে নামাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেখানে আমাদের দেশে এটি কোনোভাবেই মানছে না। এভাবে নিয়ম অগ্রাহ্য করলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কঠিন হবে।’
বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সাধারণ রোগে মানুষের চিকিৎসা না পাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। মানুষ এখন বিপদে আছে, এ বিপদে তারা (বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান) যদি চিকিৎসা না করে হাত গুটিয়ে বসে থাকে তবে সরকারও তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর পদক্ষেপ নেবে।’
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক, বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আহমেদুল কবীরসহ অন্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে যে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আটজনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও নয়জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন শিশু। এ নিয়ে দেশে মোট ৭০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে আরও চারজন সুস্থ হয়ে ওঠায় এ পর্যন্ত মোট ৩০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।